মাংস খাওয়ার ব্যপারে নিরুৎসাহিত করতে সিঙ্গাপুরে পোস্টার প্রচারাভিযান

puppy_pig

‘কেন একজনকে ভালবাসেন কিন্তু অন্যদের খেয়ে ফেলেন?’, এটি হচ্ছে নিরামিষ ভোজনের প্রচারাভিযানে সিঙ্গাপুরের নিরামিষাশী সোসাইটির পোস্টার প্রচারাভিযানের মূল থিম। মাংস খাওয়া কমাতে জনগণকে উৎসাহিত করতে তাদের পোস্টারে একটি পোষা এবং একটি খামার পশুর ছবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহের পোস্টার প্রচারাভিযানটি আগামী ৯ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে শেষ হবে। গ্রুপটি এর জন্য সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম ট্রেন প্ল্যাটফর্ম সিটি হল মার্ট স্টেশনটি নির্বাচন করেছে। পোস্টার প্রচারাভিযানটি মূলত: টরন্টোতে করা হয়েছিল।  

গ্রুপটি প্রচারাভিযানের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছে:

কুকুর এবং বিড়াল আমরা পছন্দ করি এবং ভালোবাসি; আমরা সেগুলোকে আমাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গী হিসাবে চিন্তা করি। সেগুলোর অপব্যবহার অথবা অবিচারের খবর শুনলে আমরা অপমানিত বোধ করি। তাদের রক্ষার জন্য আইন তৈরি করি। প্রকৃতপক্ষে, তাদের খেয়ে ফেলার ধারণাটি সবচেয়ে বেশি অকল্পনীয়।

বিপরীতভাবে, খামার পশু – যারা কুকুর এবং বিড়ালের মতো বুদ্ধিমান ও সংবেদনশীল ​​- তাঁদের শুধু খাদ্য হিসাবে গণ্য করা হয়।

প্রতিটি পোস্টারে পশুদের প্রতি অবমাননাকে তুলে ধরে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য উপস্থিত রয়েছে: 

অন্যান্যরা যখন পশুগুলোকে ‘খাদ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে পোস্টারগুলো তখন সচেতন ব্যক্তিদের সেগুলোকে ‘বন্ধু’ হিসেবে ভাবার যুক্তিপূর্ণ বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে। কারখানা চাষ পদ্ধতির কিছু মৌলিক তথ্য এবং প্রাসঙ্গিক পরিসংখ্যান প্রতিটি পোস্টারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

নিরামিষাশী সোসাইটির তৈরি এই ইউটিউব ভিডিওটি প্রচারাভিযান পরিচালনার প্রয়োজনে তহবিল বাড়াতে গ্রুপটি ব্যবহার করছে।

আমরা প্রাণীদের প্রতি কিরূপ আচরণ করি তা বিড়াল কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ভেরন লিউ জনগণকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে: 

প্রাণীদের মাংস খাওয়া আমাদের পোষা প্রাণীকে ভালবাসার ক্ষেত্রে পশু প্রেমীদের জন্য প্রায়ই উভয়সঙ্কট তৈরি করে। নিজেদের প্রশ্ন করুন, যদি আমরা যন্ত্রণা থেকে একজনকে বাঁচাতে যত্ন নিই, তবে কি আরেকজনের জন্য আমাদের একই কাজ করা উচিত নয় ? আমরা পশু প্রেমী হয় বা না হই না কেন, সহ-মনোযোগে বাস করার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এটি আমাদের ভাবাবে যে আমাদের খাদ্য বা পোষা প্রাণীরা কোথায় থেকে আসছে ? কারণ, আমরা একটি খাদ্য শৃঙ্খলের একটি অংশ এবং আমাদের পছন্দের মাধ্যমে নৈতিক পরিবর্তনের প্রভাবিত যৌথ শক্তি আছে।

স্ট্রেটস টাইমসের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে হাবিব হাসান নামের একজন বলেছেন, তিনি এই প্রচারাভিযান সমর্থন করেন না: 

সিঙ্গাপুরে নিরামিষাশীরা একটি ছোট গ্রুপ। তাই তাদের প্রচারাভিযানের জন্য পাবলিক স্পেস ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এই বিজ্ঞাপন পরিষ্কারভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং মানুষদের নিজেকে দোষী ভাবায়। আমি যা খেতে চাই তাই আমাকে খেতে দেওয়া উচিৎ।

নীচে নিরামিষাশী সোসাইটির ব্যবহৃত কিছু পোষ্টার:

প্রচারাভিযানকে সমর্থন করে নিরামিষাশীদের তোলা সেলফি ছবি।  

Exit mobile version