গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো: ভিডিওগুলি লুবাঙ্গাকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করতে সাহায্য করেছে

এই পোস্টটি মূলতঃ উইটনেস-এ পোস্ট করা বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে করা।

১৪ই মার্চ, ২০১২ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পূর্ব কঙ্গোর প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতা টমাস লুবাঙ্গাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে – সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের ব্যবহারে – অভিযুক্ত করেছে। আলোচ্য ভিডিওটি গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো (ডিআরসি)-তে এই অপরাধের শিকারদের এবং পরিবর্তনের জন্যে ভিডিও’র ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার অর্জনে একটি গুরুত্বপুর্ণ মাইলফলক।

পূর্ব গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে চল্লিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে, সেখানে মিলিশিয়ারা নিয়মিতভাবে ৬বছর পর্যন্ত শিশুদের নিয়োগ করছে এবং হত্যা করতে শিখাচ্ছে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে যে এই অঞ্চলের যোদ্ধাদের ৬০% মূলতঃ ৮ থেকে ১৬ বছরের শিশু।

বিচারের শুরুতে আদালতে উইটনেস-এর “রক্ষার দায়িত্ব” নামের ৫-মিনিটের একটি ভিডিও দেখানো হয়। অন্যান্য চাক্ষুষ প্রমাণের পাশাপাশি ফলাফল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার জন্যে এর প্রতি বিচারক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এতে সামরিক বাহিনীতে নিযুক্ত মেফিল এবং জানুয়ারি নামের দু’টি অল্পবয়েসী তরুণীর গল্প বলা হয়। ভিডিওটিতে সন্তানদের নিয়োগে পরিবার এবং বৃহত্তর কমিউনিটির উপর প্রভাব দেখানো হয়।

উইটনেস স্টাফ সদস্য এবং দীর্ঘদিনের মানবাধিকার প্রচারণাকর্মী পূর্ব ডিআরসি’র বুকেনি ওয়ারুজি রায় শোনার জন্যে দি হেগে ছিলেন। ১৪ই মার্চ মামলার রায় পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বিচারে ভিডিওর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে উপস্থিত ছিলেন।

উইটনেস নিচের ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করে ১৩ই মার্চ, পূর্ব ডিআরসি’র সাবেক শিশু সৈন্য মেডেলিন – ১৫ বছর বয়সের যে শিশুটিকে বিযুক্ত করে তিনি দত্তক নেন – তার সাথে বুকেনি কথা বলার ঠিক আগের দিন। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের সামনে শিশু সৈনিক হিসেবে সে তার অভিজ্ঞতার চাক্ষুষ প্রমাণ দেয়।

লুবাঙ্গা বিচারের ফলাফল নিয়ে বুকেনি এবং মেডেলিন তাদের আকাংক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করছে। আর আশা করছে সব এলাকার শিশু সৈন্যরাই যেন ন্যায় বিচার পায়।

শিশু সৈন্যদের উপর বুকেনি এবং উইটনেস-এর কাজ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে এখানে দেখুন।


Exit mobile version