ভালোবাসার মৃত্যু নেইঃ কলম্বিয়াতে নারীহত্যার বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান

Nataly Palacios es la mujer en cuyo homenaje se realiza la campaña: El amor no mata

প্রচারাভিযানটির মাধ্যমে নাটালি পালাসিওসের গুণগান করা হচ্ছেঃ ভালোবাসার মৃত্যু নেই। ছবিঃ কাটি রেস্ত্রেপো।

[সম্পাদকের বাণীঃ এই পোস্টটির লেখক “ভালোবাসা হত্যা করে না” শিরোনামের প্রচারাভিযানের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি নাটালি পালাসিওস কোরদোবার একজন সহপাঠী।]

[অন্য কোন রকম নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পেজটির সবগুলো লিংক স্প্যানিশ ভাষায়।]

২৩ বছর বয়সী সমাজকর্মী নাটালী পালাসিওস তাঁর প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং সহপাঠীদেরকে এতোটাই হতবাক করেছে যে, তারা “এল আমর নো মাতা” [ভালোবাসার মৃত্যু নেই] শিরোনামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৮ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে নাটালিকে হত্যা করা হয়। কলম্বিয়ার মেডেলিন [ইংরেজী] শহরে সে এই মার্চ মাসেই মাত্র তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী সম্পন্ন করেছিলেন।

প্রচারাভিযানটি ২০ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুকে শুরু করা হয়েছে। তখন থেকেই প্রশাসক এবং অনুসারীরা পেজটিতে তিনটি সম্মুখ আসনে ভাগ হয়ে কাজ করতে শুরু করেছেঃ

১. নিজের তোলা ছবির সাথে শিরোনামঃ “ভালোবাসার মৃত্যু নেই”: প্রত্যেক সাহায্যকারী এই সাইটটিতে একটি বার্তা সহকারে তাদের ছবি পাঠিয়েছে। প্রকাশকেরা সেগুলো প্রকাশও করেছেন।

২. সপ্তাহের সেরা ব্যক্তিঃ প্রশাসকেরা প্রতি সপ্তাহে একজন করে ভিন্ন ভিন্ন নারীর গল্প বাছাই করেন এবং সেগুলো পরে প্রচার করেন।

৩. জনগণের কর্মোদ্যোগঃ প্রচারাভিযানটির অনুসরণকারীরা নারীহত্যাকে অস্বীকৃতি জানাতে বিভিন্ন বিক্ষোভ প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করেছে।

আজকের তারিখে ফেসবুক পাতায় ১ হাজার ৪ শতটি লাইক পরেছে। “ভালোবাসার মৃত্যু নেই” এই বাক্যাংশটি ২ শতেরও বেশী চেহারার সাথে জুড়ে দিয়ে আপলোড করা হয়েছে।  

” আমার নাম ইসা এবং আমি বলছি, “ভালোবাসার মৃত্যু নেই।” অনলাইন সম্প্রদায় ফেসবুকে যে সব ছবি দিয়েছেন তাঁর একটি নমুনা। ছবিঃ সারা লপেজ। 

আমি সারা এবং বলছি, “ভালোবাসার মৃত্যু নেই”। ছবিটি  স্রার লপেজ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। 

দু’টি নির্দিস্ট গণ বিক্ষোভ প্রদর্শণের সাথেও গ্রুপটি সংযুক্ত হয়েছেঃ প্ল্যানটন মোভিমিয়েনটো মুজেরেস ডি নেগ্রো [কালো কাপড়ে নারীদের অবস্থান কর্মসূচী পালন] এবং প্ল্যানটনঃ মুজেরেস, কু লোস হোমব্রেস নো নস মাতেন এন নোমব্রে ডেল আমর [ভালোবাসার নামে যে লোকটি হত্যা করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে একজন মহিলার অবস্থান কর্মসূচী পালন]।

খুব সাম্প্রতিক সময়ে দ্যা এল আমর নো মাতা প্রচারাভিযানটি “আন্তর্জাতিক প্রজাপতি অভিপ্রয়াণ ফ্লুটুরি”র সাথে একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। সংস্থাটি নারীহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। 

লা চেজা শহরের বাইরে মেদেলিনে অনুষ্ঠিত ফ্লুতুরি অনুষ্ঠানের ছবি। ছবিঃ সারা লোপেজ। 

লেখার সমাপ্তি টানতে, আমরা সেই গানের কথাগুলো শেয়ার করেছি। কলম্বিয়াতে এই গানের কথাগুলো নারীদের আন্দোলনের একটি স্তুতি গানে পরিনত হয়েছে। [একটি জনপ্রিয় শিশুতোষ গানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। গানটি “ভাতের পুডিং” শব্দটি দিয়ে শুরু হয়েছে। গানটিতে নারীদেরকে একজন দায়িত্বশীল স্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।]

 “আমি আর ভাতের পুডিং চাই না;

আর কোন নারীকে যেন এ শহরে হত্যা না করা হয়।

যারাই তাদের হত্যা করুক, যারাই তাদের ধর্ষণ করুক,

এগুলো জঘন্য অপরাধ এবং কেউ তা দেখেনি।”

আজ আন্তর্জাতিক নারীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা দূরীকরণ দিবস [ইংরেজী]। নাটালি, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

আর কেউ যেন এভাবে মারা না যায়। একজন মহিলাও না। 

Exit mobile version