ইরান: “বাশার নিহত হলে, ইরানী শাসকগোষ্ঠী তাকে শহীদ বলবে”

এই পোস্টট আমাদের সিরিয়ার বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।

বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দামেস্ক আক্রমণ করার পর বোমা বিস্ফোরণে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ শাসকগোষ্ঠীর শীর্ষ তিন নিরাপত্তা প্রধান নিহত হলে ইরানী ব্লগাররা কৌতুকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

ইরান এবং সিরিয়ার মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান এবং সিরিয়াতে ১৬মাস ধরে চলা বিপ্লবে আল আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হলে ইরানী শাসকগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে নেটনাগরিকরা মজা করতে শুরু করেছে।

এন্সিলুস পরিহাসের সঙ্গে লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

বাশার নিহত হলে, ইরানী শাসকগোষ্ঠী তাকে শহীদ বলবে এবং তেহরানের একটি সড়ক তার নামে পরিবর্তন করে দিবে… স্কুলে আমাদের ইতিহাসের বইয়ে তারা আসাদের নির্যাতিত পরিবারের বিষয়ে কথা বলবে এবং এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তারা “কিংবদন্তী আসাদ” নামে একটি পাঠযোগ করবে।

আন্দিশেনোভিন যোগ করেছেন [ফার্সী]:

বাশার আসাদের বিপক্ষ দলের বিজয়ের পর আমাদেরকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্যে প্রস্তুত হতে হবে… আসাদের শাসনের পতন ভবিষ্যতে ইরানী বিরোধী প্রণোদনা এবং উৎসাহ যোগাতে পারে।

এবং ফার্দা ইরান আজাদ লিখেছেন [ফার্সী]:

এমন সময়ে সিরিয়াতে বাথপন্থী শাসকগোষ্ঠীর পতন হচ্ছে যখন আমাদের দেশ বিশাল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটে নিপতিত। [এই ঘটনা দু’টি] আমাদের জনগণের উত্থানের দিকে ধাবিত করতে পারে এবং করা উচিৎ…. এবার আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মধ্যবিত্তের মধ্যে সীমিত থাকা উচিৎ হবে না [২০০৯ সালের বিক্ষোভ আন্দোলনে যেমনটি  ঘটেছিল]।

স্বাধীনতার দূত কল্পনা করেছেন বাশার আল আসাদের জন্যে ইরানী নেতা আলী খামেনীর শোকবার্তাগুলো কেমন দেখাবে। কল্পিত চিঠিটি এমন:

এই চিঠির সঙ্গে আমি কিছু অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপ্লবী রক্ষী পাঠালাম আমাদের প্রিয়জনদের শহীদ হওয়া…. আমার মত ক্ষমতায় থেকে অ-আলা সিরীয়দের ধর্ষণ এবং হত্যা এড়ানোর জন্যে।

এই পোস্টট আমাদের সিরিয়ার বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।

Exit mobile version