সৌদি সক্রিয় অংশগ্রহণকারীরা সৌদি আরব ত্যাগ করার অধিকার থেকে বঞ্চিত

সৌদি কর্মী এবং সাংবাদিক ইমান আল কাহতানিকে সৌদি আরব ত্যাগ করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তুরস্ক ভ্রমণে বাঁধা পাওয়ার গত কাল শেষ রাতে টুইটের মাধ্যমে তিনি তা ঘোষণা করেছেন।

আল কাহতানি একটি কড়া মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক। “শাসক এবং তার উত্তরাধিকারীর প্রতি আনুগত্য ভঙ্গ” এবং “দেশের উন্নয়ন বাঁধা দেয় চেষ্টা করা”র দায়ে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল হামিদ, মোহাম্মদ আল কাহতানির বিচারের সময় এবং তাদের প্রতিষ্ঠান “নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এসোসিয়েশন” এর জন্য তার দৃঢ় সমর্থন প্রকাশের পর তাঁর প্রতি সরকারের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়। এই বছরের শুরুর দিকে, তারা যথাক্রমে ১১ এবং ১০ বছরের কারা দণ্ডে দন্ডিত হয়েছে।

টুইটারে তিনি ঘোষণা করেন [আরবি ভাষায়]:

حاولت الخروج قبل قليل من مطار الدمام إلى إسطنبول فتم منعي من السفر وإخباري بالمنع وبالانتظار في مكتب جوازات المطار

— ইমান আল কাহতানি (@ইমাকিউএইচ) ১৯ জুলাই, ২০১৩

আমি দাম্মাম বিমানবন্দর থেকে ইস্তাম্বুল ভ্রমণ করছিলাম, কিন্তু আমাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। আমাকে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অবগত করার পর পাসপোর্ট অফিসে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

ইমান আল কাহতানি @ইমাকিউএইচ

পূর্বের অনলাইন কার্যক্রম এবং মানবাধিকার প্রতিবেদনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। দুই কর্মী বিচারের তার লাইভ টুইট এর পরে, একজন বিচারক “আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান” এর জন্য তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। কিন্তু সেই গ্রেপ্তার পরে বাতিল করা হয়।

নেটিজেনরা টুইটারে #منع_ايمان_القحطاني_من_السفر হ্যাশট্যাগের অধীনে আল কাহতানির ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ইমান আল কাহতানি ভ্রমণ থেকে নিষিদ্ধ।

এমএস রিম মন্তব্য করেছেনঃ

#منع_ايمان_القحطاني_من_السفر أعتقال ومنع واقصاء وقمع وفساد وبطالة وفقر وبؤس .. الى اين يا وطني ؟!!

— মিসরিম (@রিমকিউএইচ) ১৯ জুলাই, ২০১৩

গ্রেপ্তার, ভ্রমণ নিষিদ্ধ, নিপীড়ন, দুর্নীতি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং দুর্বিপাক। আমার দেশের শিরোনাম কি হতে পারে ?

ডাঃ মোহাম্মদ ব্যাখ্যা করেছেন, সৌদি আরবে ভ্রমণ নিষিদ্ধ সাধারণ ব্যাপার:

#منع_ايمان_القحطاني_من_السفر সাংবাদিক এবং #এইচআর কর্মীদের বিরুদ্ধে পর্যটন নিষেধাজ্ঞা সৌদি সরকারের সাধারণ পদ্ধতি লঙ্ঘন

— ড.মোহাম্মদ (এমডি.এমবিএ) ♈ (@ডমোহজি) ১৯ জুলাই, ২০১৩

আবার ফয়েজ আহমেদ বলেছেন যে, এমন নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি কার্যকারী হয় নাঃ

#منع_ايمان_القحطاني_من_السفر مايزال النظام يتعامل بسلطوية وسياسه القمع وتكميم الأفواه ماعاد ينفع في زمن أصبح المواطن يتحدث ويطالب بحقه

— سنيار (@ ফয়েজআহমেদ7) ১৯ জুলাই, ২০১৩

সৌদি শাসকদের স্বৈরাচারীতা চলতে থাকবে কিন্তু নিপীড়ন এবং মুখবন্ধ করে রাখার এই নীতি একটি সময়ে কাজ করে না, যখন মানুষ কথা বলার এবং তাদের অধিকার আদায়ের দাবি অব্যাহত রাখে।

Exit mobile version