জাপানের ভূমিকম্প, সুনামি আর পারমাণবিক দুর্ঘটনার বিষয়ে চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল একই সাথে নোংরা এবং মানবিক, আর জাপান নামক দেশটির প্রতি অনুভূতি আগের মতই জটিল অবস্থায় রয়ে গেছে।
অনেকে এই বিপর্যয়কে ভবিষ্যৎ-এ এক বিবৃতি প্রদানের সুযোগ হিসেবে দেখছে। তবে জাপানের ভূমিকম্পের সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রভাব চীনে তখনই দেখা যায়, যখন বুধবার রাতে রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম চীনে বাতাসের মাধ্যমে কোন তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা নেই বলে বিবৃতি প্রদান করা হয়, কিন্তু গুজব রয়েছে যে পূর্ব উপকুলের মাধ্যমে চীনের লবণ সরবরাহের উপর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বাস্তবতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম চীনের জনতাকে বলছিল যে ভবিষ্যৎ-এ লবণ সরবরাহ নিয়ে তারা যেন চিন্তিত না হয়ে পড়ে, যা ঠিক এর বিপরীত প্রভাব সৃষ্টি করে এবং এর ফলে বেশ কয়েকটি শহরে লবণ কেনার হিড়িক পড়ার মত এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, পরে যা এক চলতে থাকা গুজব আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং, এই ঘটনা, বিশেষ করে এর বিচিত্রতার কারণে, ওয়েইবোতে এক সবকিছু ছাপিয়ে চলা এক [চীনা ভাষায়] আলোচনা শুরু হয়, ওয়েইবো এবং এবং বেশিরভাগ অনলাইনে বুধবার রাতভর আলোচনা চলে এবং যখনই দৃশ্যমান হতে থাকে, ওয়েইবোর কর্মচারীরা লবণ সংক্রান্ত গুজবে ভরা টুইট মুছে ফেলা শুরু করে। সিনা ওয়েইবোর নিজস্ব ওয়েবসাইট একাউন্টের কাজ ছিল বুধবার মাঝ রাত পর্যন্ত আতঙ্ক ছাড়ানো লবণ সংক্রান্ত গুজব দুর করতে থাকা।
শহরের অদ্ভূত সব বাসিন্দারা লবণ কিনতে পাগলের মত দৌড়াচ্ছে, তারা এই ভয়ে ভীত যে আজ থেকে সমুদ্রের লবণ তেজস্ক্রিয়তা ভরে যাবে। আমি আশা করি যে লোকজন আরো যৌক্তিক মনোভাব প্রকাশ করবে এবং তারা এই রকম নির্বোধ আতঙ্কের ফলে বস্তায় বস্তায় লবণ কেনার জন্য ঝাপিয়ে পড়বে না। আমি রাত্রি ৯.৩৫ মিনিটে গুয়াংঝুর একটি স্থানীয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের এই ছবিটি তুলেছি।
বিচিত্র শহুরের বিচিত্র বাসিন্দারা পাগলের মত লবণ কিনতে দৌড়াচ্ছে, তারা এই ভয়ে ভীত যে আজ থেকে সমুদ্রের লবণ তেজস্ক্রিয়তা ভরে যাবে। আমি আশা করি যে লোকজন আরো যৌক্তিক মনোভাব প্রকাশ করবে এবং তারা এই রকম নির্বোধ আতঙ্কের ফলে বস্তায় বস্তায় লবণ কেনার জন্য ঝাপিয়ে পড়বে না, বিশৃঙ্খলায় সৃষ্টিতে আবদান রাখবেন না। রাত ৯ টায় তোলা এই ছবিটি গুয়াংঝুর শিকুন ট্রাস্টমার্টের উপর তোলা, যেখানে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রান্নার সব লবণের প্যাকেট বিক্রি হয়ে যায়।
সাংহাইজেসি: রাত ৯ টার পর আমি কিছু লবণের প্যাকেট কিনতে বের হলাম। দেখা গেল যে সকল দোকানের সকল লবণ বিক্রি হয়ে গেছে। সাংহাই-এর বাজারে এখন আর কোন লবণ নেই। এই ছবিটি কারেফোরের, যেখানে দশটি ব্রান্ডের সবকটির লবণ ফুরিয়ে গেছে। বেদনাদায়ক।
