বৈরুত থেকে টুইটার বার্তা: আরব ব্লগারদের কর্মশালার দ্বিতীয় দিন

লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত আরব ব্লগারদের কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয় হার্ডিক্ট ওয়েব এর উপর একটি উপস্থাপনা দিয়ে। এই সাইটটি ক্রাউড সোর্সিং (জনগণের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ) এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে ইন্টারনেট সেন্সরশীপের ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করে। কর্মশালায় অংশ নেয়া কাতারের মোহাম্মদ বশীর হার্ডিক্টের উপর উপস্থাপনার একটি ছবি তুলে দিয়েছেন টুইটারের মাধ্যমে।

এই উপস্থাপনার পরে মিশরের ব্লগার মানাল আরব প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষ করে জোর দেন মিশরের নারী প্রযুক্তিবিদদের উপর। লেবাননের নাইটএস তার টুইটার বার্তায় এই খাতে আরও বেশী সংখ্যক নারীদের অংশ নেবার অনুরোধ জানান।

মানালের তথ্যমূলক উপস্থাপনার পরে ব্লগাররা ভাগ হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দলগত কর্মশালায় যোগ দেয়। হামযোজের পরিচালনায় একটি কর্মশালায় ইরাক থেকে ব্লগিং এর উপর আলোচনা করা হয়। মুহাম্মদ বশীর সেটিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং টুইট বার্তায় জানিয়েছেন:

ইরাকে আমার মোবাইল ক্যামেরা আমার বিশ্বস্ত বন্ধু। এটির মাধ্যমে ছবি তুলে আমি আমার ব্লগে দেই।

ক্রিয়েটিভ কমন্স এর প্রতিনিধি দোনাতেল্লা দেল্লা রাতাও কর্মশালায় ছিলেন। তিনি বলেন:

তার জীবনের দুই দিক সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রদর্শনের পর @হামরোজ www.iraqistreets.com (ইরাকীস্ট্রীটস,কম)সম্পর্কে বলছে #ab09 এ

বাহরাইনের আমিরা আল হুসাইনি ইয়েমেন রাইজিং ভয়েসেস এর প্রকল্পের প্রধানের (ঘাঈদা আল আবসি) একটি কর্মশালায় যোগ দেন। তিনি এই উপস্থাপনায় অভিভূত:

ঘাঈদা আল আবসি: রাইজিং ভয়েসেস এর ক্ষুদ্র অনুদান সাহায্য করেছে ইয়েমেনে ৬৭টি (মহিলাদের) ব্লগ খুলতে।

দিনের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য উপস্থাপনাটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। মীদানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আনাস তাউইলেহ তার আরবী-ইংরেজী স্বেচ্ছাসেবী অনুবাদ প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। ইরাকী ব্লগার সালাম পাক্স তার টুইট বার্তায় তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।

আনাস তার উপস্থাপনা দিয়ে সমগ্র দর্শক-শ্রোতাদের অভিভূত করে রেখেছিলেন। আমি নিশ্চিত, আমরা সবাই ভাবছি, আমরাও এর অংশ! ওয়াও!

তাউইলেহ ইন্টারনেট সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য দিয়ে তার উপস্থাপনাটি শুরু করেন। যার মধ্যে ছিল বছরে ফেসবুকে কতটুকু সময় ব্যয় করা হয় এবং সেটিকে যদি কর্মসময়ে মাপা যায় তাহলে সেই শ্রম দিয়ে ৯ দিনে গিজার পিরামিড বানিয়ে ফেলা যায়। আমিরা আল হুসাইনি তাউইলেহর আরও কিছু মজার তথ্য টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন।

@আনাসতাউই জিজ্ঞাসা করেছেন দর্শক-শ্রোতাদের যে তারা পূর্ব থেকে একে অপরকে অনলাইনে চেনেন কিনা: অনেকেই হাত উঠিয়েছেন।

মীদানের ধারণাটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কয়েকটি শব্দে মরোক্কোর ব্লগার হিশাম জি বলেছেন:

@আনাসতাউই একটি চমৎকার ধারণার কথা বলছেন: একটি বহুভাষী ওয়েব তৈরি করা।

সর্বশেষে মীদান (পুরো কর্মশালার তথ্য এখানে) নিজেই টুইটার বার্তায় বলেছে যে তারা কর্মশালা থেকে প্রকাশিত টুইট বার্তাগুলো অনুবাদ করবে (যা #ab09 হ্যাশট্যাগে খুঁজলে পাওয়া যাবে)।

আরব ব্লগারদের ওয়ার্কশপের প্রথমদিনের উপর টুইটার বার্তায় প্রতিক্রিয়াগুলো পাবেন এখানে
Exit mobile version