ইয়েমেনিরা দুর্নীতি আর অন্যায্য বিক্রয় চুক্তির অবসান চায়

দেশের সম্পদ যাদের হাতে গচ্ছিত, তাদের অপব্যয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ ইয়েমেনিরা আবার রাস্তায় নেমে এসেছে।

“জনগণ তাদের সম্পদ ফেরত চায়” শ্লোগান দিয়ে ইয়েমেনের বিপ্লবী তরুণরা ইয়েমেন'স রেভলুশন ইলেক্ট্রনিক কোর্ডিনেশনে (ওয়াইআরইসি) যোগ দিচ্ছে। তারা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিক্রি এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের বন্টন চুক্তিকে “অন্যায্য” অ্যাখ্যা করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী সাবেক শাসক ফ্রান্সেস টোটাল এবং কোরিয়ান কোগ্যাসের কাছে ইয়েমেনের এলএনজি সস্তা দরে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে করে বার্ষিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হবে দেশটি। প্রতিবাদকারীরা দাবি করেছে, দুর্নীতি করে কোম্পানি দুটির কাছে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে এলএনজি বিক্রি করেছে। তারা বলেছে, ইয়েমেন তাদের গ্যাস ২ মার্কিন ডলার করে বিক্রি করলেও বর্তমান বাজার মূল্য ১০ মার্কিন ডলার।

প্রতিবাদকারীরা আগের চুক্তির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ এবং এলএনজি উত্পাদনে ইয়েমেনের শেয়ার বাড়ানোর দাবি করেছে। চুক্তির শর্ত অনুসারে, ইয়েমেন উত্পাদিত এলএনজি'র ২২ শতাংশ পাবে। বাকিটুকু পাবে বিদেশী কোম্পানিগুলো।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪-এ ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং পশ্চিমাঞ্চলের শহর হোদাইদাহে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সানায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবাদকারীরা এলএনজি বিক্রয় চুক্তি হাতে ধরে আছে।


(প্রেস টিভি ভিডিওটি আপলোড করেছে।)

হোদাইদাহ শহরে বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানারে শ্লোগান লেখা: “জনতা তাদের সম্পদ ফেরত চায়… জনতা তাদের গ্যাস ফেরত চায়… জনতা তাদের সম্পত্তি ফেরত চায়”

হোদাইদাহ শহরের চেঞ্জ স্কয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়। রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে করতে সাধারণ জনতাকে উদ্বুদ্ধ করে এবং চুক্তির পেছনে দুর্নীতির বিষয়ে সবাইকে সচেতন করে।

হোদাইদাহ শহরের বিক্ষোভকারীরা বর্তমান প্রেসিডেন্টের কাছে ইয়েমেনের এলএনজি চুক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।

দুই বছর আগে “জনগণ তাদের সম্পদ ফেরত চায়” শ্লোগান দিয়ে ওয়াইআরইসি এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দেয়। তারা ইয়েমেনের সম্পদ পুনরুদ্ধারের দাবি জানায়। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। যারা এ ধরনের অন্যায্য চুক্তি করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার ডাক দেয়।

সাধারণ ইয়েমেনিদের কাছে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সাধারণ ইয়েমেনিদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে, জীবনযাত্রার মান খুব নেমে যাচ্ছে। দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছে।

Exit mobile version