আমার চাচা শেনঝেন-এর একটি সুপারমার্কেট চালায়, সে আমাকে এই সংবাদটি দেবার জন্য ফোন করে যে, লবণ আতঙ্ক এখন শেনঝেন-এ গিয়ে পৌঁছেছে। সেখানে ১০ আরএমবিতে এক প্যাকেট লবণ বিক্রি হচ্ছে। তিনি আমাকে নিশ্চিত হতে বললেন যে আমাদের এই শহরে লবণ যথেষ্ট পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে কিনা। সেখানকার আত্মীয়রা যখন্ এই সংবাদ শুনলো সাথে সাথে তারা লবণ কিনতে ছুটলো এবং ২০ প্যাকেট লবণ নিয়ে আসল।
http://t.sina.com.cn/1747250202/wr4kmXyMgE&Refer=STopic_resultother
Happy葇:现在大家疯狂的抢购盐,不是说是谣言吗?怎么大家都相信盐会被污染,刚刚家乡的亲戚打电话来说,家乡的盐现在卖18元一包,还有人买十箱回家,这边的商店一些也不卖盐了,Oh my god……
সব জায়গার লোকজন উন্মাদ হয়ে গেছে এবং তারা লবণ কেনার জন্য ছুটে যাচ্ছে। তারা কি বলছে না যে এটা একটা গুজব মাত্র? কেন সবাই ভাবছে যে লবণে সমস্যা দেখা দিয়েছে? এই মাত্র গ্রাম থেকে আমার আত্মীয় আমাকে ফোন করে বলল যে সেখানে প্রতি প্যাকেট লবণ ১৮ আরএমবিতে বিক্রি হচ্ছে, এবং অনেক লোক একবারে দশটি প্যাকেট কিনে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। এখানকার কয়েকটি দোকান লবণ বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। হে ঈশ্বর…
চীনের আন্তর্জাতিক ত্রাণ এবং উদ্ধার সংস্থা ( ইন্টারন্যাশনাল রিলিফ এন্ড রেসকিউ স্কোয়াড বা সিআইআরআরএস)-এর মাইক্রোব্লগিং একাউন্ট, ওয়েনঝুর মাইক্রোব্লগার থালোরফিল্ড এর লেখা আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনরায় টুইট করেছে:
আজ ঝেজিয়াং প্রদেশের সব জাযগায় দ্রুত খাবার লবণ এবং অন্য সব মশলা কেনার মত এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দৃশ্যত তেজস্ক্রিয়তার কারণে উপকূলে আর লবণ চাষ করা সম্ভব হবে না. এই গুজব থেকে এর জন্ম হয়। যারা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবে, তারা জানবে যে আমরা যে লবণ খাই, তা হাংঝু উপসাগর থেকে সরাসরি আসে না!!! এইসব গুজবকে থামানোর জন্য, দয়া করে এটি পুনরায় টুইট করুন। —-মাগমানট: আমরা এমন কোন সংবাদ পাইনি যে, তেজস্ক্রিয়তা জাপান থেকে চীনে এসে পৌঁছেছে, সংবাদ বলছে যে, সকল পরীক্ষায় দেখে গেছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জাপানিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পাগলের লবণ কিনছে না, তাহলে আমরা কেন আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া শুরু করব? নিনগোবো থেকে জাপান অনেক দুরে, কাজে দয়া করে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া বন্ধ করুন। আমাদের লবণ আসে কিঙগহাই নামক এলাকা থেকে, এবং সেখানে লবণের কোন ঘাটতি নেই। দয়া করে এই বিপর্যয় থেকে দ্রুত বের হয়ে আসার কাজে স্বেচ্ছাসেবী হউন। ধন্যবাদ।
এই ছবিটি সিনা’র অর্থনৈতিক সংবাদ চ্যানেল থেকে এসেছে, যা একটি নেট নাগরিকের উক্তির উদ্ধৃতি প্রদান করেছেন:
সকলেই পাগলের মত লবণ কিনছে, এবং ইতোমধ্যে এর দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে, এমনকি যদি এই মূহূর্তে আপনি লবণ কিনতে চাইলেও তা পাবেন না। তার পরিবারের এক বন্ধু দ্রুত এক সুপার মার্কেটে যায় এবং তারা চার বোতল লবণ পায়। সেকেন্ডের মধ্যে তা শেষ হয়ে যায়। এরপর সাংবাদিক আবিষ্কার করে যে হাঙ্গঝুর সকল সুপারমার্কেটের সকল লবণ বিক্রি হয়ে গেছে।