সম্প্রতি শেনঝেন-এ দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং ইউয়ানের বিপরীতে ক্রমাগত হংকং ডলারের অবমূল্যায়ন হওয়ায়, কিছু শেনঝেনবাসী তাদের নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য হংকং এ যাত্রা করছে। আসুন হংকং এবং শেনঝেনে এ সমস্ত প্রতিদিনের খাদ্য সামগ্রীর দামের পার্থক্য কতখানি তা তুলনা করে দেখি: শেনঝেনে এক ব্যাগ রান্নার লবণের দাম ২ আরএমবি (চীনা মুদ্রা), কিন্তু হংকং-এর সুপারমার্কেটে তার দাম ১.১ হংকং ডলার, যা মাত্র ০.৯০ আরএমবির সমান; শেনঝেনে এক কেজি ফুজি আপেলের দাম ইতোমধ্যে ১২ আরএমবি-তে এসে ঠেকেছে অথবা সেখানে প্রতিটি আপেলের দাম ৪ আরএমবি, কিন্তু হংকং-এ সমান আকারের চারটি আপেল আপনি ১০ হংকং ডলারে কিনতে পারবেন। শেনঝেনে ইতোমধ্যে একটি ডিমের দাম বেড়ে ০.৯০ আরএমবি-তে এসে দাড়িয়েছে। কিন্তু হংকং-এর ওয়েলকাম সুপারমার্কেটে সমান বা সামান্য ছোট আকারের ৩০টি ডিমের দাম ২৩ হংকং ডলার, অথবা প্রতিটি ডিমের দাম ০.৭ আরএমবির চেয়ে কম। দশটি ভিন্ডা নামক টয়লেট পেপারের দাম শেনঝেনের সুপার মার্কেটে ৩২.৫০ আরএমবি, কিন্তু হংকং-এর সুপার মার্কেটে তার মূল্য ২৮ হংকং ডলার; শেনঝেনের সুপারমার্কেটে ৭৫০ মিলিলিটার রিজয়েস শ্যাম্পুর দাম ৩৯ আরএমবি, কিন্তু হংকং-এর সুপার মার্কেটে ৬১ হংকং ডলারে আপনি এ রকম দুটি শ্যাম্পুর বোতল কিনতে পারবেন….
সম্প্রতি শেনঝেন-এ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া সকল স্থানে সব্জির দাম কিলো প্রতি ৯ আরএমবি বা তার চেয়ে বেশী হয়ে গেছে।অন্য প্রদেশ থেকে শেনঝেনে কাজ করতে আসা আমাদের অনেকে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিদের মত সহজেই হংকং-এ ভ্রমণের অনুমতি পায় না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আমরা সীমানা পাড়ি দিয়ে হংকং-এ যেতে পারি না, কিন্তু তবে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় রয়েছে; সেটি হচ্ছে আমাদের ছাদ, বায়ু চলাচল পূর্ণ এবং বিশাল জায়গা সম্বলিত এই সমস্ত ছাদ যদি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে, তাহলে তা কতই না এক বাজে ব্যাপার হবে। সামান্য হাতের কাজ এবং কিছু মাটি থাকলে আমরা আমাদের জন্য এক বাগান তৈরি করে ফেলতে পারি। যতক্ষণ না তারা আমাদের ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলতে পারছে, ততক্ষণ আমরা আমাদের জন্য এই প্রথা বেছে নিতে পারব এবং নিজেদের খাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সব্জি উৎপাদন করতে সক্ষম হব। এ ভাবে আমরা চাষের মাধ্যমে কিছু জিনিস পেতে পারি।
একদিন আমি বেশ সকালে উঠলাম এবং বারান্দায় গেলাম। সেখান থেকে আমরা চারপাশে যে সমস্ত ছাদ রয়েছে, সেগুলোর দিকে তাকিয়ে একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম। আমি আমার দুরবীন নিয়ে এলাম এবং খুব সতর্কতার সাথে চারপাশে তাকালাম, এতে খেয়াল করলাম যে আমি ছাদের উপর যে সমস্ত বাগান রয়েছে সেদিকে তাকাচ্ছি।
প্রতিটি কোণায় বাগান; এখানে বাড়ির মালিক তার চারা গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে।
এই দুই প্রতিবেশীকে দেখে মনে হচ্ছে তারা একে অপরকে বাগান করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছে।
সকলের নিজস্ব ছোট বাগান রয়েছে এবং তারা একে অপরকে প্রয়োজনে সাহায্য করছে এবং পরস্পরের সাথে সবকিছু আদান প্রদান করছে।
এখানে চারা রোপন করার পাত্রগুলোকে একপাশে রাখা হয়েছে এবং সেখানে পুনরায় চারা বপন করা হবে।
এমনকি তারা গ্রীনহাউজ নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।.
এই সমস্ত লোকেরা ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, নির্মাণ সামগ্রীর সকল উপাদান এখানে আনা হয়েছে, মনে হচ্ছে তারা সকলে সবকিছুর জন্য তৈরি।