ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের নাগরিকত্বহীন নাগরিকেরাঃ জুলিয়ানা ডেগুইস-এর কাহিনী

Haitian workers are transported to the Dominican Republic. (CC BY 2.0)

হাইতির শ্রমিকদের ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (সিসি বাই ২.০)

*এই পোস্টটির মূল লেখক নিকি ফ্লেইশ্চনার এবং এনএসিএলএ-তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে, যা গ্লোবাল ভয়েসেস-এর এক অংশীদার। এই লেখার এক সংশোধিত সংস্করণ নীচে তুলে ধরা হল।  

সেপ্টেম্বর, ২০১৩-এ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আদালত এই আদেশ জারি করে যে হাইতির বংশোদ্ভুত প্রায় ২০০,০০০ ব্যক্তিকে কার্যকর ভাবে ডোমিনিকার নাগরিক নয়, এমন ব্যক্তিতে পরিণত করা হল। “লা সেনটেনসিয়াতে” (নীচে সাউন্ডক্লাউডে এই কথিকাটি শুনতে পাবেন) নামক অনুষ্ঠানে, রেডিও আম্বুলান্তে এই আদেশ বহুবিধ যে সমস্ত ব্যক্তি বা বিষয় আক্রান্তকে করেছে তার একটি দিকের কাহিনী অন্বেষণ করেছে, যার মধ্যে দিয়ে ডোমিনিকায় জন্মগ্রহণ করা হাইতির বংশোদ্ভুত রমণী জুলিয়ানা ডেগুইস-এর অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে, যে জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক ব্যক্তি যে সমস্ত নাজুক পরিস্থিতি এবং প্রতিদিনের জীবনের যে সকল জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৩ সালে প্রদান করা ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে, এনএসিএল অনুসন্ধান করে দেখেছে যে হাইতি বিরোধিতাবাদ বা কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধীতা কি ভাবে দেশটির হাইতি বিরোধী আবেগের বিশাল পটভূমির সাথে খাপ খেয়ে গেছে যার শেকড় একদিনে যেমন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের একেবারে গভীরে অবস্থিত, ঠিক তেমনি সাম্প্রতিক দশকে নব্য উদারবাদীদের এই বিষয়ে ভূমিকা ছিল যেন আগুনে ঘি ঢালার মত। ডোমিনিকার জাতীয়তাবাদ দেশটির সাদা চামড়ার মানুষ যারা স্পেনীয় উপনিবেশিক সময়ের এক বাস্তবতাকে এগিয়ে নিতে চায়, তা শ্রেণীগত ভাবে দেশটির সাথে আফ্রিকার যে শেকড়কে যুক্ত রয়েছে, সেটিকে প্রত্যাখ্যান করে; সাদা চেহারার মানুষদের হাতে উপনিবেশিক সময়ে স্থাপন করা চিন্তা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজনীতিবীদ এবং অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে গভীর এক শক্তি হিসেবে বিরাজ করছে । জাতীয় পরিচয়ের এ রকম এক নির্মাণ, আধুনিক ডোমিনিকান সমাজে রূপান্তরিত হয়েছে অভিবাসন বিরোধী অবস্থান হিসেবেঃ ২০১২ সালে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে হাইতির বংশোদ্ভুত ডোমিনিকান নাগরিকদের বিতাড়িত করার ঘটনা এমন এক তীব্র অবস্থায় পৌঁছায় যে জাতি সংঘ মানবাধিকার সংস্থা একে বর্ণবাদী ঘটনার মত সমান এক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে

দুটি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্ণবাদী চিন্তাভাবনা অধিকতর খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। ১৯৮৭ সালে, হাইতির উদ্বাস্তুদের উকিল মিশেল এস.হুপার এনসিএলএ-এর জন্য একটি প্রবন্ধ লিখেছিল যা হাইতির বেশ কিছু তীব্র আর্থ সামাজিক সমস্যা এবং কি ভাবে এই বিষয়গুলো দেশটির নাগরিকদের ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে অভিবাসনে উৎসাহ প্রদান করে তা যাচাই করে দেখে। এই অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অভিবাসীদের স্রোত দুটি দেশের মাঝে এক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত রেখা তৈরী করে রেখেছে।

হাইতি এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের মাঝে বিরাজমান সম্পর্কের বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য পড়ুন এনএসিএলএ-এর জন্য লেখা টড মিলারের প্রবন্ধ যা হাইতি-ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে ক্রমশ সামরিকীকরণ-এর বাড়তে থাকার বিষয় নিয়ে।

*গ্লোবাল ভয়েসেস-এর জন্য এই প্রবন্ধটি সম্পাদনা করা হয়েছে।

Exit mobile version