কারমা দুপচুঃ একজন আলোচিত পডকাস্টার

karmabhutanভূটানে অবস্থিত পারো শিক্ষা কলেজে ড্যানিশ সাংবাদিকরা অডিও পডকাস্টিং বিষয়ে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন। ড্যানিশ সাংবাদিকদের এই পরিদর্শন প্রথমবারের মতো নাগরিক প্রচার মাধ্যমের প্রতি কারমা দুপচুর আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। এখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অবশেষে তিনি পিসিই মিডিয়া ক্লাবের একজন কোঅর্ডিনেটর হয়েছেন। পিসিই মিডিয়া ক্লাব ভুটান সেন্টার ফর মিডিয়া এন্ড ডেমোক্রেসির (বিসিএমডি) সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। সারা দেশ জুড়ে পডকাস্টিং বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করার জন্য এটি রাইজিং ভয়েসেস মাইক্রোগ্র্যান্টস ২০১৩ সালের একটি পুরস্কারও পেয়েছে।   

পারোতে এই কর্মশালা চলাকালীন সময়ে কারমা একটি দলের অংশে পরিনত হন। এই দলটি একটি পডকাস্ট তৈরি করেছে, যা ভূটানের নির্বাচনের সময়ে ভিক্ষুদের ভূমিকা এবং নির্বাচিত নেতার পক্ষে ভোট প্রদানে তাদের নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দিয়েছে। পডকাস্টটি থেকে দেখা যায়ঃ

ভূটান ২০০৮ সালে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে গিয়ে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে। সে সময়ে সারা দেশের জনগন তাদের ভোট দেয়ার মৌলিক অধিকার পেয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তবে এখনো সেখানে প্রায় বাইশ শত ভিক্ষু আছেন, যারা তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। কেন? ভিক্ষুরা কি আমাদের দেশের নাগরিক নয়? এই প্রশ্নটি জনগণের মনে উঁকি দিয়েছে। ধারা ৩ এর ৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভূটান রাজতন্ত্রের সংবিধানে বলা হয়েছে, “ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিত্বদেরকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে।” 

সম্পূর্ণ পডকাস্টটি এখানে শুনুনঃ  

বিসিএমডি কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মশালাটি ছিল কারমার জন্য শিক্ষা গ্রহণের একটি আনন্দদায়ক সুযোগ। রাইজিং ভয়েসেসকে দেয়া একটি সাম্প্রতিক ইমেইল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। তাঁর সতীর্থ শিক্ষার্থীদের একটি দলকে সাথে নিয়ে তিনি আরো পডকাস্ট তৈরি করতে চান। পিসিইতে তাঁর সতীর্থ শিক্ষার্থীরা স্থানীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাদের দ্বিতীয় পডকাস্টে মন্তব্য সহকারে বিশ্লেষণ করেছে। শেষ বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অনুসারী শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গে না নিয়ে ফেলে রেখে এগিয়ে যেতে পারবে, এমন একটি বিষয়ের যথার্থ বৈধতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের একটি পডকাস্ট এ আলোচনা করা হয়েছে। এই পডকাস্টটির (এমপিথ্রি ফরমেটে) লিঙ্ক পেতে এখানে ক্লিক করুন। এখানে দলটি কলেজের প্রধান, প্রভাষকগণ এবং কয়েকজন সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। 

ভূটানে নাগরিক প্রচার মাধ্যম তুলনামূলকভাবে এখনো নুতন একটি ক্ষেত্র। সতীর্থ পডকাস্টার জিগমে শেওয়াং যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, ঠিক সেগুলোর মতো। কারমা বলেছেন, এটি একই শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে খুঁজছে, যারা তাদের মতামত লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে জেনেও এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে ইচ্ছুক। তথাপি, কারমা এবং তাঁর দল যে বিষয়টি নির্বাচন করেছেন, তা আসলেই বেশ গবেষণাযোগ্য। তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ যে তাকে কর্মশালাটিতে যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাঁর যথার্থ ব্যবহার তিনি করতে পারবেন। তিনি কর্মশালাতে বলেছেন, “আমি এই কর্মশালা থেকে পাওয়া সম্পদ এবং জ্ঞানের অপচয় করব না। তাই আমি কলেজে অডিও পডকাস্ট তৈরি করা চালিয়ে যাচ্ছি।”

https://www.pce.edu.bt/sites/default/files/pceyes%20radio%20podcast.mp3?_=1
Exit mobile version