ছবিতে ম্যানিলার শহুরে দরিদ্র্য মানুষের জীবন

An old man in an abandoned lot.

পরিত্যক্ত মাঠে একজন বৃদ্ধ।

ফিলিপিনো স্ট্রিট ফটোগ্রাফার্স-এর বেশ কিছু সদস্যকে সাথে নিয়ে ফটোওয়াকে গিয়েছিলেন মার্ক জেড স্যালুদেজ। ম্যানিলার পুব দিকের উপশহর মান্দালিউয়ং ঘুরে দেখেছেন শহুরে দরিদ্র্য মানুষের জীবন।

ম্যানিলা শহরে ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপরিতলের চিত্র তুলে ধরে। অবশ্য ফিলিপাইনকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যেই যেসব অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন, সেগুলোতে দেশটির দারিদ্র্য'র বিষয়টি উঠে আসে না। এমনকি তাতে ম্যানিলার মতো শহরের দারিদ্র্যের চিত্র উঠে আসে না।

দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও ম্যানিলা শহরে হাজার হাজার মানুষ অবৈধভাবে বস্তিতে বাস করেন। শহরের এই দরিদ্র মানুষেরা সবসময়ই হুমকির মুখে থাকেন, এই বুঝি তাদের বস্তিঘর ভেঙ্গে ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ হাতে নেয়া হলো। যদিও সরকারের তরফ থেকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ মানু্ষ শহরের ভিতরে কিংবা শহরের কাছাকাছি বাসায় থাকাটাকে অগ্রাধিকার দেন। কারণ এতে করে স্কুল, হাসপাতালসহ অন্যান্য সেবা পেতে সুবিধা হয়।

স্যালুদেজের ছবিতে মান্দালিউয়ং-এর শহুরে দরিদ্র্য মানুষের এক টুকরো জীবনচিত্র উঠে এসেছে। অচিরেই এই দরিদ্র্য মানুষগুলো উত্খাত হয়ে যাবে।

স্যালুদেজের অনুমতি নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেস তার কিছু ছবি প্রকাশ করছে।

নিজের ঝুপড়িতে এক বৃদ্ধ।

ঘরের চাল যেন ধ্বসে না যায়, সেজন্য কাঠের টুকরো এবং পুরোনো টায়ার দিয়ে ঠেক দেয়া হয়েছে।

চকলেট-সিগারেটের দোকানের ছোট্ট জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে এক শিশু।

নাপিতের দোকানে সামনে লেখা: হ্যান্ডসাম হওয়ার রহস্য!

এসএম টুপি পরে আছেন এক দরিদ্র মানুষ। ফিলিপাইনের সবচে’ ধনী ব্যবসায়ী এসএম-এর মালিক। লোকটির পেছনে ক্যাম্বিজ কাপড়ে কিছু নির্মাণ কাজের ছবি দেখা যাচ্ছে।

*সবগুলো ছবিই মার্ক জেড স্যালুদেজের সৌজন্যে প্রাপ্ত।

Exit mobile version