কঙ্গো: কিভুর সমস্যা

ডেমোক্রেটিক রিপাব্লিক অফ কঙ্গো এ মাসের রাউন্ডআপে উত্তর আর দক্ষিন কিভুর ব্লগারদের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। রুয়ান্ডা আর বুরুন্ডির সীমান্তে অবস্থিত এই দুই প্রদেশ মধ্য আফ্রিকার সুন্দর গ্রেট লেক অঞ্চলের সংঘাতময় কেন্দ্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।

গত কয়েক মাস ধরে টেনশন বাড়ছিল, কারন লরেন্ট এনকুন্ডা নামক বিপ্লবী একজন জেনারেল তার বাহিনীকে জাতীয় বাহিনীর সাথে যোগদান না করতে দিয়ে বরং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি নিজেকে রুয়ান্ডার হুতু বিপ্লবীদের ( এফডিএলআর/ইন্টারআহামইউ যাদের অনেককেই ১৯৯৪ এর রুয়ান্ডা গনহত্যার জন্যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল) দ্বারা আক্রান্ত তুতসি সংখ্যালঘুদের রক্ষক হিসাবে থাকতে চাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কঙ্গোর সেনাবাহিনীর ইচ্ছা বা ক্ষমতা হয়নি এই দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। কিন্তু ইতিমধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে যার ফলে রুয়ান্ডা আর কঙ্গোর মধ্যে জরুরী আলোচনা শুরু হয়েছে।

৩রা সেপ্টেম্বর স্টুড ইন দ্যা কঙ্গো ব্লগ জানিয়েছেন যে এনকুন্ডা স্থানীয় বিদ্যুত আর যোগাযোগের ব্যবস্থা ধংস করে ফেলছেন (খুব সম্ভবত তার লোকদের নিজেদের রেডিও নেটওয়ার্ক আছে):

গত রাতে জেনারেল এনকন্ডার লোকেরা সব রেডিও আর মোবাইল ফোনের যোগাযোগের এন্টেনা ধ্বংস করে দিয়েছে রুতশুরু আর বুনাগানা অঞ্চলে। রুতশুরুর হাইডরো ইলেক্ট্রিক স্টেশন তারা ধ্বংস করেছে যার ফলে বিদ্যুত নেই। কিওয়াঞ্জা আর রুতশুরু শহর এখন বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।

দু:খজনকভাবে বিপ্লবীরা ভিরুঙ্গা জাতীয় পাকে রুয়ান্ডা আর উগান্ডা বর্ডারের কাছের এলাকায় একটি টহল পোস্টে আক্রমন করে দখল করেছে।

তিনটি সশস্ত্র দলই সাধারন মানুষকে অসুবিধায় ফেলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে , ধর্ষন আর লুন্ঠন থেকে নকল আর খনিজ জিনিষ এমনকি গাজা পাচার । (ডিবাউট কঙ্গোলে জানিয়েছে যে এফডিএলআর কিভাবে অন্য ফসল ধংস করে গাজা চাষকে উৎসাহিত করে, এবং বিপ্লবী আর সেনাবাহিনীর সদস্য উভয়ে টাকা আর গরু বাছুরের বিনিময়ে তা বিক্রি করে।)

সেড্রিক কালঞ্জি জিজ্ঞাসা করেছেঃ

দশ বছর হয়ে গেল কঙ্গোতে রক্তাক্ত যুদ্ধ শুরু হয়েছে যেখানে লাখ লাখ নিরাপরাধ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ যারা যুদ্ধ করেছিল তারা সম্পুর্নভাবে ক্ষমা পেয়ে আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছে…কিন্তু আমার দেশ কঙ্গো কোন দিকে যাচ্ছে? কোন দিন কি এইসব হত্যাকান্ড বন্ধ হবে?

জুলাইয়ে দক্ষিন কিভু ইউএন পরিচালিত রেডিও ওকাপির সাংবাদিক সেরগে মাহেশের হত্যার শোক পালন করেছে। বুকাভুর এক কোর্ট তার দুই বন্ধুকে এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করেছে। এদের এক জনের সঙ্গে কিভু এক্সপ্রেসের লেখক কাজ করেছেন আর তিনি তার নিরপরাধ হওয়ার কথা মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন:

আমি কখনি বিশ্বাস করব না যে সে দোষী… কোর্টে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা এমন অবাস্তব আর সামঞ্জস্যবিহীন যে মনে হয়েছে পুরো ব্যাপারটা একটা তামাসা। মনে হয়েছে যে তারা তাড়াতাড়ি যে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে চেয়েছে আসল অপরাধীর দিকে আঙ্গুল ওঠার আগে।

এখনকার জন্য কিভুর ঝামেলা শেষ হয়েছে বলে মনে হয়না। ধীরে ধীরে ঘটার পর হঠাৎ করে দ্রুত কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা গ্রেট লেক এলাকার জীবিকা আর রাজনীতির উপর তৎক্ষনাত আর দীঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।

Exit mobile version