ইরান: মিশরের মুক্তি অর্জনে, আশা, আনন্দ, ঈর্ষা

ইরানের ব্লগাররা আজ মিশরের রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের , বিদায়ের ঘটনাটিকে একই সাথে আনন্দ এবং ঈর্ষার সাথে দেখেছে। এটা এক অবিশ্বাস্য যোগাযোগ যে ইসলামিক বিপ্লবের ৩২ তম বার্ষিকীতে মুবারকের পতন ঘটল। ১৯৭৯ সালের এই বিপ্লবে ইরানের শাসক শাহের পতন হয়েছিল।

কয়েকজন ব্লগার এই ঘটনাটির প্রেক্ষাপটে পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে গ্রীন মুভমেন্ট নামক আন্দোলন ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিশর এবং তিউনিশিয়ার নামে এক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।

মামলুকাত দারিম? ( যার অর্থ “কেমন দেশ”?’) লিখেছে :

মিশরীয় নাগরিকরা ১৮ দিন ধরে রাস্তায় ঘুমিয়েছে, আর এখন তারা আনন্দ করছে। আমরা, ইরানিরা ৩২ বছর ধরে ঘুমিয়ে আছি [১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত ইসলামিক বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে]…. এ কেমন দেশ?

সেদাইয়ে জেনদানি (যার অর্থ হচ্ছে “বন্দীর কণ্ঠস্বর”) বলছে [ফারসী ভাষায়]:

মিশরীয় নাগরিকরা তাদের অধিকার অর্জন করেছে। ২৫ বাহমান [১৪ ফেব্রুয়ারি] তারিখে তাদের জন্য আমরা রাস্তায় নামব এবং আনন্দ উদযাপন করব। মিশরীয় নাগরিকরা যে ভাবে অধিকার অর্জন করছে, আমাদের তা পাবার কথা। কিন্তু তারা ছিল বুদ্ধিমান এবং তারা আমাদের চেয়ে আগে তা অর্জন করেছে। এখন আমরা অবশ্যই আমাদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামব এবং জয়ের জন্য এই জাতির ইচ্ছাকে উদযাপন করব। আমাদের কোন নেতা বা অনুমতির দরকার নেই।

মিহানপরাস্ত (যার অর্থ “দেশপ্রেমী”) পরিহাসের সাথে লিখেছে [ফারসী ভাষায়] , “কেন মুবারক আজকেই বিদায় নিল, তিনি আর দুদিন অপেক্ষা করতে পারতেন এবং সাইয়েদ আলি [আয়াতুল্লাহ খামেনির] সাথে বিদায় নিতে পারতেন”।

রাগ বে রাগ তার মিশরীয় ভাইবোন সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন [ফারসী ভাষায়] এবং বলেছেন, ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে আলাদা আলাদা অবস্থানে রাখাই এই বিজয়ের মূল কারণ।

গ্রীনলাইট লিখেছে [ফারসী ভাষায়] যে মাটিতে যেন রক্ত ঝরে তার জন্য তিনি ১৪ ফ্রেব্রুয়ারির বিক্ষোভে অংশ নেবেন।

Exit mobile version