যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে কুর্দি সংরক্ষণবাদীদের ফার্সি চিতা সুরক্ষা (ভিডিও)

একটি বিরল ফার্সি চিতা। ছবি: প্যাট্রিক বেন্টলি/সোলারএইড ফটো সিসি ২.০।

টড রিউবোল্ড-এর এই পোস্টটি ক্রিয়াশীল আন্তর্জাতিক পরিবেশগত সমাধান তুলে ধরা পত্রিকা এনসিয়া.কম–এ প্রথমে প্রকাশিত হয়। একটি বিষয়বস্তু ভাগাভাগি চুক্তির অংশ হিসেবে এটা এখানে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী হানা আহমেদ রাজা এবং বেসরকারি সংস্থা নেচার ইরাক এ কর্মরত গবেষকদের একটি দল উত্তর-পূর্ব ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের উঁচু পাহাড় গুলিতে লুক ভুতের মতো ফার্সি চিতা সুরক্ষার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়ন অনুসারে আফ্রিকা ও এশিয়া জুড়ে বিচরণ করা সংখ্যায় ৮০০ থেকে ১,০০০-এর মধ্যে বৃহত্তর চিতা গোত্রের একটি উপ-প্রজাতি ফার্সি চিতা (প্যানথেরা পার্ডুস স্যাক্সিকালার) চোরাশিকার কারণে বাসস্থান হারানো এবং শিকার ভাগাভাগি ও কমে যেতে থাকার কারণে হুমকির মুখে।

চিতার এই বিশেষ প্রজাতিটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? ভিডিওটিতে রাজা একটি বিষয় চিহ্নিত করেছেন, “[কুর্দিস্তান] প্রতিবেশ বা বাস্তুতন্ত্রের একমাত্র অবশিষ্ট প্রাণী হলো ফার্সি চিতা,” এবং বৃহৎ শিকারীর উপস্থিতির উপর বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি নির্ভর করে।

বাস্তবে বনে একটি ফার্সি চিতার দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। আর তাই ভিডিওতে দলটি তাদের কোন একটি ক্যামেরা ফাঁদে একটি বড় বিড়ালের একটি চিত্র বন্দী করতে পারার বিষয়টি বুঝতে পারার পর রাজা বিশুদ্ধ আনন্দে চিৎকার করে উঠেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে রাজা তার দেশ যে শুধু “যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ” এর দেশ নয়, এ কারণে দেশের আরেকটি দিক দেখানোর ক্ষেত্রে উত্সাহী। গত ছয় বছর ধরে তিনি বন্যপ্রাণীর মাঠ জরিপ এবং ইরাক প্রকৃতির শিক্ষাগত পূনর্বাসন কর্মসূচীতে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও ২০১৩ সাল থেকে তিনি আইইউসিএন (ইয়ান্ত্ররজাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়ন)/ এসএসসি (প্রজাতি অস্তিত্ব কমিশন) বিড়াল বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর সদস্য এবং কুর্দিস্তান অঞ্চলে বন্যপ্রাণীদের জন্যে সুরক্ষিত এলাকার প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টায় কাজ করছেন।

পুরস্কার বিজয়ী আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সেবাস্তিয়ান মেয়ার এনসিয়া’র জন্যে এই ভিডিওটি তৈরি করেছেন। টাইম পত্রিকা, সানডে টাইমস ম্যাগাজিন, এফটি ম্যাগাজিন, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউইয়র্ক টাইমসসহ অনেকগুলি আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে। মেয়ার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, পিবিএস, সিএনএন এবং এইচবিও’র জন্যে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মেয়ার উত্তর ইরাকে অবস্থান করে তিনি ইরাকী ছবির প্রথম এজেন্সি মেট্রোগ্রাফি সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।
টড রিউবোল্ড প্রকাশক, পরিচালক এবং এনসিয়া’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
Exit mobile version