ইরান: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তীব্র বির্তকের প্রতিক্রিয়ায় ব্লগাররা

ইরানের দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজদা এবং প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী মীর হোসেন মুসাভি জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক উত্তেজনাকর বিতর্কে অংশ নেয়। এই অনুষ্ঠান জুনের চার তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। আহমাদিনেজাদ অভিযোগ করেন যে মুসাভি একদল “দুর্নীতিপরায়ন” রাজনৈতিক ব্যাক্তির সমর্থন লাভ করেছেন, যেমন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আকবর হাশেমি রাফসানজানি। মুসাভি তার প্রতিউত্তরে বলেন, আহমাদিনেজাদের রাষ্ট্র পরিচালনা সারা বিশ্বে ইরানের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে এবং ইরানকে স্বৈরতান্ত্রিকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

নিকাহাঙ্গ কোসার একজন নামকরা কার্টুনিষ্ট এবং ব্লগার, তিনি তার ওয়ান কার্টূনে এই বির্তক নিয়ে তার চিন্তা সবার সাথে ভাগাভাগি করেছেন।

ইরানের একজন ব্লগার এবং সাংবাদিক ডিজিটাল কালশনিকভ, তিনি এই বির্তকের পর আহমাদিনেজাদ এর সমর্থকদের উৎসবের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এখানে তারা রাফসানজানির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, যেমন “আকবর শাহ নিপাত যাক”।

ট্রাইবুনে আজাদ কয়েকটা ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে আহমাদিনেজাদ এবং মুসাভির সমর্থকরা নিজেদের প্রিয় প্রার্থী এই বিতর্কে জিতছে ধরে নিয়ে তেহরানের ভালি আসর রাস্তায় উৎসব করেছে। ব্লগাররা পর্যবেক্ষণ করেছে যে আহমাদিনেজাদের কিছু সমর্থক সে সময় লেবাননের হেজবুল্লা দলের পতাকা উড়াচ্ছিল।

আহমাদিনেজাদ যে সমস্ত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব যেমন রাফসানজানির সমালোচনা করেছেন তাতে হারফেহেসাবি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ব্লগার বলছেন [ফার্সী ভাষায়] হয় আহমাদিনেজাদ সবচেয়ে বিপ্লব বিরোধী রাষ্ট্রপতি অথবা আমরা জানতাম না বিপ্লব এতো নোংরা, যদি তিনি রাফসানজানি এবং তার পুত্রদের ব্যাপারে কথা বলেন, যারা ৫০ বছর ধরে ইরানের মহান নেতার বন্ধু ছিল, এভাবেই।

জমহুর লিখেছেন, বির্তকের পর উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে বিবেচনা করতে থাকে। ব্লগার বলছেন বির্তকে জেতা মানে এই নয় যে প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। জমহুর লিখছেন একজন প্রার্থী হেরে যেতে পারে কারন তার কৌশল মিথ্যা বলা, সে হয়তো অনেক ভোটারকে আকর্ষণ করতে পারে।

আলি এগাহবালি লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়] যে আহমাদিনেজাদ মুসাভিকে ব্যাখ্যা করতে বলছেন কিভাবে রাফসানজানির পরিবার কোটিপতিতে পরিণত হয়েছে… মুসাভির কাছে এর উত্তর নেই। ব্লগার যোগ করেছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা সরকারী কর্মচারীদের [আহমাদিনেজদা] পাহারা দেবার ক্ষেত্রে আরো সর্তক থাকতে হবে।

মোল্লা হাসান লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়] তারা সৌভাগ্যবান যারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বে থেকে এ ধরনের কথা বলেন। কল্পনা করুন যদি কোন লেখক, ছাত্র অথবা সাংবাদিক আহমাদিনেজাদ যা বলেছেন তা যদি লিখত, তাহলে সে এক কল্পনার বাইরে বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়তো।

ইরানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলি আবতাহি বলেন [ফার্সী ভাষায়] এই বির্তকে আহমাদিনেজাদ নৈতিকতার মৃত্যু ঘটালেন। তিনি ভোট পাবার জন্য যা করতে হয় তাই করেছেন।

হেরফে খবরানজার (মানে পেশাগত সাংবাদিক)লিখছেন [ফার্সী ভাষায়] কেবল মুসাভি এই বির্তকে জিতেছেন। ব্লগার সেই মুর্হুতের ভক্ত, মুসাভি যে মুহুর্তে আহমাদিনেজাদের অভিযোগের জবাবে জনগণকে বলেন, আপনি যা দেখেছেন আমি তার পরিবর্তন ঘটাতে চাই।

Exit mobile version