ভিডিওঃ প্লুরাল+ ২০১১-এর পুরষ্কার প্রাপ্ত তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা

চিন্তা সৃষ্টিকারী স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য এবার সারা বিশ্বের তরুণদের নিউইয়র্ক শহরে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।এই সমস্ত স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে বৈচিত্র্যময়তা, অভিবাসন এবং সামাজিক অর্ন্তুভুক্তির মত বিষয়কে উপস্থাপন করে শান্তিপূর্ন এবং বৈচিত্র্যময় বহু সংস্কৃতিক সমাজ নির্মাণের প্রস্তাবনা।

Multicolor handprints on white cloth. Image by Flickr user John-Morgan (CC BY 2.0).

সাদা কাগজে বিভিন্ন রঙের হাতের প্রিন্ট, সিসিবাই, ছবি জন মর্গানের

প্লুরাল+ ইয়োথ ভিডিও ফেস্টিভ্যাল, তরুণদের সামাজিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে এবং এই পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জয়লাভ করার প্রচেষ্টার জন্য তাদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

আসুন আমরা কিছু পুরষ্কার বিজয়ী ভিডিও দেখি। গিফট নামক ভিডিওটিও পাং জিয়া উই, রায়ান চুন টান মিন এবং মালয়েশিয়ার টংকু আব্দুর রহমান কলেজ মিলে তৈরি করেছে। এই ভিডিওটি ১৮-২৫ বছর বয়স বিভাগে পুরষ্কার অর্জন করেছে। এতে আমরা দেখতে এবং শুনতে পাব, কি ভাবে তারা, নানাবিধ বৈচিত্র্যের দ্বারা একটি জাতিকে গঠন করছে।

দি নিউ পর্তুগীজ একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র, যা পর্তুগালে অভিবাসনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। অভিবাসীদের দেশটির অন্য প্রান্ত থেকে রাজধানী লিসবনে আসা, কিংবা তাদের পিতামাতা যেখান জন্মগ্রহণ করেছে সেখান থেকে পর্তুগালে আসার ঘটনা নিয়ে এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে অভিবাসীদের স্থানীয় হয়ে যেতে এবং শহরে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে এবং যে দেশটিকে নিজেদের স্বদেশ বলে, সেখানেও নিজেদের মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে হয়।

উইশ হচ্ছে চিনের একটি পরিবারের উপর তৈরি করা স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, এটি একটি বালকের গল্প, যে তা দাদার সাথে বাস করে, যার বাবা মা, জীবিকার প্রয়োজনে তাদের থেকে অনেক দুরে একটি শহরে বাস করে। এখানে দেখা যাচ্ছে বালকের পিতামাতা তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক ভাবে সেই সব কাজ করছে, যা তাদের পরিকল্পনার চেয়ে বেশী চ্যালেঞ্জিং।

আই এ্যাম কোয়াইকুয়েনিয়া হচ্ছে আর্জেন্টিনা এবং বলিভিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায জন্ম গ্রহণ করা এক তরুণীর চিন্তার উপর নির্মিত তথ্যচিত্র। উক্ত তরুণী এমন এক জায়গায় বাস করে, যেখানে কোনকিছু সহজ নয় বিশেষ করে যখন ভৌগলিক অবস্থান এবং রাজনীতি এতে যুক্ত হয়ে যায়:

একই সাথে অনেক বিষয়ে মিল থাকার মানে যথেষ্ট নাও হতে পারে, যখন এ ক্ষেত্রে একটি ভিন্নতা কাজ করতে থাকে যাকে আরো বৃহত্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়… ইজরায়েল থেকে আসা ভিডিও বিটুউইন আস টু-এই ঘটনাকে তুলে ধরছে।

আওয়ার হুড-এ ওয়েফেলাম ক্রু নামক দলটিকে তুলে ধরেছে। এটি একটি সঙ্গীত দল, যার সঙ্গীত সৃষ্টি করে রাস্তার ছেলেরা। তারা সবাই কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি শহরের বিভিন্ন পরিত্যাক্ত এলাকায় বাস করে। তারা গান গায় এবং বলে যে কি ভাবে সঙ্গীত তাদের জীবনকে বদলে দিয়ে আরো সুন্দর করেছে, সঙ্গীত তাদের শিক্ষা দিচ্ছে কি ভাবে প্রতিকূলতার মাঝে বেড়ে উঠতে হবে এবং জীবনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে যেতে হবে:

এক্সাইল সং-এ, এক তরুণকে দেখা যাচ্ছে, যে তার পিতাকে চিঠি লিখছে। তরুণটির পিতা চাকুরির জন্য সারা জীবন গৃহ থেকে দুরে দুরে কাটিয়েছে। তরুণ তার পিতাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যখন তার ইচ্ছে হবে গায়ক পাখির গান শোনার এবং তালগাছ গুলো দেখবার……তখন পিতাকে যে কাজটি করতে হবে, তাকে বাড়ি ফিরে আসতে হবে।

বিলং-এ, ফিনল্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন অভিবাসীরা নিজেদের দেশ থেকে দুরে বাস করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেছে। এবং তারা এখানে আলোচনা করছে কোন কোন বিষয় তাদের এই অনুভূতি এনে দেয় যে, তারা তাদের এই নতুন বাসস্থানেরই একটি অংশ।

প্লুরাল + ইয়োথ ভিডিও এ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে আপনারা অন্য সব পুরষ্কার বিজয়ী ভিডিও দেখতে পাবেন।

 

Exit mobile version