জাম্বিয়ায় ২৫০ জনের মধ্যে মাত্র ছয় জন আইন শিক্ষার্থী বার ভর্তি পরীক্ষায় উন্নীত

প্রথমে লাইবেরিয়া, এখন জাম্বিয়া।

সম্প্রতি লাইবেরিয়াতে এই বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সকল শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। এখন জাম্বিয়া থেকেও সেরকম খবর আসছে। জিয়াল নামে পরিচিত জাম্বিয়ার উন্নত আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগাল এডুকেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী আইন অনুশীলন পরীক্ষায় ২৫০ জন ছাত্রদের মধ্যে মাত্র ছয় জন পাশ করেছে।

ভয়ানক এই ফলাফলের সংবাদ আইনজীবী মাউরিন মানাওয়াসা (@মানাওয়াচিলেম্বো) ঘোষণা করেছেন, যিনি জাম্বিয়ার সাবেক তৃতীয় প্রেসিডেন্ট লেভি মানাওয়াসার স্ত্রী। একটি টুইটে তিনি লিখেছেনঃ 

জিয়ালে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। ২৫১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ জন বারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। #জাম্বিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একজন জাম্বিয়ান টুইটার ব্যবহারকারী মিস বালিয়া (@মিসবালিয়া) জিয়ালের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন:

@মানাওয়াচিলেম্বো, জিয়ালের প্রতিটি নতুন ক্লাসের ৯০% এর কাছাকাছি ছাত্র বার ভর্তির পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়। এর কারণ কি ?

মিস মানাওয়াসা (@মানাওয়াচিলেম্বো) এর ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ 

@মিসবালিয়া এবং ক্লাসে ছাত্র জনসংখ্যা খুব বেশি, শিক্ষার্থীরা সম্ভবত গৃহশিক্ষক ছাত্র সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছে না। 

জাম্বিয়ার একজন পিএইচডি ছাত্র গ্রিভ ছেলয়া (@গ্রিভছেলয়া),ব্যর্থতার উচ্চ হার সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করেছেনঃ 

@মানাওয়াচিলেম্বো @মিসবালিয়া, আইনজীবীরা সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে আনতে চায় ল এসোসিয়েশন অব জাম্বিয়া। বিশ্বব্যাপী সব বার অ্যাসোসিয়েশনগুলো একই কাজ করছে। 

জিয়ালের শিক্ষার্থীদের উচ্চ ব্যর্থতার হারের বিষয়টি ২০১২ সালে একটি সংসদীয় সাব কমিটি দ্বারা তদন্ত করা হয়েছে:

আপনার কমিটি লক্ষ্য করেছে, জাম্বিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলে ভর্তি বিচার্য বিষয় অন্য অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ভিন্নতর। কারণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানবিক মাধ্যমে পাশ করা ছাড়াই ;গ্রেড ১২ থেকে সরাসরি ভর্তি করা হয়, কিন্তু ইউএনজেডএ’র [জাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়] ক্ষেত্রে তা করা হয় না। এর ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকদের সাধারণ মান খুব নিম্ন হয় যা জিয়ালের ফলাফলে তা প্রতিফলিত হয়। তাই আইনের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির কার্যক্রম ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সম্পন্ন করতে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

২০১১ সালে আইনজীবীদের যখন আনুষ্ঠানিকভাবে বারে ভর্তি করা হতো, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর্নেস্ট সাকালা সে সময়ের কথা বলেনঃ 

একজন স্বাধীন পর্যবেক্ষকের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থেকে জিয়ালের পরিস্থিতির বর্ণনা এসেছে এভাবে, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবার ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে সেখানকার সিস্টেমে গুরুতর কিছু ভুল রয়েছে […] পরিসংখ্যানগত দিক থেকে, এটি কার্যত অসম্ভব, জিয়াল যে ১৪৫ জন ছাত্রকে প্রশিক্ষন দেবার জন্য মনোনীত করেছে তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় জন একটি গ্রেড পেয়েছে। আসলে জিয়াল প্রকৃত অর্থে সেটাই আশা করেছে।  

জাম্বিয়ান ওয়াচডগে লিখা একটি চিঠিতে, এক বেনামী লেখকের অভিযোগ:

ইনস্টিটিউশনের ব্যর্থতার হার গত পরীক্ষায় ভীতিকর অনুপাতে পৌঁছেছে যা, ৯০ শতাংশেরও অধিক। অনেক আইন স্নাতকেরা আইনজীবী হওয়ার আকাঙ্খার সত্ত্বেও জিয়ালে ছাত্রদের ব্যর্থতার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে আসে নি। 

তিনি আরও লিখেছেনঃ 

তিনবার প্রচেষ্টার পরও পাশ করতে ব্যর্থ ছাত্রদের উপর “পাঁচ বছর” নিষেধাজ্ঞার কোন জাতীয় স্বার্থ নেই এবং এর রিভিউ করা উচিৎ বা সবচেয়ে ভাল এখনও বিলুপ্ত করা। এটি ২৩ তম সংশোধনী রুল হিসেবে জাম্বিয়া আইনের আইনি অনুশীলন কারীদের আইনের ৩০ তম অধ্যায়ের সাথে যুক্ত হবে। 

চিঠিতে একটি মন্তব্য তাঁকে “চিয়ার্স” বলেছে, পড়ুন [ওয়েবসাইট মন্তব্যের লিঙ্ক নাই]:

জিয়ালের সংশোধনী প্রয়োজন। কিভাবে আপনি একই ব্যক্তিকে বক্তৃতা দিতে এবং পরীক্ষায় নম্বর দিতে অনুমতি দিবেন? এবং একই ব্যক্তির আইন পরীক্ষা পাসের পর একজন ছাত্রের সাথে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। জাম্বিয়ান আইনজীবীরা খুব স্বার্থপর হয় এবং সে কারণেই এক ব্যক্তি আইন সংস্থাগুলো মালিকের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যায়। আদালতের আইনজীবীদের কেউই জিয়ালের সংস্কারের পক্ষপাতি নয়।

Exit mobile version