সিরিয়ার বৃহত্তম শরনার্থী শিবির জাতারি’র শিশু শিল্পীরা

এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া ব্লগ থেকে পুনরায় পোস্ট করা হয়েছে।

সিরিয়ায় সমগ্র শিশু প্রজন্মের উপর তীব্র সহিংসতার ফলাফল এখন অনেক সক্রিয় কর্মী এবং সংস্থার কাছেই অগ্রগণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে, শরনার্থী এবং উদ্বাস্তু শিশুদের অবস্থার উন্নয়ণে অন্যতম একটি পদক্ষেপ হচ্ছে জাতারি শরনার্থী শিবিরের রঙ। সিরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে।  

জাতারি ক্যাম্পে শিশুরা আঁকছে। সূত্রঃ কালারস ফ্রম জাতারি ক্যাম্প ফেসবুক পাতা।  

সিরিয়া এবং জর্ডানের সীমানার কাছে জাতারি শিবিরটি অবস্থিত। এটি সিরিয়ার সর্ববৃহৎ শরনার্থী শিবির। এখানে ১ লক্ষেরও বেশী শরনার্থী বাস করছে। এসব শরনার্থীদের বেশ ভাল একটি অংশ শিশু। ফর সিরিয়া নামে দোহা ভিত্তিক একটি সংস্থার প্রতিনিধি দিমা আল-মালাকেহর মতেঃ

“আমরা এই প্রকল্পের জন্য জাতারি শরনার্থী শিবিরটি বেছে নিয়েছি। কারন, এখানেই এখন সবচেয়ে বেশী সংখ্যক সিরিয়ান এক সাথে বসবাস করছে। এখানেই আমরা বিদ্যালয় এবং শিক্ষার উন্নয়নের মতো কাজ শুরু করতে পারি।

তিনি আরও বলেছেনঃ

জাতারি শিবিরের নানা রঙ প্রকল্পটি শিশুদের কথা তুলে ধরতে শিশুদেরই নানা কাজ, তাদের মেধা এবং তাদের স্বপ্নের উপর আলোকপাত করেছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইন্সটিটিউশনের কাছে পৌঁছানোর একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যেন তারা এই শিশুদের আবার বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়া যেমন এই শিশুগুলোর স্বপ্ন, তেমনি আমাদেরও স্বপ্ন।

১৬-১৭ জানুয়ারি, আম্মানে প্রদর্শন কৃত জাতারি ক্যাম্পের শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম। সূত্রঃ কালারস অফ দ্যা জাতারি ক্যাম্প ফেসবুক পাতা।  

শিবিরে বসবাসরত শিশুদের আঁকা অনেকগুলো ছবি দেখার পর সক্রিয় কর্মী মাহমুদ সাদাকা এই প্রকল্পটি শুরু করার কথা চিন্তা করেন। অব্যক্ত সিরিয়াতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “শিশুদের আঁকা ছবিগুলো খুব সুন্দর, বলিষ্ঠ এবং জোরালো ছিল। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য খুব লজ্জার একটি বিষয় যে, তাদের শিবিরে থাকতে হচ্ছে এবং তাদের আঁকা এই ছবিগুলো অন্যরা দেখতে পাড়ছে না।”

ফর সিরিয়া এবং মিলিয়াএইদামনির মতো সিরিয়ার অন্যান্য সাংবাদিক ও সক্রিয় কর্মীর সম্মিলনে তৈরি সংগঠন শিশুদের তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম উপস্থাপনের মাধ্যমে সিরিয়ার মেধাকে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবচেয়ে ভালো চিত্রকর্মগুলো তারা সংগ্রহ করেছেন। তাদের সংগৃহীত এসব ছবিগুলো দিয়ে ১৬ থেকে ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখ আম্মানে দুই দিন ব্যাপী প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এই প্রদর্শনীতে চিত্রশিল্পী লিনা মোহামিদের সহযোগীতায় বাছাইকৃত সর্বমোট ৬০ টি চিত্রকর্ম ফ্রেমে বাঁধিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া থেকে পুনরায় পোস্ট করা হয়েছে।

Exit mobile version