রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রায় করাচীর প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তখন স্যোশাল মিডিয়া পরিত্রাণের উপায় বলে দিচ্ছে

Ward 5 of Karachi's Jinnah Hospital's has been reserved for heatstroke patients. Image from Junaid Akram's Facebook page.

করাচীর জিন্নাহ হাসপাতালে পাচ নাম্বার ওয়ার্ড যা মূলত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সংরক্ষিত। ছবি জুনাইদ আকরামের ফেসবুকের পাতা থেকে নেওয়া।

করাচীতে তীব্র দাবদাহে রেকর্ড পরিমাণ ১২৫০ জনের বেশী নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জন বসতিপূর্ণ শহর। রমজান মাসের দ্বিতীয় দিনে তাপ মাত্রা ১১৪ ডিগ্রী ফারেনহাইটে পৌঁছায়, যে মাসে মুসলমানের সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখে, যেখানে প্রকাশ্যে খাওয়া এবং পান করা পাকিস্তানে এক অপরাধ, সে পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে বার বার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হতে থাকে, যার ফলে এই দাবদাহ শহরের সবচেয়ে দরিদ্র এমনকি সমর্থ ব্যক্তিকেও অসুস্থ্য করে ফেলেছে,

অনেকে করাচীর সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং বাজে ভাবে পরিচালিত হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। যখন জরাজীর্ণ হাসপাতালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং দেশটির টিভি চ্যানেলে প্রচারিত শুরু করে, তখন ডজন ডজন স্বেচ্ছাসেবক সরকারী হাসপাতালের ওয়ার্ডে “গ্রহণ করে” সেখানে উপস্থিত হয়ে অনানুষ্ঠানিক ভাবে দাবদাহে আক্রান্ত রোগীদের সেবা করতে শুরু করে।

ইকামা সমাজ কল্যাণ সংস্থা থেকে আমার বন্ধুরা জিন্নাহ হাসপাতালে কাজ করছে যে হাসপাতালের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের হিট আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় উৎসর্গকৃত। ৩০ জুন তারিখে এই হাসপাতালে পরিদর্শন এর পরিস্থিতির বিষয়ে যখন বক্তব্য নেওয়ার পর, আমি নীচের এই টুইটি করেছি:

জিন্নাহ হাসপাতালে পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের হুইল চেয়ারের অবস্থা। দয়া করে কেউ একজন এখানে হুইল চেয়ার দান করুন।

হুইল চেয়ার চেয়ে টুইট করার ঘটনায় জুনাইদ আক্রাম দ্রুত সাড়া প্রদান করেন, যিনি পাকিস্তানে উপস্থিত অবস্থায় হাসানোর জন্য পরিচিত এক কমিডিয়ান। তিনি পাঁচটি হুইল চেয়ার দান করেন এবং সাথে এক স্ট্রেচার-এর আদেশ প্রদান করেছেন। জুনাইদ আক্রাম তার ফেসবুক পাতায় যা লিখেছে, এখানে তা তুলে ধরা হলঃ

তাজা সংবাদঃ জিন্নাহ হাসপাতালের হুইল পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের চেয়ার সংক্রান্ত টুইট আজ সকালে দেখছি। হাসপাতালের এই পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ড হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। নীচে যেমনটা দেখা যাচ্ছে সেই প্রেক্ষাপটে দ্রুত পাঁচটা হুইল চেয়ার সরবরাহ করা হয়েছে- সেগুলোকে ডা দিল নাওয়াজ-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাছাড়াও সেখানে ঠেলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার স্ট্রেচারের সঙ্কট রয়েছে, তাই আমি লাহোরের এক প্রতিষ্ঠানের স্ট্রেচার সরবরাহের আদেশ প্রদান করেছি যা মালবাহী ট্রেনে করে শনিবারের মধ্যে এখানে এসে হাজির হবে-ইনশাল্লাহ। দশটি হুইল চেয়ার সহ ওই সকল স্ট্রেচার কোরাঙ্গি ন্যাশনাল হাসপাতালে পাঠানো হবে, যা এক খানিকটা উন্নত শিল্প এলাকার বাসিন্দার জন্য নির্মাণ করা এক সরকারি হাসপাতাল।

পাকিস্তানে দাবাদহ এবং এই সংক্রান্ত ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে আরো তথ্য জানতে চাইলে #খিহিটেডআপড হ্যাশট্যাগ অনুসরণ করুনঃ

করাচীর জিন্নাহ হাসপাতালে পাঁচটি হুইল চেয়ার সরবরাহ করা হয়েছে। ছবি জুনাইদ আক্রামের ফেসবুক পাতা থেকে নেওয়া।

Exit mobile version