প্যালেস্টাইন: প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রদান করা বিল'ইন -এর প্রতিবাদ সমাবেশে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার সংবাদ

৩১, ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে গাজার পশ্চিম তীর এলাকার বিল'ইন নামক গ্রামের ফিলিস্তিনি নারী জোয়াহার আবু রাহমা নিহত হন। ৩৬ বছর বয়স্ক এই নারী এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেবার সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে মারা যান। ইজরায়েল সব সময় দাবি করে আসছে যে কাঁদানে গ্যাসের কারণে আবু রাহামার মৃত্যু ঘটেনি, যদিও টুইটারকারী ব্যক্তিদের টুইট থেকে প্রতক্ষ্যদর্শীরা দৃঢ়ভাবে বলছে যে প্রচণ্ড কাঁদানে গ্যাসের কারণেই তার মৃত্যু ঘটে। ৫ জানুয়ারী, ২০১০ তারিখে এক প্রবন্ধ যা জেরুজালেম পোস্টে ছাপা হয়, তাতে এই দাবির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয় যে, রাহমা কাঁদানে গ্যাসের কারণে মারা গেছে।

৭ জানুয়ারী, ২০১১ তারিখে ফিলিস্তিনি নারীরা আবু রাহমার স্মরণে সারারাত ধরে প্রার্থনা করে। ইজরায়েলের কয়েকজন নেসেট বা সংসদ সদস্য, প্রতিবাদকারী এবং আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের লোকজন তাদের সাথে যোগ দেয়। বেশ কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী বিক্ষোভ প্রতিবাদের তাজা সংবাদ প্রদান করতে থাকে।

জেসিকা ডেভানেই যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক। তিনি শুরু থেকে প্রতিবাদের বিষয়টি খেয়াল করেছেন:

বিল'ইন-এ, অবস্থিত জোয়াহারার বাসায় নারীরা সারারাত প্রার্থনা করেছে। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ জন ফিলিস্তিনি নারী এবং বিভিন্ন দেশের কয়েকজন নাগরিক উপস্থিত ছিল।

তিনি আরো জানাচ্ছেন:

সবাই বেড়ার ধারে এসে স্লোগান দিচ্ছে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার যন্ত্র হাতে সামরিক বাহিনীর লোকেরা দাঁড়িয়ে।http://yfrog.com/h6fjrjtj

কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার ব্যক্তিগভাবে তার উপর প্রভাব বিস্তার করে, কিন্তু একই সাথে প্রতিবাদকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে:

এই প্রথম এই রকম বাজে কিছু আমার উপর ছিটিয়ে দেওয়া হল। আমি যেমনটা শুনেছিলাম, এটা তেমনই ভয়াবহ এবং বাজে।

কাঁদানে গ্যাস সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণে সকলে যন্ত্রণা ভোগ করছে।.

জোসেফ ডানাও পুরো প্রতিবাদ সমাবেশটিকে অনুসরণ করেছেন:

৩০-৫০ জন সৈনিক অপরপ্রান্তে চলে এসেছে। বিপুল পরিমাণ গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে। মনে হচ্ছে এর পরিমাণ গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। http://twitpic.com/3nrwx9

যখন কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট এবং কিছু আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেবার হচ্ছিল, তখন ডানা এর সাথে যোগ করেন:

আসুন আমরা একটি বিষয়ে পরিষ্কার হই, বিল'ইন নামক গ্রামের নিরীহ এক প্রতিবাদের উপর ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। এই প্রতিবাদ সমাবেশে আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদেরাও অংশ নিয়েছিল। ইজরায়েল ব্যাপক ভাবে বিদেশী প্রচার মাধ্যমে সংবাদ হয়ে এসেছে।

নোয়াম সেইজায় একজন ইজরায়েলি, যিনি তেল আভিভে বাস করেন। এই সব সংবাদকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন, এর সাথে তিনি যোগ করেছেন, মনে হচ্ছে আইডিএফ (ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী) সাধারণ নাগরিকদের আহত হবার পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য বেশ বড় মাপের সতকর্তা গ্রহণ করেছে:

আজকে সামরিক বাহিনীর লোকজন বেশ সতর্ক ছিল। আমি ধারণা করছি, অনেক বেশী সংখ্যায় ইজরায়েলির উপস্থিতি রয়েছে।

এবং রসিকতার মাধ্যমে তিনি এর সাথে যোগ করেছেন:

সাপ্তাহিক যে পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস পাওনা, তা পেয়ে গেছি, এখন সপ্তাহের ছুটি শুরু করতে পারি।

প্রতিবাদ সমাবেশের শেষে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার উপসংহার টুইট করেছে:

মাটির পৃথিবীতে টুইটার আসার জন্য স্বর্গকে ধন্যবাদ। এর কারণে আমাদের এখানে যা ঘটছে, আমাদের সেই সব সত্য প্রকাশের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। টুইটারের জয় হোক এবং জনপ্রিয় গণ লড়াইয়ের জয় হোক।

আইডিএফ-এর আনুষ্ঠানিক টুইটার একাউন্ট এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠানের সার সংক্ষেপ তৈরি করেছে, তারা বলছে:

দুটি ভয়াবহ সংঘর্ষ+ অনৈতিক দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়েছে-৩০০ জন দাঙ্গাকারী বিল'ইন এর কাছে উপস্থিত হয়েছে+ নি'লিইন-এর ছুঁড়ে মারা পাথরগুলোর কাছে ৬০ জন উপস্থিত রয়েছে@নিরাপত্তা রক্ষী।

এই সমস্ত টুইটারকারী ব্যক্তির বিস্তারিত টুইট এবং অন্যদের করা টুইট সম্বন্ধে জানতে চাইলে নীচের টুইটারকারীদের টুইটগুলো পড়ুন।(এখানে উল্লেখ করা ভাষা ছাড়া, বাকি সব ইংরেজী ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে)@ইবনে জারা,@ইয়োগুরভিটজ (হিব্রু ভাষায়), @এনএস হেইজাফ, @তামারাজান্ডবার্গ@জেসিকাডেভেনায়ে@পিএসসিসি_প্যালেস্টাইন@ইটামার_বি(হিব্রু) @আইডিএফস্পোকসপার্সন।

Exit mobile version