আর্মেনিয়া: তরুণ কর্মী আটক

তরুণ কর্মী ভাংচুরের অভিযোগে আজারবাইজানে যখন বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন যেখানে চাক্ষুস সাক্ষীরা বলে যাচ্ছেন যে তারা আসলে আক্রমণের শিকার ছিলেন, সেখানে চিন্তার উদ্রেক হচ্ছে যে তরুণ কর্মীদের উপর নীপিড়ন অত্র অঞ্চলের একনায়কতন্ত্রের কার্য ধারায় পরিণত হচ্ছে।

এটি বিশেষভাবে আর্মেনিয়ার একই ধরনের একটি ঘটনার ক্ষেত্রে সত্যি যেখানে জুলাই এর প্রথম দিকে একটা রাজনৈতিক র‌্যালীর প্রচারণার লিফলেট বিতরনের সময়ে বিরোধী তরুণ মুভমেন্ট হিমা! (এখন!) এর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছিলেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে এদের কেউ কেউ পুলিশের পিস্তলের বাটের মার খেয়েছিলেন।

একজন কর্মীকে ভাংচুরের অভিযোগে আটকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদী ব্লগ যেমন ফ্রি আর্মেনিয়া তাকে সব থেকে ‘কনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্দী’ হিসাবে ভাবতে বলেছে।

তরুণ প্রতিবাদী কর্মী তিগ্রান আরাকেলিয়ান ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে গত ৫ই জুলাই ২০০৯ এ গ্রেপ্তার হন আর্মেনিয়ার পুলিশ দ্বারা। পহেলা জুলাই ২০০৯ এ প্রায় ১৫ জন পুলিশ সাদা পোশাকে প্রায় ৩০ জন তরুণ বিরোধী কর্মীর তাদের উপরে বন্দুক নিয়ে হামলা করেন, যারা ইয়েরিভানে ২রা জুলাই ২০০৯ এ বিরোধীদলীয় র‌্যালী সম্পর্কে প্রচারের লিফলেট বিতরন করছিলেন। ৩ জন গুরুতরভাবে প্রহৃত হন আর সার্ব গ্রিগোর লুসাভোরিচ হাসপাতালে তাদেরকে নেয়া হয়।

আর একজন বিরোধী ব্লগার নাজারিয়ান এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ব্লগে আরাকেলিয়ানের একটা ছবি পোস্ট করা হয়েছে, দেখানোর জন্যে যে সে বামণাকৃতির আর অভিযোগ করেছেন যে যাদেরকে আক্রমণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তারা আসলে গোপন এজেন্ট।

ভাংচুরকারীদের দল দেখা গেল, কেজিবির লোক সাধারন পোশাকে।
গতকাল পিস্তল দিয়ে মারা একজন তিগ্রান আরাকেলিয়ানকে বন্দী করা হয়- তাকে ডাকা হয় ওই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে কিন্তু পরে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ:
-তিনজন পুলিশের উপরে হামলা
-তাদেরকে মারা, এবং;
পুলিশ যখন তার কাছ থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালাচ্ছিল, তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ:
-তাদেরকে তাড়া করা এবং;
-তাদেরকে আবার মারা।

এক মুহূর্তের জন্য মনে হতে পারে জনাব আরাকেলিয়ান একজন হিংস্র পশু কিন্তু উপরের চিত্র দেখায় যে একজন সাধারন মেন্ট (আর্মেনিয়ার পুলিশ) যে যায়গা দখল করে সেস্থানে দুইজন আরাকেলিয়ানকে রাখতে হবে।

তাহলে আমরা আর একজন রাজনৈতিক বন্দী পেলাম।

হিমা ব্লগ জানিয়েছে যে আরাকেলিয়ান তখন থেকে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন আর বিরোধী সাংসদীয় জোটের অন্যতম রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন তার সাথে যোগ দিয়েছেন। শাস্তি এখনো দেয়া হয়নি আর এই কর্মীকে দুই মাস ধরে বন্দী রাখা হয়েছে বিচার না করে।

আরাকেলিয়ানের সমর্থনে একটা ফেসবুক পাতা চালু করা হয়েছে।

Exit mobile version