প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু যোদ্ধা: ‘আমরা ডুবছি না, আমরা লড়াই করছি’

Pacific islanders rising

‘আমাদের বাসস্থানগুলোকে রক্ষার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের ঐতিহ্য ও বংশানুক্রমিক শক্তি বজায় রাখতে হবে।’ ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

এই পোষ্টটি ৩৫০.অর্গ প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল-এর জন্য ফেনটন লুটুনাটাবুয়া লিখেছেন এবং তথ্য বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে গ্লোবাল ভয়েসেস-এ প্রকাশিত হয়। 

অনেক বছর ধরে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের সম্পর্কে যে গল্পটি বলা হতো সেটিতে তাদেরকে নিছক শিকার, এমন দূরবর্তী মানুষ হিসেবে বর্ণিত করা হতো যারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ বা বাস্তবিকতা সম্পর্কে কিছুই করতে পারে না। মাধ্যমগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদেরকে তাদের দ্বীপসহ ডুবে যাওয়া বা উদ্বাস্তু হওয়ার জন্য প্রস্তুত অসহায় শিকার হিসেবে বর্ণিত করেছে।

সুতরাং এই বর্ণনাকে পরিবর্তন করার ও এই অঞ্চলের চারপাশের মানুষের কাছ থেকে আরো সমর্থন আদায় করার পদক্ষেপ হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩৫০.অর্গ একটি নতুন প্রচারণা চালু করেছে যার মাধ্যমে ২০১৪ সালকে এমন একটি সাল হিসেবে তুলে ধরার অঙ্গীকার নিয়েছে যেখানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের মানুষরা তাদের নিজেদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের ভূমি ও সাগরের প্রতি হুমকি প্রতিহত করবে।

#প্রশান্তমহাসাগরীয়অঞ্চলেরজন্যউঠেদাঁড়ান প্রচারণা এই অঞ্চলের সকল লোকদের কাছে আহ্বান করতে চায় যাতে তারা এই অঞ্চলের সব থেকে বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রক্ষায় উঠে দাঁড়াতে ২০১৪ সালে সক্রিয় হবার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে।

এই প্রচারণাটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদেরকে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও শক্তির একটি সমন্বিত বর্ণনার মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের অবস্থান গ্রহণে সাহায্য করবে, যারা তাদের ভূমি, সাগর ও পরিচয় রক্ষার জন্য জেগে উঠতে সদা প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে ৬০০ ব্যক্তি ২০১৪ সালকে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে, জীবশ্ম জ্বালানী শিল্পের সম্মুখীন হতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ তাদের নিজেদের জন্য লড়াই করার বছর হিসেবে পালন করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। একত্রে আমরা বর্ণনাটিকে ‘তারা জলমগ্ন শিকার’ থেকে পরিবর্তন করে আমরা শক্তিশালী, শান্তিপ্রিয় যোদ্ধা, আমাদের সাংস্কৃতিক শক্তির উপর ভিত্তি করে আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলা জীবাশ্ম জ্বালানী শিল্পের মোকাবেলা করি-তে পরিণত করবো।

আমরা ২০১৪ সালের ভেতরে যতই প্রবেশ করবো ততই আমরা আমাদের অঙ্গীকারকে কর্ম পরিণত করবো, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে কর্মকাণ্ড চালানো বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলোকে চাপ প্রদান করবো যাতে তারা জীবাশ্ম জ্বালানী শিল্প থেকে সরে আসে। আসুন আমরা শুধু বলি, তারা যদি তা না করে তবে শান্তিপ্রিয় যোদ্ধাদের গৃহিত ব্যবস্থার মোকাবেলা তাদের করতে হবে।

নীচে ফিজির কয়েকজন যোদ্ধা ভূমি ও সাগরের মানুষদের কাছে তাদের পেশা, লিঙ্গ, বয়স, অবস্থান বা ধর্মমত যাই হোক না কেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় যোদ্ধায় পরিণত হবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে…

‘আমরা আমাদের প্রথা ও সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য ও আমাদের যোদ্ধা মনোভাব জাগ্রত করে আমাদের দ্বীপ-বাসস্থান রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত। ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

‘আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক সত্যকে বজায় রাখব এবং জ্বীবাশ্ম জ্বালানী শিল্পের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তা ব্যবহার করবো’ ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

আমরা বড় বড় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী ভ্রাতৃ ও ভগ্নীগণের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত’ ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী হিসেবে আমরা আমাদের বার্তাগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানী শিল্পের নিকট উপস্থাপন করতে প্রস্তুত’ ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

‘আমরা জানি যে জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের ভূমিকা সবচেযে কম কিন্তু তারপরও আমরা সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত, আমরা এটাও জানি যে কী করা প্রয়োজন এবং কিভাবে আমাদের সবার প্রাপ্য একটি ভবিষ্যত তৈরী করার চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়’ ছবি ৩৫০.ডিগ্রি'র জন্য নবনীত নারায়ন-এর সৌজন্যে

Exit mobile version