গাজায় অসময়ে শিলাবৃষ্টি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দুর্দশার প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে

"A hint of #snow in #Gaza no kidding  #lol once again I remind U that it's #spring," tweets @Omar_Gaza, who shares this photograph on Twitter

গাজায় বরফের খানিকটা চিহ্ন, শিশুতোষ কোন বিষয় নয়, দারুণ। আরো একবার আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে এখন বসন্তকাল। টুইট করেছে @ওমর_গাজা, যে টুইটারে এই ছবিটি প্রদর্শন করেছে।

নেট নাগরিকরা, আজ এক ভারী বৃষ্টিপাতের পর গাজায় অস্বাভাবিক বরফ পড়ার ঘটনা সম্বন্ধে সংবাদ প্রদান করেছে। তবে অন্যের বলছে এটা ছিল কেবল এক শিলাবৃষ্টি। কিন্তু এই ঘটনা অনেককে গাজার গৃহহীন ১০৮,০০০ নাগরিক এবং অভ্যন্তরীন উদ্বাস্তু শরণার্থীদের দুর্দশার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ব্লগার ওমর ঘারাইবে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে:

গাজার গৃহহীন, বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থীদের কথা চিন্তা করছি :(।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয়ের হিসেব অনুসারে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার ৫০০,০০০ জন বাস্তুচ্যুত নাগরিকের মধ্যে প্রায় ১০৮,০০০ জন ফিলিস্তিনি ইজরায়েলী আগ্রাসনের কারণে গৃহহীন অবস্থায় বাস করছে, যারা অক্টোবর ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, যে সময় থেকে তারা গৃহহীন হয়ে পড়ে, ঠিক তখন থেকে শীতকালের শুরু। ৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে যখন ইজরায়েল ৪০ কিলোমিটার ব্যাপী দীর্ঘ এলাকা জুড়ে তথাকথিত প্রটেকটিভ এজ নামক হামলা শুরু করে, তখন সে ঘটনায় অন্তত ২,১০০ জন নাগরিক নিহত, ১০,৫০০ জন নাগরিক আহত এবং ৫২০,০০০ নাগরিক বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। কারো কারো হিসেব মতে গাজার শহুরে এলাকার অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। ২৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে ইজরায়েল উক্ত এলাকার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালায়, যার ফলে ঠাসাঠাসি করে বাস ক্রা ১৮ লক্ষ বাসিন্দার এই এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়, আর এখানে সামান্য পরিমান যে পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল, এই হামলা সে কাঠামোকে প্রায় পঙ্গু করে ফেলে। ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনের একটি অংশ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লড়াই বন্ধে সম্মত হয়, যার মধ্যে দিয়ে সাত সপ্তাহের বিপর্যয়কর ধ্বংসলীলা এবং জীবনহানির ইতি ঘটে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দপ্তরের হিসেব অনুসারে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার ৫০০,০০০ জন নাগরিকের মধ্যে প্রায় ১০০,০০০ জং ফিলিস্তিনি ইজরায়েলী হামলার কারণে অক্টোবর ২০১৪ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ার পর এখনো গৃহহীন অবস্থায় বাস করছে।

যারা এখনো গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে, শীতল বাতাস ও বন্যা তাদের পরিস্থিতিকে কেবল আরো অবর্ণনীয় করে তুলেছে.

সন অফ প্যালেস্টাইন ব্যাখ্যা করছে:

ভারী বৃষ্টিপাত গাজার কিছু অংশে বন্যার সৃষ্টি করেছে 🙁 গৃহহীনদের জন্য এটা একটা বিপর্যয়।

মা’আন নিউজ এজেন্সির সংবাদ অনুসারে, এই ভারী বৃষ্টিপাত খাজা এবং বেইত হানুম সহ গাজা ভূখণ্ডের বেশ কিছু নীচু এলাকায় বন্যার সৃষ্টি করে, যেখানে গত গ্রীষ্মের ইজরায়েলি হামলায় হাজার হাজার গাজার নাগরিক গৃহহীন অবস্থায় মালবাহী গাড়িতে বাস করছে।

সাবের আবু মারইয়াম নামক টুইটারকারী গাজার আল শাতি উদ্বাস্তু এলাকার বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কের ছবি প্রদর্শন করেছে:

আল শাতি শরণার্থী শিবিরের রাস্তা পুরোপুরি বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে।

গাজা থেকে লাইয়ান বাকের গাজার সমুদ্রবন্দরের এই ছবি প্রদর্শন করেছে:

গাজার সমুদ্র বন্দর আজ বরফে ঢেকে আছে।

আলি দেওয়েদার এর সাথে যোগ করেছে :

আজকের দিনের শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা, গাজায় আজ ঝরছে বৃষ্টি এবং পড়ছে বরফ।

আব্বাস সারাসোউর আরেকটি ছবি প্রদর্শন করেছে:

নাগরিকেরা দেখ আজ সকালে গাজার বরফপাত

জাস্ট আরডেট, যে এখন গাজায় রয়েছে, সে বিভ্রান্ত নয়। জাস্ট ব্যাখ্যা করছে কেন নেট নাগরিকরা শিলাবৃষ্টিকে নিছক বরফপাত হিসেবে অভিহিত করছে:

গুরুত্বের সাথে দেখছি, কেন গাজায় বরফপাত নিয়ে এত টুইট? আমি আজ সকালে গাজায় প্রবল শিলাবৃষ্টি হতে দেখেছি। তবে নিঃসন্দেহে আমার চোখ বরফ পড়া দৃশ্য এড়িয়ে গেছে।

সে আরো যোগ করেছে:

প্রচণ্ড বজ্রপাতের সাথে যে ঝড় তার সাথে শিলাবৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে, যা আজ সকালে নেমে আসে, এর সাথে বরফপাতের কোন ধরনের কোন সম্পর্ক নেই।

আর ডেনিস ফেটচো ব্যাখ্যা করছে যে বছরের এই সময়টা এ ধরনের আবহাওয়া দুর্লভ:

দৃশ্যত গত রাতে জেরাশ এবং উত্তর জর্দানে বরফ পড়ার ঘটনার সাথে গাজায় বরফপাতের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিল মাসে বরফ পড়ার সংবাদ শোনা যায় না যে তা নয়, তবে তা নিঃসন্দেহে বেশ দুর্লভ এক ঘটনা।

সাথে পাঠ করুন:

ঝড়ো আবহাওয়া মোকাবেলায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সাহায্য করুন।

Exit mobile version