ফিলিপাইন্স: বাল্টিমোর হাসপাতালে ফিলিপিনোদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ

বন সেকুর্স বাল্টিমোর হেল্থ সিস্টেম হসপিটালের চারজন ফিলিপিনো কর্মীকে তাদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে দুপুরের খাবারের সময় ফিলিপিনো (তাগালোগ) ভাষায় কথা বলার জন্যে। ব্লগাররা এই খবরে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

দ্যা অ্যাঙ্গরী এশিয়ান ম্যান বিশ্বাস করেন যে হসপিটালে শুধু ইংরেজী বলার নিয়ম একটি অন্যায়

আমি বুঝি যে এরকম নিয়ম হয়ত জরুরী বিভাগে থাকতে পারে যেখানে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বন সেকুর্স এর নিয়ম অনেক বিস্তৃত, এবং কোন পরিষ্কার নীতিমালা নেই যা সহজে সবাইকে এ বিষয়ে জানায়। তাই আপনার খাবারের ছুটির সময় অন্য ভাষায় কথা বললেন আর চাকুরী চলে গেল? এভাবেই?

এই কর্মচারীদের এই নিয়মের ব্যাপারে ঠিকমত অভিহিত করা হয় নি অথবা কোন কাগজপত্র দেয়া হয়নি। তারা কি বলেছে? কি ছিল ঘটনা? কারও কোন পরিষ্কার ধারণা নেই। ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত মাইগ্র্যান্ট হেরিটেজ কমিশন (অভিবাসী ঐতিহ্য রক্ষা সংস্থা) এইসব চাকুরিচ্যুত নার্সদের হয়ে আমেরিকার সম অধিকার সুযোগ কমিশনে অভিযোগ করেছে।

অ্যাডার্নাস অ্যাটিক এই চার ফিলিপিনো নার্সের ছাঁটাইকে ১৯৬৪ সালের মানবাধিকার আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। এই আইনটি একটি ফেডারেল আইন যা বর্ণ, দেশ বা সামাজিক অবস্থান নিয়ে জনগণকে বৈষম্য থেকে রক্ষা করে।

ব্লগ অফ লাইফ এর হোসে ম্যানুয়েল মর্মাহত কারণ এই ছাটাই করা হয়েছে যখন হাসপাতালে নার্সের ঘাটতি চলছে:

যদি এই নার্সদের খুব একটি দুর্লভ একটি মানবসম্পদ হিসেবে দেখা হয় যাদের খুব কদর করা হয়, তাহলে তাদের এত দ্রুত চাকুরিচ্যুত কেন করা হল? সবাই ভাবতে পারে নতুন নার্সিং স্নাতকদের কাজ পাওয়া দুরূহ কেন। আমার স্ত্রীর আত্মীয়ের ফিলিপাইনে নার্সদের নিয়োগ দেবার একটি ব্যবসা আছে, সে সেটা বন্ধ করে দিয়েছে কারণ হসপিটালগুলোর আর এই বহি:সেবার দরকার নেই। মনে হয় চিকিৎসা খাত নার্সদের যোগান বাড়ানোর চেষ্টা করছে যাতে তাদের কম বেতন দিতে হয়। যদি তাই হয় তাহলে চাকুরিচ্যুত নার্সদের কপালে খারাবি আছে।

এদিকে, সারাহ কাটরিনা মারামাগ অভিবাসী ফিলিপিনো নার্সদের কষ্ট তুলে ধরেছে এবং এর সাথে ফিলিপিনো পেশাজীবীদের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগের ঘটনাকে যুক্ত করছেন।

Exit mobile version