৩টে ভিডিও যা লাতিন আমেরিকায় মহিলাদের পথে নিগ্রহ করার ছবিটাই উল্টে দিয়েছে

Captura de pantalla de video de YouTube.

ইউটিউবের ভিডিওর স্ক্রিনশট।

 “এটি গ্লোবাল ভয়েসেসে স্প্যানিশে প্রকাশিত পোস্টের একটি অনুবাদ।”

মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা, যা বিশ্বের বহু দেশের জন্য একটা জ্বলন্ত সমস্যা, সেটা নির্মূল করার আন্তর্জাতিক দিবস ছিল ২৫শে নভেম্বর। এই হিংসার একটা রূপ হল পথে নিগ্রহ করা, যার অভিজ্ঞতা বহু মহিলারই তাদের নিজেদের শহরের রাস্তায় যাতায়াত করার সময় হয়েছে।

লাতিন আমেরিকায় অনেকগুলো ভিডিওতে এই সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। পেরুতে পথে নিগৃহীত হওয়া এমন একটা বাস্তব যার মোকাবেলা, মহিলাদের সার্বজনীন পরিবহনেও করতে হয়। প্রাক্তন ভলিবল খেলোয়াড় এবং বর্তমানে পেরুভিয়ান জাতীয় মহিলা দলের প্রশিক্ষক নাতালিয়া মালাগা, পারেমোস এল আকোসো কাসেহেরো (আসুন পথে নিগ্রহ করা বন্ধ করি) নামক সংস্থা এবং এভারলাস্ট নামক ফিটনেস এবং খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত “সিবালা আ তু মাদ্রে” (তোমার মাকে দেখে শিষ দাও) নামক পথ-নিগ্রহ বিরোধী প্রচার অভিযানের মুখপাত্র। 

এই সাজানো ভিডিওটাতে রাস্তায় মহিলারা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় পুরুষেরা তাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য ছুঁড়ে দেন (এই লোকগুলোকে স্প্যানিশ ভাষায় ফালতোসোস  বলা হয়, যে কথার অর্থ হল অভদ্র)। কিন্তু সেই পুরুষেরাই হতবাক হয়ে যান যখন তারা জানতে পারেন যে ওই মহিলারা আসলে ছদ্মবেশে থাকা তাদেরই মায়েরা। আর তখন সেই মায়েরা ছেলেদের এই আচরণের জন্য তাদের উপর বাক্যবাণ বর্ষণ করেন।

এই ভিডিওটা প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ইউটিউবে ৩৪ লক্ষেরও বেশী বার দেখা হয়েছে:

গত বছর মালাগা এভারলাস্টের পক্ষ থেকে আরেকটি প্রচারাভিযানে অংশ গ্রহণ করেছিলেন যার নাম ছিল “এল গুয়ান্তাসো দে নাতালিয়া” (নাতালিয়ার প্রহার)।

ইউটিউবের বিনোদন চ্যানেল ওয়োকি টকি বেশ কয়েক মাস আগে চিলিতে “লে রিভাঞ্চা দে লস আগারোনেস” (স্পর্শকারীদের প্রতিশোধ) নামের একটি “সামাজিক পরীক্ষা” প্রকাশ করে যা এখন পর্যন্ত ৪২ লক্ষেরও বেশী বার দেখা হয়েছে। এই ভিডিওটায় একজন মহিলা পাশ দিয়ে যাওয়া পুরুষদের হাতে বা নিতম্বে আগারোনসিতো  (একটু স্পর্শ) দেন, যে অযাচিত স্পর্শ দেশের বেশ কিছু পুরুষেরা রাস্তায় মহিলাদের দিয়ে থাকেন।

একদম শেষে সঞ্চালিকা জানিয়েছেন যে তিনি এটা দেখে অবাক হয়েছেন যে “একটু স্পর্শ” পেয়ে কোনও পুরুষই অস্বস্তি বোধ করেননি (এমনকি কয়েকজন তো তাকে ডেট এ যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন)। তিনি পুরুষ দর্শকদের বলেছেন যে তারা যেন মহিলাদের আগারোনসিতোস  না দেন কারণ এটা তাদের অস্বস্তিতে ফেলে আর এটা হাস্যকর।

গত বছর ভেনেজুয়েলায়, ইউটিউবের বিনোদন চ্যানেল ক্যানিলা প্রযোজিত, “লে ভেনগানজা দে লে ওবেরা” (মহিলা শ্রমিকের প্রতিশোধ) নামের অন্য একটি ভিডিওতে একজন মহিলা হলুদ নিরাপত্তা হেলমেট পরে, হেঁটে যাওয়া পুরুষদের প্রতি “এই যে দেবদূত, আকাশ থেকে পড়ার সময় ব্যথা পাওনি তো?” ধরণের চটুল মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে নির্মাণ কর্মীদের মহিলাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করার গতে বাঁধা রীতিটাকে একটা অন্য চেহারা দিয়েছিলেন। তার আচরণে অনেকে হতবাক হয়ে গেছিলেন আবার অনেকে হেসেছিলেন লজ্জা পেয়ে।

ইউটিউবে এই ভিডিওটি ১১ লক্ষেরও বেশী বার দেখা হয়েছে:

দেখুন গ্লোবাল ভয়েসেসের বিশেষ প্রতিবেদন: বাড়িতে এবং বিশ্বের সর্বত্র হিংসা অবসানের ১৬ দিন।

Exit mobile version