উজবেকিস্তানের নির্যাতন নথির জাতিসংঘ পর্যালোচনায় তীব্র আর্তনাদ এবং মুষ্টি বদ্ধ আঘাত

মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান ১৯৯৫ সালের নির্যাতন (সিএটি) বিরোধী জাতিসংঘ কনভেনশনকে অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট [পিডিএফ] অনুযায়ী, নির্যাতন দেশটিতে একটি “রীতিসিদ্ধ চর্চা” হিসেবে রয়েই গেছে। যেহেতু জাতিসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কমিটি উজবেকিস্তানের সিএটির বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করতে সাক্ষাৎ করেছে, তাই স্টিভ সোয়ার্ডলো (@স্টিভসোয়ার্ডলো) জেনেভা থেকে সরাসরি টুইট করেছেন।

শুধুমাত্র সোয়ার্ডলোর কয়েকটি টুইট নিচে দেয়া হয়েছে। উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের দোষারোপ, জোরপূর্বক নারীদের বন্ধ্যাকরণ নিয়ে কাজ করতে বেশী আগ্রহী বলে তিনি নির্দেশ করেছেন। প্রধানত তীব্র আর্তনাদ, চিৎকার এবং বিশেষজ্ঞদের অপমানের মাধ্যমে তুলা ফসল তুলতে “দাস শ্রমিক” ব্যবহার করা নিয়ে তাঁরা কাজ করতে বেশী আগ্রহী বলেও তিনি নির্দেশ করেছেনঃ  

জেনেভা থেকে টুইট করেছেনঃ নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘ কমিটি এখন #উজবেকিস্তান নিয়ে পর্যালোচনা করছে। 

ঠিক দরজার বাইরেই #উজবেক [সরকারের] প্রতিনিধিরা #নির্যাতন বিরোধী [কমিটিকে] আবারো আটকাতে চেষ্টা করছে। প্রতিনিধিরা (তীব্র চিৎকার করে) বলছে যে, সিএটি এই বিষয়গুলো অবহেলা করছে। 

#উজবেক [সরকারের] প্রধানঃ “ইউরোপ [মানবাধিকার কমিটি] #উজবেকিস্তানে বার বার যে নির্যাতনের বিষয়গুলো খুঁজে পাচ্ছে, সেগুলো সুব্যবস্থিত কিনা, তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা একটি এশীয় দেশ”। 

সাম্প্রতিক বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, উজবেকিস্তানের সর্বত্রই নির্যাতন চালানো হয়। 

#নির্যাতন বিরোধী @জাতিসংঘ কমিটিতে #উজবেকিস্তানের প্রধান “কূটনীতিক” তীব্র আর্তনাদ করছেন, হাত মুঠো করে টেবিলে ঘুষি মারছেন, বিশেষজ্ঞদের ব্যক্তিগতভাবে অপমান করছেন।  

নির্যাতন বিরোধী @জাতিসংঘ কমিটির প্রকৃত প্রশ্নের উত্তর কি #উজবেকিস্তান দিবে? আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে তাঁরা উত্তর দিবে না।

৩৫ মিনিট পেরিয়ে গেছে, অথচ #উজবেক প্রতিনিধি #নির্যাতন নিয়ে কোন নির্দিষ্ট প্রশ্নের এখনও কোন যথাযথ উত্তর দেয়নি।

সিএটি বিশেষজ্ঞকে #উজবেক কর্মকর্তা: জোরপূর্বক মহিলাদের বন্ধ্যাকরণ করার একটি মামলাও আমরা দেশে পাইনি।

সিএটি বিশেষজ্ঞ, তুলা ফসল তুলতে জোরপূর্বক এবং শিশু শ্রমিক নিযুক্ত করার চলমান [রিপোর্টের] প্রতি মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করেছেন। @কটনক্যাম্পেইন

নির্যাতন বিরোধী কমিটি #উজবেকিস্তানকে প্রশ্ন করেছেঃ নির্যাতনের দোষারোপের ব্যাপারে আপনারা তদন্ত করছেন না কেন ? উত্তরঃ এটিকে বাঁধা দেয়ার কোন রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই। 

#উজবেক কর্মকর্তাদের নির্যাতন বিরোধী কমিটিঃ ২০০৫ সালের #আনদিজান গণহত্যা নিয়ে আমি আপনাদের কাছ থেকে কোন একটি কথাও শুনি নাই। অথচ সেখানে কয়েকশ লোককে হত্যা করা হয়েছে। 

#উজবেকিস্তানের প্রতি বিশেষজ্ঞঃ আপনাদের প্রতিক্রিয়ায় জোর করে বিশ্বাসপ্রবণতা আনা হচ্ছে। আমি আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছি। 

#উজবেক কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষজ্ঞঃ আপনারা সম্মত হোন আর নাই হোন যে, রীতিবদ্ধভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, আমাদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য নানা ধরনের দোষারোপ করা হচ্ছে। 

#উজবেকিস্তানের প্রতি বিশেষজ্ঞঃ তুলা ফসল তোলার সময় শ্রম দিতে বাধ্য করায় ২০১৩ সালে ৮ জন লোক মারা যাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে দয়া করে আমাদের কিছু বলুন। @কটনক্যাম্পেইন 

“তুলা ফসল” তুলতে দাস শ্রমিক ব্যাবহারের ব্যাপারেও উজবেকিস্তানের প্রতি অভিযোগ রয়েছে। “কটন পিকারস” ছবিঃ পেরেতজো, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯। 

নির্যাতন বিরোধী কমিটির বিশেষজ্ঞদের প্রতি #উজবেকিস্তানের প্রতিনিধি প্রধান আবারো চিৎকার এবং তীব্রভাবে আর্তনাদ করেছেন। 

#উজবেক কর্মকর্তা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছেনঃ “২০০৫ সালের #আনদিজান গণহত্যার ইস্যুটি আমাদের কাছে শেষ হয়ে গেছে। আমরা আর কখনো আর সেই ইস্যুটিতে ফিরে যাবো না”! 

প্রমাণাদিকে অভিযোগ করা থেকে বিপথগামী করতে, নির্যাতন বান্ধব কৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত বিশেষজ্ঞদের প্রতি #উজবেক কর্মকর্তা তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করেছেন। 

এবং নির্যাতন বিরোধী কমিটিতে এভাবেই #উজবেকিস্তান পর্বটি শেষ হয়েছেঃ নির্যাতন নিয়ে #উজবেকিস্তানের অত্যন্ত নিষ্ঠুর নথিভুক্তির জন্য কৈফিয়ত দেয়ার বাধ্যবাধকতার সত্যিই একটি দূর্লভ মূহুর্ত। 

স্টিভ সোয়ার্ডলো, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য এশিয়া বিষয়ক একজন গবেষক।
Exit mobile version