তুরস্কে টুইটার “বন্ধ করে দেওয়ার” প্রতিজ্ঞা এরদোগানের

তুরস্ক সরকার টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে-একই সাথে যাতে কেউ নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে তা ব্যবহার করতে না পারে তাই গুগলের পাবলিক ডিএনএস সেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। তবে দৃশ্যত মনে হচ্ছে তুরস্ক সরকারের ভিন্নমত সেন্সর করার পরিকল্পনায় পাল্টা আঘাত এসেছে, বিশেষ করে তুরস্কের বাইরে থেকে টুইট আসার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে।

সংবাদে জানা গেছে টুইটারের উপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির ১ কোটি টুইটার ব্যবহারকারী উপর প্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগানের নিজের লোকদের দুর্নীতির ঘটনার নথি প্রকাশিত হবার পর এই ঘটনা ঘটে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোগান শপথ নিয়েছেন তিনি “টুইটার বন্ধ করে ছাড়বেন” –এর সাথে যোগ করা হয়েছে, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বক্তব্যকে তিনি মোটেও পাত্তা দেন না।

মাইক্রো ব্লগিং সেবা বন্ধ করার এরদোগানের এই প্রচেষ্টাকে জুয়ান কোল “কুৎসিত” হিসেবে বর্ণনা করেছে:

এরদোগানের ইন্টারনেট সেন্সরশিপের এই কুৎসিত প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেছে এবং দ্রুত তা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তুরস্কের তরুণরা টর এবং ভিপিএন ব্যবহারে পারদর্শিতার প্রদর্শন করেছে এবং তুরস্কের টুইটারস্ফেয়ার এত দ্রুত আবার স্বরূপে নিজেকে পুনর্গঠিত করেছে যে সম্ভবত তা দেখে এরদোগানের মাথা ঘুরতে শুরু করেছে।

এরিক মেয়ারসন এর সাথে যোগ করেছে:

গত বছর তুরস্কের টুইটারকারীরা টরপ্রজেক্ট আবিষ্কার করে। তাই বিষয়টিতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে তুরস্কে টুইটার বন্ধ করে দিলেও নাগরিকরা এখনো টুইট করে যাচ্ছে।

এবং তুরস্কের গবেষক জেইনাপ তুফেকচি প্রাণ খুলে হাসছে এই কারণে যে বন্ধ করে দেওয়া সত্বেও দেশটির নাগরিকরা তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরছে:

:-)”সত্ত্বেও= কারণেও” আরটি@মাশাবেল, ওহ: বন্ধ করে দেওয়ার পরও তুরস্কে ১০ লক্ষ ২০ হাজার টুইট করা হয়েছে।

তবে, এর সাথে সে যোগ করেছেন:

প্রথমে ডিএনএস বন্ধ করে দেওয়া হল, এরপরে সামঞ্জস্যহীন আইপিএস বন্ধ করে দেওয়া হল, এরপর কোনটা বন্ধ করে দেওয়া হবে কে জানে। তুরস্ক উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এরপর দাদিরা টর-এর ব্যবহার করবে।

তুরস্কের থেকে এনগিন অনদের বর্ণনা করছে, কি ভাবে নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে টুইটার ব্যবহার করা যায়, টুইটার ব্যবহারকারীরা তার পদ্ধতি ছড়িয়ে দিচ্ছে:

আজ রাতে তুরস্কে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকজন #গুগল ডিএনএস সংখ্যা দিয়ে সরকারি দলের পোস্টার রঙ করছে।

Exit mobile version