লিবিয়া: সমৃদ্ধ, প্রাণবন্ত এবং ঐতিহাসিক সময়ের ছবি

এই পোস্টটি লিবিয়ার গণজাগরণ ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

বৃটিশ সার্জন এবং মানবতাবাদী এক লেখক, আমাল আল-লিব্বি ছদ্মনামে লিখে থাকেন। তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে তার টুইটার একাউন্টে পুরোনো কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। এর আগে বিভিন্ন সময় লিবিয়ায় বেড়াতে যাবার সময় তিনি এ সব ছবি তুলেছিলেন। @লিবিয়ানসরিভোল্ট নামক তার টুইটার একাউন্টে প্রকাশ করা এ সব ছবি তিনি যে লিবিয়াকে স্মরণ করেন, তাকে তুলে ধরছে।

@ লিবিয়ানসরিভোল্ট : এর আগে বিভিন্ন সময়ে #লিবিয়া ভ্রমণে তোলা ছবি…

রাতের বেলা পুরোনো ত্রিপলিতে অবস্থিত মার্কাস আউরেলিয়াসের খিলান। ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

ত্রিপলির উপকূলীয় এলাকা দিয়ে তিনি তার ছবির যাত্রা শুরু করেছেন- তার ছবি শহরের বাজারকে তুলে ধরছে, যেখানে রাস্তার পাশে সব্জি বিক্রেতারা বসে আছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঝালাইকার, যারা “জাঙ্গাস” নামে পরিচিত তারা পুরোনো শহরের গলিপথে বাস করছে। এমনকি যারা উট পাখির ডিম বিক্রি করছে এখানে তাদের ছবিও রয়েছে।

এ ছাড়াও, তিনি আরো কিছু ছবি প্রদর্শন করেছেন যেগুলো শহরের ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুকে তুলে ধরছে, যেমন উসমানিয়া সাম্রাজ্যের প্রাসাদ আল-সারাইয়া আল-হামরা (লাল প্রাসাদ), এই প্রাসাদটি পুরোনো ত্রিপলি শহরে অবস্থিত, এবং এটি এখন রোমান স্থাপত্য, মোজাইক এবং ভাস্কর্যের এক জাতীয় সংগ্রহশালা

তার অন্য কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছেগাদ্দাফিপন্থী স্লোগান আর ব্যানার-এর দৃশ্য, যা সারা শহর ভরে আছে, ছবিতে দেখা যাচ্ছে শহীদ চত্বর, পরে গাদ্দাফি যার নাম সবুজ চত্বর করে ফেলে

অউসবান, লিবিয়ার এক বিখ্যাত রান্না। এটি অনেকটা হ্যাগিস নামে পরিচিত মসলাদার ভেড়ার মাংসের মত এক রান্না। ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

এরপর তিনি লেপটিস মাগনার ছবি প্রকাশ করেছেন, এটি ছিল রোমান সাম্রাজ্যের এক অন্যতম শহর, এবং আল খুমাসের কাছে এখনো এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়, এটি ত্রিপলি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দুরে, যেখানে ওয়াদি লেবদা সমুদ্র উপকূলের সাথে মিশেছে সেখানে অবস্থিত। তিনি এই ধ্বংসাবশেষের অনেক ছবি তুলেছেন:

লেপটিস মাগনা লিবডার কলোসিয়াম, ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার অনেক শহরের এক সাধারণ চিহ্ন। ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

লেপটিস মাগনা হচ্ছে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম এক অংশ, আর এ কারণে যদি কেউ লিবিয়া ভ্রমণে যায়, তাহলে আমল তাকে এই এলাকাটি ভ্রমণ করার কথা বলছে, এবং এর সাথে সে যোগ করেছে : ” কেউ যদি এই সব এলাকার কোন প্রকার ক্ষতি করে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে সেই ক্ষতি পুরণ করতে হবে”।

প্রাচীন এক মসজিদ-৬৬৮ সালে এটি বানানো হয়। ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

এরপর তিনি তার চাচার খামার , লিবিয়ার মরুভূমি, বালিয়াড়ি, তাল জাতীয় উদ্ভিদ, বাঁধ এবং হাজার বছরের পুরোনো মাটির শহরের ছবি প্রদর্শন করেছেন।

লিবিয়ার মরুভূমির মাঝে গাবেরউন নামক মরূদ্যান। এর পানি ডেড সি নামক হ্রদের পানির চেয়েও লবণাক্ত! এখানে আপনি অনায়াসে ভেসে থাকতে পারবেন ! ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

জেবাল নাফুসার মাঝে অবস্থিত কাসর এলহাজ। এটি এক প্রাচীন শস্য সংরক্ষণাগার। ছবি @লিবিয়ানসরিভোল্ট-এর।

সবশেষে তিনি আমাদের এক স্থানীয় পর্বতে নিয়ে যান, যেখানে তিনি এক প্রাচীন গুহাচিত্রের ছবি প্রদর্শন করছেন। এই সব চিত্র যিশুখ্রিষ্টের জন্মের আগে ৫,০০০-থেকে ১০,০০০ বছরের পুরোনো। তিনি এর সাথে যোগ করেন যে, এ রকম প্রাচীন সময়ের অনেক গুহাচিত্র রয়েছে, বিশেষ করে আকাকাস পাহাড়ে এ রকম অনেক চিত্র দেখতে পাওয়া যায়, তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, গ্রাফিতি নামক বিশেষ আঁকাআঁকির কারণে এর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এই পোস্টটি লিবিয়ার গণজাগরণ ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

Exit mobile version