মিশর: সালাফিরা, আলেকজান্দ্রিয়ার মৎস্যকন্যার মূর্তি ঢেকে দিয়েছে

এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

সালাফিরা, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থিত এক মৎস্যকন্যার মূর্তি ঢেকে দেয়। নেট নাগরিকরা এই কাজটিকে অদ্ভূত এক কাজ হিসেবে বিবেচনা করছে এবং তারা এর সমালোচনা করছে। টুইটারকারীরা সংবাদ প্রদান করছে যে আল নুর সালফি দলের লোকেরা এই মূর্তি ঢেকে দিয়েছিল, যারা এর কাছে এক সভার আয়োজন করেছিল।

ফারাহ সাফান ব্যাখ্যা করছে :

@ফারাহসাফান: আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থিত মৎস্যকন্যার মূর্তির কাছে সালাফিরা এক সভার আয়োজন করে। তারা এই সভা চলাকালীন সময়ে উক্ত মৎস্যকন্যার মূর্তি ঢেকে রাখে।

এনজিজি টুইট করেছে :

@এনজিজি: আলেকজান্দ্রিয়ার এক মৎস্যকন্যার মূর্তি ঢেকে ফেলার মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই নিঃসন্দেহে বেহেশতে যাচ্ছি। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। #ইজিপ্ট#আলেকজান্দ্রিয়া#সালাফি

এই ঘটনায় রাচিদএইচ-এর প্রতিক্রিয়া :

@রাচিদএইচআমরা সপ্তম শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি

এবং মোস্তাফা হুসাইন এই সংবাদকটি বিশ্বাস করেননি এবং তিনি নিজের চোখে এই কর্মটি দেখতে চেয়েছেন:

@মোসাফতাসা: আলেকজান্দ্রিয়ায় কি একটা মৎস্যকন্যার মূর্তি আছে? আর কেউ কি সেটা অবগুণ্ঠন দিয়ে ঢেকে দিয়েছে? দয়া করে এর লিঙ্ক এবং ছবি প্রদান করুন।

আল মাসরি আল ইয়ূম নামক সংবাদপত্র, এই ঘটনার প্রমাণ হিসেবে টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছে।

ঢেকে রাখা অবস্থায় এবং উন্মুক্ত মৎস্যকন্যার মূর্তির ছবি। টুইটারে পোস্ট করেছে আল মাসরি আল ইয়াম।

ফোর কর্নার মিডিয়া আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে এ ধরনের ঘটনা খুব সাধারণ, তারা ইরাকের এ রকম ঘটনার এক উদাহরণ আমাদের সমানে তুলে ধরছে:

@ফোরসিএম: @জাস্টআমিরা @এনএফএম; ২০০৪ সালে ইরাকের নাসিরিয়ায় একই ঘটনা ঘটেছিল, বক্ষ উন্মুক্ত রাখার অভিযোগে এক সুমেরীয় নারী মূর্তির ক্ষতি সাধন করা হয়।

আমাদের সম্মিলিত মানব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং শিল্পের প্রতি সালাফিরদের যে প্রতিক্রিয়া, তা আমাদের সামগ্রিকভাবে ২০০১ সালে তালেবানদের দ্বারা প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি ধবংসে কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

Exit mobile version