মৃত্যু সব সময় এক বেদনাদায়ক সংবাদ, কিন্তু সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ নায়েফ বিন আবদুলআজিজ আল সাউদ-এর মৃত্যুর সংবাদ –এ, ইয়েমেনের অনেক নাগরিকের সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া কেবল-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।
সিংহাসনের উত্তারধিকারী (ক্রাউন প্রিন্স) যুবরাজ সুলতানের মৃত্যুর পর যুবরাজ নায়েফ “ইয়েমেন বিষয়ক” ঘটনাবলী দেখার দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং সংবাদ রয়েছে যে তিনি তা অত্যন্ত কঠোর তার এই দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি আল কায়েদা নামক সংগঠনটিকে সৌদি আরব থেকে ইয়েমেনে স্থানান্তরিত করেন এবং উইকিলিকসে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে, তাতে জানা যাচ্ছে যে তিনি ইয়েমেনকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
#উইকিলিকস: #KSA Prince Nayef to US Embassy : #কেএসএ (সৌদি আরব) যুবরাজ নায়েফ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে জানান “ইয়েমেন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক”।http://bit.ly/o3uM3O #ইয়েমেন
জেনি হিল, চ্যাথাম হাউজের একজন সহযোগী গবেষক যিনি ইয়েমেন ফোরাম পরিচালনা করেন, তিনি উল্লেখ করেন:
@জিনিইউকেআইআমি সন্দেহ কর যে যুবরাজ নায়েফ ছিলেন রিয়াদে আলি মোহসিনের শক্তিশালী এক পৃষ্ঠপোষক#ইয়েমেন
নীচে ইয়েমেন থেকে আসা কিছু প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল।
আতিয়াফ আলওয়াজির টুইট করেছেন:
@ওমেনফ্রমইয়েমে: সিংহাসনের উত্তরাধিকারী #সৌদি যুবরাজ নায়েফ মৃত্যু বরণ করেছেন- এই বিষয়টি #সৌদি আরব এবং তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র #ইয়েমেন এবং # বাহরাইন-এর ঘটনাবলীর বিষয়ে প্রচণ্ড প্রভাবের সৃষ্টি করবে। http://www.guardian.co.uk/world/2012/jun…
বুরজ আলমারে-এর সাথে যোগ করেছে [আরবী ভাষায়]:
ভদ্রমহিলা এর সাথে যোগ করেছেন:
এই বিষয়ে আমর বাদর–এর, এক প্রবল প্রতিক্রিয়া রয়েছে, সে টুইট করেছে:
মাই সালেহ ব্যঙ্গাত্মকভাবে উল্লেখ করেছে:
সাম ওয়াদ্দাহ টুইট করেছে:
@সামওয়াদ্দাহ: আমি নায়েফ-এর মৃত্যুর সংবাদে আনন্দিত নই, যে কারো মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমি আনন্দ অনুভব করি না। নায়েফের মৃত্যুর সংবাদে আমি যতটা বেদনার্ত, তাঁর চেয়ে আমি বেশী বেদনার্ত #সিরিয়ায় নিহত হওয়া শিশুদের জন্য।
ঘানেম এম টুইট করেছে:
এবং সবশেষে ইয়েমেনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সালেহ-এর এক প্যারোডি একাউন্ট ব্যঙ্গাত্মকভাবে একটি বিশেষ কমিটির কথা উল্লেখ করে টুইট করেছে।:
সংবাদে জানা গেছে যে যুবরাজ নায়েফের মৃত্যুর পর যুবরাজ সালমানকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মনোনীত করা হয়েছে এবং যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুল আজিজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন । তবে ইয়েমেনের নাগরিকরা এখন ভাবছে যে আগামীতে ইয়েমেনের ঘটনাবলী দেখাশোনা করবে কে এবং ইয়েমেনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি কি ভাবে প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।