মালয়েশিয়াঃ খাদ্য এবং ব্লগ অ্যাকশন ডে ২০১১

এ বছরের ব্লগ অ্যাকশন ডের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘খাদ্য’ অনেক মালয়েশীয় নাগরিক এতে অংশ নেয় এবং তারা এই বিষয়ে তাদের ব্লগে অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় কিছু লেখা লেখে।

বয় মিট ওয়ার্ল্ড নামক ব্লগার লিখেছেন যে, তিনি আসলে কতটা সৌভাগ্যবান যে তাকে কখনো খাদ্য নিয়ে হতাশায় ভুগতে হয়নি এবং তিনি কতটা নিশ্চিত থেকে সব গ্রহণ করেছেন :

আমি এই কারণে কৃতজ্ঞ যে, আমি এমন একটি দেশে বাস করি, যেখানে খাদ্য নিয়ে কোন ধরনের হতাশা নেই। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের এখানে অজস্র সুপার মার্কেট রয়েছে, যেখানের প্রতিটি সেলফ-এর তাকে তাকে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় খাবার থাকে। বিশেষত এখানে প্রত্যেকটি আলাদা স্থানে থেকে আমরা আলাদা খাদ্য বেছে নিতে পারি। অন্যদিকে যেমন হর্ন অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকার শিং নামক এলাকায় এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা এক বেলা ঠিকমত খেতে পাবার জন্য প্রার্থনা করে, আর অন্যদিকে আমরা খাবারে মিষ্টি হিসেবে আইসক্রিম না থাকার কারণে মায়ের রান্না নিয়ে অভিযোগ করি। এমনকি এখন আমাদের রান্নাও করতে হয় না, কারণ আমাদের ঘরের কাছে রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকান রয়েছে

সুওয়েন-এর একটি আত্ম উপলব্ধি রয়েছে, যখন সে বুঝতে করে যে খাবারের কারণে সে বেঁচে থাকে, যখন সে উপলব্ধি করে যে অনেক মানুষ, বিশেষ করে শিশুদেরও একবেলা খাবার পেতে সংগ্রাম করতে হয়:

যখন আপনি আপনার বন্ধুর কাছে জানতে চান যে কোন হোটেলে দুপুরের খাবার বা লাঞ্চ সারা যায় তখন এই সমস্ত শিশুরা জানে না লাঞ্চ কি বস্তু।

খাদ্যের স্বাদ কেমন, এই বিষয় নিয়ে তারা বিন্দু মাত্র ভাবে না। তারা কেবল যা চায় তা হচ্ছে খাবার; কারণ যে সমস্ত লোক এই লেখা পড়ছে, তারা এদের বেশীর ভাগের মত নয়। তারা বেঁচে থাকার জন্য খায়।

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, আমি এমন কিছু ভাবতাম, যার জন্য আমি সত্যি লজ্জিত, আমি নিজেকে বলতাম,

“যদি আমি খাবার নষ্ট করি তাহলে কি হবে? এটা এমন নয় যে, আমি খাবার নষ্ট করলে গরীব শিশুরা খাবার পাবে না,” কিন্ত সত্যিকার অর্থে আমি আমার সকল ভাবনা ফিরিয়ে নিয়েছি

কুচিং কোলো মী। ছবি ফেসবুকের ডানিয়েল টাই-এর।

অন্যদিকে আনেস সাপিহা তার প্রিয় খাদ্য সম্বন্ধে বলছে, কুটেবানও তার প্রিয় খাদ্য সম্বন্ধে লিখেছে, যা কিনা মালয়েশিয়ার সারওয়াক প্রদেশের এক খাবার।

আমার প্রিয় খাদ্য হচ্ছে কোলো মি! এটা সারওয়াকের কুচিং-এলাকার খাদ্য। যা অন্য এলাকার খাবারের থেকে আলাদা বিশেষ করে এখানে যে ধরনের নুডুলস ব্যবহার করা হয়। আমরা এই ধরনের নুডুলসকে- বলি “কিউইমী” মানে কোঁকড়ানো নুডুলস।

আপনি আমাকে হয়ত জিজ্ঞেস করতে পারেন, কেন? যখন আমার পরিবার কুচিং থেকে সাবাহ-তে ফিরে আসে, সেই তিন বছর বয়স থেকে কোলো মী খাওয়া শুরু করি=) আপনি কি অনুভব করতে পারেন যে কোলো মী-এর প্রতি আমরা ভালোবাসা কতটা গভীর?

ফেলিসিয়া একটি খাবার হোটেলের সুপারিশ করছে:

সেদিন আমার ছেলে বন্ধু এবং আমি প্রতিদিনের মত এভরিডে.কম-নামক খাবারের বিল পরিশোধ করতে গেলাম, যা আমার খাবারের কুপন! :D, বিল পরিশোধের সময় রশিদের সাথে আমাদের ছবি তোলার কথা আমি একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম, কাজে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, এর বদলে আমি এটা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আশা করি এটাকে এক্সডি [ সকল কিছুকে হাসিমুখে গ্রহন করা ] হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

হ্যাঁ, এটা সেই কুপন। ৯.৯০ রিঙ্গিতে পাঁচ পদের এক খাবারের কুপন!

কিম তার প্রিয় খাবারের জায়গা সম্বন্ধে লিখেছে, এটা হ্যালো কিটি নামক জাপানী বিড়ালের চরিত্রের ভিত্তিতে তৈরি করা এক রেস্তোরাঁ।

Exit mobile version