আজ সকালে (১৯ আগস্ট ২০১২) সৌদী মহিলা সক্রিয়তাবাদী ও টুইটার ব্যবহারকারী রীমা আল জোরেসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তিনি ঈদ-উল- ফিতর উদযাপনের জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। রমজানের পর ঈদ-উল- ফিতর মুসলিমদের বন্ধের দিন। আল জোরেহ ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিবর্তনমূলক অন্তরীণের একজন সোচ্চার সমালোচক। তাছাড়া তিনি আট বছর যাবত বিচারবিহীন অবস্থায় কারান্তরিন একজন বন্দীর স্ত্রী।
সৌদী আরবে নিবর্তনমূলক অন্তরীণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি ৫০০টি উপহারের সাথে পত্র বিতরণের পরিকল্পনা করেন।
আল জোরেহ ভোর ৫:১১ মিনিটে (সৌদী সময়) টুইট করেন [আরবি]:
শুভেচ্ছা, পুলিশ আমাকে ও আমার সন্তানদের গ্রেফতার করেছে।
আব্দুলআজিজ আল- শিহরি টুইট করেনঃ
মোহাম্মাদ আল-অগাইমি বলেনঃ
টুইটারে আল জোরেহ এর মন্তব্য অনুসারীর সংখ্যা, তাঁর পোস্ট লেখার সময় যা ছিল তা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৫০০ জন হয়েছে এবং ক্রমাগত তাঁর অনুসারী বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রীমা মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর সাথে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তিনি একাধিক টুইট করেনঃ
ভোর ৪:৩০ মিনিটে আমি আমার উপহারসহ ঈদ মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। আমার বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে তাঁরা আমাদের গাড়ি থামাতে চেষ্টা করে এবং আমাদের দিকে মেশিন গান তাক করে। আমার মেয়ে সারা তাঁদের বলেঃ “তোমরা আমার বাবাকে চুরি করেছ আর এখন আমাদের চুরি করতে এসেছ?” ।
তাঁরা আমার ক্রন্দনরত মেয়ে মারিয়াকে [অন্য মেয়ে] থামাতে চেষ্টা করে। তাঁরা আমার ছেলে মোয়াত কে ধরে এবং গাড়িচালককে গাড়ি থেকে বের করে, এরপর একজন পুলিশ আমার ফোন কেড়ে নেবার চেষ্টা করে, এ সময় মোয়াত তাঁদেরকে আমার গায়ে হাত না বলে […] তাঁরা উপহারগুলো নিয়ে যায় […] একজন পুলিশ সামনের আসনে চালকের পাশে বসে এবং চালককে বুরাইদার জেনারেল ইন্টেলিজেন্স অফিসে যেতে বলে। এক ঘণ্টা ধরে তাঁরা জেরা করে এবং ঐ বাক্সগুলোতে […] তাঁরা বিস্ফোরক খোঁজার চেষ্টা করে। তাঁরা আমাকে আমার স্বীকারোক্তি লিখে দিতে বলে।