গত সপ্তাহে, সাহারাউই আর স্প্যানিশরা একত্র হয়েছিল মরোক্কো আর পশ্চিম সাহারার মধ্যে নির্মিত বার্মের (“লজ্জার দেয়াল”) বিরুদ্ধাচরনের জন্যে যার উপরে মরোক্কো সার্বভৌমত্ব দাবি করে। এই বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছিল লজ্জার দেয়ালের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক মার্চ, যা শেষ হয় অজ্ঞাতসংখ্যক সাহারাউইদের ভুমিমাইনে আহত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
তিন্ডুফে অবস্থিত সাহারা অসিডেন্টাল একজন মাত্র ব্লগার যিনি ঘটনাটা আলোচনা করছেন। এই মার্চ শুরুর আগে ব্লগার লিখেছেন:
বৃহষ্পতিবারের বিকালে শত শত স্প্যানিশ পর্যটক সময় অতিবাহিত করেছে মার্চের জন্য চুড়ান্ত আয়োজন করতে। তারা একাত্মতা জানাচ্ছে মরোক্কান নির্মিত দেয়ালের সামনে বিক্ষোভে যা পশ্চিম সাহারাকে দুই ভাগ করেছে।
মধ্যাহ্নভোজ তৈরি করা হয়, ব্যাগ গোছানো হয়, আর প্রারম্ভিক সেশন করা হয় ঠিক করতে যে শুক্রবারের অনুষ্ঠানের জন্য সব অংশগ্রহণকারী প্রস্তুত আছে। এটির আয়োজন আর পরিচালনা করছে সাহারাউই মহিলাদের জাতীয় ইউনিয়ন (ইউএনএমএস)।
প্রায় ৩০০ জন স্প্যানিশ সম্মত হয়েছেন এই দুই ঘন্টা যাত্রা করার জন্য, কিন্তু বেশ কয়েক শত- জার্মানি, ইটালি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, এল সালভাদর, মেক্সিকো আর অন্যান্য দেশ থেকে- তাদের সাথে থাকবে তারা যখন তারা বিক্ষোভ করবে। বিরোধীতা দেখাবে পশ্চিম সাহারায় মরোক্কোর দখল আর শারিরিক যে বাধা নির্মান করা হয়েছে আলজেরিয়ার তিন্দুফ আর মরোক্কোর দখলকৃত এলাকার মধ্যে ফলে সাহারাউই শরণার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারছে না।
ব্লগার তার পরে বলেছেন যে, বিক্ষোভের সময়ে, পাঁচজন সাহারাউই আহত হয়েছেন, যখন ১৯ বছরের একজন ভুল করে একটা ভূমি মাইন ফাটিয়ে ফেলে:
পাঁচজন সাহারাউই আহত হয়েছেন শুক্রবার রুস এসাবতিতে, সাহারাউই রেফিউজি ক্যাম্পের ৭০ কিমি দূরে, যখন ১৯ বছরের একটা ছেলে ভূমিমাইনের উপরে পা দিয়ে দেয়।
আহতরা, আরো ৩০০০ সাহারাউই আর আর্ন্তজাতিক কর্মীদের সাথে একটা শান্তিপূর্ন বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছিল মরোক্কোর সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে যা পশ্চিম সাহারাকে বিভক্ত করে।
বিষ্ফোরণটি ঘটে যখন ওই পাঁচজন দেয়ালের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল একটা কাঁটাতার বেড়ার বাধা সরিয়ে যা এটাকে ঘিরে রাখে। এটি সাহারাউদের কাছে পরিচিত লজ্জার দেয়াল হিসাবে। আহতদের মধ্যে তিনজন, যাদের সনাক্ত করা গেছে ইব্রাহিম হুসেন আবায়েত, হামদি ফাদলি আদবেলাহি আর মোহাম্মাদ সালিম বুদা লারোসি নামে, একটা সক্রিয় ভুমি মাইন মাঠের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ৩০০ আরো বিক্ষোভকারীর সাথে।
সাহারাউই রেফিউজি ক্যাম্প ডাখলার ইব্রাহিমের অবস্থা সব থেকে খারাপ, তার বাম পায়ের অর্ধেকের বেশি বিষ্ফোরণে হারিয়েছে। হামদি আর মোহাম্মাদ তাদের মুখ, হাত আর পিঠে কিছু পোড়া আর শারপ্নেলের আঘাত পেয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে দুইজন সাহারাউই মারা গিয়েছিল ভুমিমাইন ফেটে যাওয়ায়। পশ্চিম সাহারায় জানামতে হাজার হাজার ভুমিমাইন আছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে পড়ে আছে।