বাহরাইন: সম্প্রদায়গত ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই

এই পোস্টটি ২০১১ সালে বাহরাইনের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

গতকাল, বাহরাইনে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রতিটি বাহরাইনি পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০০০ বাহরাইনি দিরহাম (২৬৫০ মার্কিন ডলার) প্রদান করা হবে। ন্যাশনাল অ্যাকশান চার্টার -এর দশম বার্ষিকীতে এই অর্থ পুরষ্কার প্রদান করা হচ্ছে। এই দিনটি দেশটির নতুন যুগের সূচনা এবং রাজনৈতিক সংস্কারের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে ছিল নতুন এক সংবিধানের সূচনা করা এবং নির্বাচিত সংসদের সৃষ্টি করা। টুইটারে প্রতিক্রিয়া ছিল বিচিত্র, এখানে অনেকে তাদের প্রাপ্ত অর্থ গণনা করছে এবং সেই অর্থের দ্বারা কি করা যায় তার পরিকল্পনা করছে, এদিকে অন্যরা অভিযোগ করছে যে এই অর্থ খুব সামান্য এবং অনেক দেরিতে তা প্রদান করা হচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে এই দেশে বিক্ষোভ প্রকাশের দিন হিসেবে পালন করার জন্য প্রচারণা চালানো হয়। সামাজিক প্রচার মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয় যে, এদিন বাহরাইনের নাগরিকরা যেন রাস্তায় নেমে আসে এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবী জানায়।

টুইটারে উভয় ঘটনাকে একটা সম্প্রদায়গত স্বরে গ্রহণ করা হয়েছে। বাহরাইনের টুইটারকারী, কয়েকটি নাম উল্লেখ করে এবং দেখা যাচ্ছে যে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে পরস্পরকে (শিয়া/এবং সুন্নী) আক্রমণ করা, শিষ্টাচার এবং ভব্যতার সীমা অতিক্রান্ত করেছে।

এছাড়াও টুইটারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল খালিফা দ্রুত এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং তিনি [তার] জাতীয় দায়িত্ব পালন করেন, এবং তিনি সম্প্রদায়গত ঘৃণা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কথা বলেন- এটি ছিল এমন এক কাজ, যা টুইটারকারীর উল্লাসের সাথে গ্রহণ করে, যারা এ ধরনের অপমানের কারণে হতাশ হয়েছিল।
এখানে টুইটারে আসা কিছু প্রতিক্রিয়া প্রদান করা হল:

@খালিদআলখালিফা:আজ আমাদের সর্বশেষ যে বিষয়ের প্রয়োজন, তা হচ্ছ সম্প্রদায়গত অবস্থানের ভিত্তিতে নির্বোধ কিছু ঘৃণা মূলক আক্রমণ।

@খালিদআলখালিফা:@নাদোই_উইশ, এটা আমাকে সত্যিই ভীষণভাবে আহত করেছে….যে কেউ যদি তার স্বদেশবাসীর বিরুদ্ধে এ রকম শব্দ ব্যবহার করে, সে যেন অবশ্যই উপলব্ধি করে সে আসলে নিজেকে আহত করছে।

@খালিদআলখালিফা:প্রিয় টুইটারকারীরা… জাতীয় দায়িত্ব পালন করার কারণে এবং সম্প্রদায়গত ঘৃণা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমাকে ধন্যবাদ দেবার প্রয়োজন নেই। স্রষ্টা আপনাদের মঙ্গল করুক।

@খালিদআলখালিফা:@উইএমসুলতান. জাতিগত ঘৃণা এবং অর্থহীন বিষয়ে লড়াই করা, অর্থহীন কাজ নয়।

@খালিদআলখালিফা:আরটি@আহমেদবিনহামেদ আরটি@মার৩০০বি: উপেক্ষিত কয়েকজনের দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। সম্প্রদায়গত ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি প্রদান করা উচিত।

@খালিদআলখালিফা:নিঃসন্দেহে। আরটি@মাদিশা, সকল বাহরাইনি নাগরিকের এত বছরের এক অন্য রকম অর্জন, যার জন্য তারা গর্ব অনুভব করতে পারে, যে তারা কখনোই ঘৃণাকে অন্তরে ঠাঁই দেয়নি।

@ইমুডজ, জনাব, @খালেদআলখালিফা:স্রষ্টা আপনার মঙ্গল করুক: [..]জাতীয় দায়িত্ব পালন করার কারণে এবং সম্প্রদায়গত ঘৃণা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমাকে ধন্যবাদ দেবার প্রয়োজন নেই।

@খালিজি: আমাদের খালিদআলখালিফার মত আরো লোকের প্রয়োজন। যিনি কথা বলার জন্য তৈরি, আর সবকিছু সবাইকে জানাতে এবং ব্যাখ্যা করার জন্য প্রস্তুত।#ইউনাইটেডবাহরাইন

@ তালাবাসি, কিন্তু জনাব@খালিদআলখালিফ, আপনাকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশেষ কাজে সামনে এগিয়ে এসে উদাহরণ সৃষ্টি করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি নিশ্চিত যে সকলেই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আপনাকে নিয়ে গর্বিত।

এদিকে আরব আরব বিপ্লবের এক সময়সূচি প্রদান করা হয়েছে যা অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে

এই পোস্টটি ২০১১ সালে বাহরাইনের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

Exit mobile version