“ওয়ান মিনিট শো” তে রাগান্বিত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান

তুরস্কের দৈনিক সংবাদপত্র হুরিয়েত টুডে’র [১০ মে, ২০১৪] রিপোর্টে বলা হয়েছে, “তুরস্কের বার ইউনিয়নের প্রধান মেতিন ফিয়জিওগলুর দেয়া বক্তৃতা শুনে প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপে এরদোগান ভীষণ চটেছেন। তিনি ফিয়জিওগলুর বিরুদ্ধে তাঁর দেওয়া বক্তৃতায় সরকারের বিভিন্ন কাজের “কঠোর” সমালোচনা করার অভিযোগ করেন।”  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুততার সাথে একটি ইন্টারনেট মেমে [ইংরেজীতে যা প্রস্তাব] তৈরি করেছেন। গত বছর গাজী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এটি একটি বিরতিহীন প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি বিশেষ করে হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমালোচনামূলক মতামত প্রকাশের অন্যতম একটি উপায়ে পরিণত হয়েছে।

এরদোগানের রাজনৈতিক ভাবধারার স্বপক্ষের দুর্বৃত্তরা খুব দ্রুত ফিয়জিওগলু বিরোধী দুটি হ্যাশটাগ খুলেছে এবং আরেকটি তাঁকে সমর্থন করেছে।

রাজধানী শহর আঙ্কারাতে রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের ১৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তিনি এই বক্তৃতাটি দিয়েছেন।

এরদোগানের দেশে “এক মিনিট শো” নামের একটি ভিডিও আপনি এখানে দেখতে পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী এরদোগান উচ্চতর বিচার বিভাগীয় সদস্যদের দিকে তাঁর ক্রমবর্ধমান সমালোচনার তীর ছুড়েছেন। তুরস্কে একটি শক্তিশালী সরকারের বিরুদ্ধে এই বিচার বিভাগীয় সদস্যরাই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একমাত্র রাষ্ট্রীয় শক্তি হিসেবে কাজ করেন।

এরদোগানের ভাবভঙ্গির কারনে সমালোচনার এই ঝড় আজ এক নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল যদি তাকে বাঁধা না দিতেন, তবে তিনি মঞ্চে উঠে জনাব ফিয়জিওগলুকে এক হাত নিতেন।

চার ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনটি টুইটার ট্রেন্ড বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলেছে। এরদোগানের রাজনৈতিক ভাবধারার স্বপক্ষের দুর্বৃত্তরা খুব দ্রুত গতিতে ফিয়জিওগলু বিরোধী দুইটি হ্যাশট্যাগ তৈরি করে ফেলেছে। একই সময়ে আরেকটি হ্যাশট্যাগে তাকে সমর্থন করতে দেখা গেছে। এমরেএরদোগান নামের একজন টুইটার ব্যবহারকারী ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এই টুইটার বার্তাগুলোকে এখানে একটি ছবির মতো সাজিয়ে তুলে ধরেছেনঃ  

একটি বিভাজনের কারণ বিশ্লেষণ: # YanındayızFeyzioğlu এর ভৌগোলিক অবস্থান, ইস্তাম্বুল  

আমি হয়তোবা রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) পক্ষের একজন বিশ্লেষক ইলিয়াসবাসয়ের সাথে একমত হব, যিনি বিশ্বাস করেন, জনাব ফিয়জিওগলুর এই নাটকীয় পদক্ষেপের নকশা করা হয়েছে যেন প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র সম্ভাব্য নেতা হওয়ার দৌড়ে তিনি এগিয়ে যান। নির্বাচনের রাজনীতিতে একজন দক্ষ কৌশলী হিসেবে এরদোগান জানেন যে ফিয়জিওগলুর এই অতি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ভিত্তি অনেক বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং সাধারণ কুর্দিশ নাগরিকদেরকে সিএইচপি পার্টির সমর্থকের সারিতে যোগ দিতে বাঁধা দিতে পারে। 

Exit mobile version