ম্যাসেডোনিয়া: বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় লিথুনিয়ার বিরুদ্ধে জয় উদযাপন

ইউরোপিয়ান বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় ম্যাসিডোনিয়া সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার খুশী দেশটির রাস্তা, ব্যালকনি থেকে শহরের কেন্দ্রস্থল হতে ব্লগজগৎের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ওগলেডানো না এডনা ডুশা (এক আত্মার আয়না) নামক ব্লগ ইউরো বাস্কেট ২০১১ নামক প্রতিযোগিতায়, আয়োজক রাষ্ট্র লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাসিডোনিয়ার জাতীয় বাস্কেট বল দলের জয়ের উদযাপনের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছে [ ম্যাসেডোনীয় ভাষায়]। এই জয়ে আনন্দের মাত্রা একই প্রতিযোগিতায় গ্রীসের আনন্দের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

বরাবাস এই জয়কে বিবেচনা করছেন [ম্যাসেডোনীয় ভাষায়] এমন এক জয় হিসেবে, যা তার প্রজন্মের জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত, “ যে ঘটনার কথা তাদের নাতি নাতনিকে বলার মত”।

শাসক দলের রাজনীতিবিদেরা এই জয়ের ঘটনায় সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশের রাষ্ট্রপতি জাতীয় দলের অনুপস্থিতিতে তাদের পদক প্রদান করেছে। এদিকে সরকার করদাতাদের টাকায় ১৫০ জন বাছাইকৃত “পেশাদার সমর্থকদের” [ম্যাসেডোনীয় ভাষায়] খেলা দেখার জন্য নিয়ে নিয়ে যাচ্ছে.

নাগরিকরা ব্যক্তিগতভাবে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার একেবারে অভাবের বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে, বিশেষ করে সরকার-পন্থী কিছু প্রচার মাধ্যম, এ ক্ষেত্রে “নিজের খরচে” এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেছে, যেন “মন্ত্রীরা নিজের টাকা দিয়ে তাদের খেলা দেখতে পাঠাচ্ছে। অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক যুক্ত-এই দলকে বহন করার জন্য যে বিমান ভাড়া করা হয়েছে, সেটি স্পন্সর করেছে টিএভি নামক তুরস্কের এক কোম্পানী, যারা ম্যাসেডোনিয়ার অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠাননেটপ্রেস [ম্যাসেডোনীয় ভাষায়], এর সূত্রমতে, নির্বাচিত উক্ত সমর্থক গোষ্ঠী বিমানের মধ্যে মারামারি বাঁধিয়ে দেয় এবং তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নমনীয় করে ফেলে। এর ফলে ফিরতি যাত্রায় বিমান কোম্পানী ১১ জন যাত্রীকে বিমানে বহন করে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে।

এছাড়া রাষ্ট্রীয় খরচে রাজধানী স্কোপিয়েতে এই জয় উদযাপনের জন্য যে আতশবাজী পোড়ানো হয়েছে, সেটিও করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।

সামাজিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহারকারীরা নিম্নলিখিত কৌতুকটি ছড়িয়ে দিয়েছে, এক্ষেত্রে তার বলকান অঞ্চলের বাইরে ভৌগোলিকভাবে ম্যাসিডোনিয়া পরিচিত সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান যে সামান্য সে বিষয় উল্লেখ করে (বিদেশে বাস করা বেশীর ভাগ ম্যাসিডোনীয় নাগরিক এই বিষয়ে একটা গল্প বলতে পারে যে বিদেশে এমন একজন নাগরিকের সাথে তার দেখা হয়েছিল, যে জানত মেসিডোনিয়া আফ্রিকার একটা দ্বীপ অথবা এ রকম কিছু)

- আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
– ম্যাসিডোনিয়া থেকে।
– আর ম্যাসিডোনিয়া কোথায়?
– সে এখন সেমিফাইনালে!!!

টুইটার ব্যবহারকারী বিলজানা একই সাথে উল্লেখ করেছে উল্লেখ করেছে [সার্বীয় ভাষায়] ভাষায় যে এই জয় উদযাপনের বিষয়টি সার্বিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে -পারস্পারিক সর্ম্পক বিনিময়ের প্রথম এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে। যখন কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রাক্তন যূগোস্লাভিয়ার দলসমূহ ম্যাসিডোনিয়ার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে না, তখন ম্যাসিডোনিয়ার বেশীর ভাগ ক্রীড়া সমর্থক ঐতিহ্যগতভাবে তাদের সমর্থন প্রদান করে থাকে।
তবে এ সব দেশ সমূহের প্রচার মাধ্যমের নিন্দনীয় মন্তব্যের কারণে গত কয়েকদিন ধরে টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।

Exit mobile version