হাইতি-ডোমিনিকানের তরুণরা আইনি পরিচয়ের অধিকার দাবি করে

হাইতির প্রাচীন বংশধারার ৫০ জনের মতো তরুণ ডোমিনিকান পুরুষ ও মহিলা মোভিমিয়েনতো রিকোনসি.ডো [স্প্যানিশ]- তে সংঘবদ্ধ হয়। তাদের মিছিল সান পেদ্রো দি ম্যাকোরিস ক্যাথেড্রাল থেকে যাত্রা শুরু করে সান্ত ডোমিঙ্গের জাতীয় রাজপ্রাসাদে যেয়ে শেষ হয়। এ মিছিলে তাঁরা তাঁদের কাগজপত্র পুনরুদ্ধারের এবং তাঁদের ডোমিনিকান জাতীয়তার দাবি জানায়। ২০০৭ সালে সেন্ট্রাল ইলেকটোরাল বোর্ড (জেসিই) একটি প্রশাসনিক নির্দেশ –আর১২- প্রকাশের মাধ্যমে ইচ্ছামতো তাঁদের ডোমিনিকান জাতীয়তা কেড়ে নেয়।

মিছিলকারীরা জেসিই এর অপব্যবহার ও অসঙ্গতির নিন্দা জানায়। কারণ এর ফলে ১৯ থেকে ২২ হাজার ফাইল ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে (ডিজিএম) পাঠানোর পথে। সাধারণ আইনী তালিকাভুক্তি থেকে একতরফাভাবে কোন তদন্ত ছাড়াই তাদেরকে ইমিগ্রেশন বইয়ে সরাতে চায়।

সামাজিক কর্মী গ্লোরিয়া অ্যামেজকুয়েতা, তাঁর ব্লগে প্রকাশিত “একটি রাষ্ট্র যা নিজেই নিজের ক্ষতি করে” [স্প্যানিশ] শিরোনামের প্রবন্ধটিতে বলেছেনঃ

La indocumentación de la población dominicana de ascendencia haitiana, cristaliza varias de las fallas del Estado Dominicano en materia de derecho a un nombre y a una nacionalidad.

হাইতির প্রাচীন বংশধারার ডোমিনিকান জনগণকে নথিপত্রের অন্তর্ভুক্ত না করায় বিভিন্ন ধরনের ডোমিনিকান রাষ্ট্র সংক্রান্ত ত্রুটিগুলো একটি নাম ও একটি জাতীয়তার অধিকারের প্রশ্নে দানা বাধছে।

#LevantaTuVoz [স্প্যানিশ] (#তোমার আওয়াজ তোল) হ্যাশট্যাগটির অধীনে অনেক সমর্থক একত্রে টুইটারে যোগ দিয়েছেন এবং দাপ্তরিক অ্যাকাউন্ট @Reconoci_do এর মাধ্যমে তাঁরা এই ঘটনাগুলোর কভারেজ নিয়মিতভাবে দিয়ে যাচ্ছেন।

ফাদার লুইস অ্যান্টনিওর কাছ থেকে আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ার পর সান পেদ্রো দি ম্যাকোরিস থেকে সকাল আটটায় মিছিলটি শুরু হয়।

হাইতির বংশদ্ভূত ডোমিনিকান তরুনেরা তাঁদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। অনুমতিক্রমে ব্যবহৃত। 

সান পাবলো আপস্তল ক্যাথিদ্রেল কাউন্টির গির্জা থেকে শুরু করে তাঁরা সান্তা ডোমিঙ্গোর দিকে যায়। তাঁরা ১২ এপ্রিল, শুক্রবার জাতীয় প্রাসাদ অভিমুখে যাত্রা করে। সেখানে আক্রান্ত তরুণরা প্রেসিডেন্ট ডানিল মেদিনাকে একটি বিবৃতি দেবার অনুরোধ জানায়। কারণ তিনি হচ্ছেন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি নির্বাচন পূর্ব এজেন্ডায় হাইতির প্রাচীন বংশধারার ডোমিনিকানদের সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিলেন।

তরুণরা সামাজিক সংগঠন, চার্চ, শ্রমিক সংগঠন, শিল্পী, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড় এবং সমাজের সাধারণ মানুষকে এই সমাবেশে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়ঃ “আমাদের অধিকারকে যথাযথ মূল্যায়ন করুন, কারণ সবার অধিকারকে সম্মান দেখানো উচিৎ। জেসিই’র উচিৎ “আমাদের আটককৃত কাগজপত্র” ফেরত দেওয়া।”

হেনরি মলিনার প্রেসিডেন্সির উপ-মন্ত্রী নথি গ্রহণ করছেন। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত 

শুরু থেকেই সমাবেশটি পুলিশ অফিসার এবং একটি আম্বুলেন্স দিয়ে সুরক্ষিত ছিল। এসবের উপস্থিতি ছিল সব ধরণের সমর্থনের জন্য।

Exit mobile version