গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজের উপর ইজরায়েলী আক্রমণের উপর প্রতিক্রিয়া এখনও বিশ্বের কোনায় কোনায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। মাঘরেব অঞ্চলের ব্লগাররাও ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
মরোক্কোর ব্লগার ইবনে কাফকা ইজরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্লিকার অ্যাকাউন্ট পাতায় প্রকাশিত জাহাজে পাওয়া যাওয়া অস্ত্রগুলোর ছবিগুলো প্রকাশ করেছে। এই ব্লগার লিখছেন:
ইজরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্লিকার পাতায় তুলে দেয়া জাহাজে পাওয়া যাওয়া অস্ত্রগুলোর ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় যে এই ইহুদী বিদ্বেষী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ কতটা শক্ত। মনে রাখবেন: এই ছবিগুলো দুর্বলচিত্তের জন্যে নয়!
এই ব্লগার ছবিগুলো নিয়ে মন্তব্য করেন:
প্রমাণ ১: বুলেটপ্রুফ ভেস্ট
অবশ্য একটু সমস্যা আছে: দুইজন মন্তব্যকারী, বোধহয় ইহুদীবিদ্বেষী, দেখিয়েছেন যে এই ছবিটি ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের।[…]
ভীতির কোন ইয়াত্তা নেই – প্রমান ২: মরিচের স্প্রে
Futés ces Turcs pour utiliser des sprays au poivre toujours sous emballage.
এই তুর্কীরা কত চালাক মোড়ক থেকে না খুলেই মরিচের স্প্রে ব্যবহার করেছে![…]
ফিট হয়ে যাবার কিছু নেই, এখানে রয়েছে পরবর্তী প্রমাণ: একটি যন্ত্রচালিত করাত – জাহাজে! আসলেই এই সন্ত্রাসীরা ভয়ন্কর।
[…]
আমার সাথে থাকুন কারণ এখন পরবর্তী প্রমাণ উপস্থাপন করছি: রাতে দেখার সহায়তাকারী যন্ত্রপাতি, অবশ্যই সমুদ্রে এসব কেন ব্যবহার করা হবে।
সবার শেষে, মারত্মক অস্ত্র: একটি রক্তাক্ত ছোট ছুরি, একটি আঙ্গুলের সমান লম্বা ব্লেড সহ। এটি নিশ্চয়ই মেরিন কমান্ডোদের বিপক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত অস্ত্র:
এই সকল প্রমাণ যদি আপনাদের কাছে ইজরায়েলী আক্রমণের যথার্থতা প্রমাণ না করে, আমার কিছু বলার নেই।
মরোক্কো-বেলজিয়ান কেনজা এল ইয়াজনাসনির সাক্ষাৎকার নেয়া হয় গাজা ত্রাণ কনভয়ে (নিরাপত্তা দানের জন্যে একসাথে গমন) যোগ দেবার কয়েক ঘন্টা আগে। ইউটিউবে মাইস্কিনিওয়ান্ডারল্যান্ড এর পোস্ট করা এই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি ব্যাপক ভাবে ব্লগারদের দ্বারা প্রচারিত হয় কারণ কেনজার মৃত্যু হয়েছে এমন গুজব রটলে তার খোঁজ খবর নেয়া শুরু হয়। নীচের এই ভিডিওতে কেনজা তাদের “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আর মহৎ অভিযানের” জন্যে আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছেন।
কতিপয় টুইটার ব্যবহারকারী কেনজার মৃত্যুর খবর শুনে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কিন্তু পরে অসমর্থিত সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে কেনজা এবং আরও তিনজন বেলজিয়ান নাগরিক এখনও বেঁচে আছেন এবং তাদেরকে ইজরায়েল থেকে বের করে আনা হচ্ছে।
আলাস ডি টিলেলি একজন আলজেরিয়ান ব্লগার এবং ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন যাকে তার ব্লগ জগৎে অন্যরকম পরিচিতি এনে দিয়েছে। তিনি লিখেছেন [ফরাসী ভাষায়]:
[A]u-delà même de l’évidence qui fait que derrière cette flottille, ce sont les mêmes régimes (Algérie, Egypte, Syrie, Iran, Turquie…), voire même les organisations intégristes (Hamas, Hizbollah…) qui financent et tirent les ficelles pour que ce problème du Moyen-Orient puisse retrouver un peu de sa “splendeur” médiatique afin de manipuler encore et toujours la rue arabe et musulmane et de permettre à ces régimes de se faire oublier, eux et le marasme social qu’ils produisent pour leurs gouvernés, et à ces mouvements islamistes, de retrouver un peu de légitimité populaire…
লো আর্চিপেল দো আলজেরি ব্লগের আলজেরিয়ান ব্লগার নোমাদিয়াস ইজরায়েলের এই আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন [ফরাসী ভাষায়] এবং মনে করছেন যে এইবার ইজরায়েল একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। তিনি লিখছেন:
Cette attaque de ce convoi maritime humanitaire sonne une fin de la barbarie sioniste, sommé depuis longtemps et plus maintenant à se conformer aux normes d'un Etat respectable ou disparaître à la manière de l'apartheid, du fascisme, du nazisme et des autres fléaux de la planète. Que fera l'Etat sioniste quand un autre convoi méné par d'autres associations se dirigera encore une fois pour briser le blocus de Gaza ? Frapper encore ? Rien n'est moins sûr. Les faits sont là, Israèl s'enferme et s'enterre. Israèl est son propre ennemi aujourd'hui, maintenant, et depuis Moise.
তিউনিশিয়া থেকে লিনা বেন মেন্নি, যার জ্বালাময়ী লেখার কারণে এ বছরে সরকার তার ব্লগ ব্লক করেছে, তার বিস্ময় ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তিউনিশিয়ার কর্তৃপক্ষের সেই বিরল সিদ্ধান্তের জন্যে যা দেশটির রাজধানীতে গাজা স্বাধীনতা ফ্লোটিলার সমর্থনে একটি পদযাত্রা করতে অনুমতি দেয়। তিনি সেই চমকে ভরা দিনটির কথা বলছেন:
Aprés les attaques meurtières et atroces sur la flotille de la liberté , tous les peuples du monde sont sortis manifester spontanément contre ce crime.Nous on devait obtenir une autorisation pour le faire . Nous devons obtenir une autorisation pour exprimer notre colère, notre douleur…
Et comme par miracle , on a obtenu cette autorisation pour la journée d ‘après.
[…] Nous avons parcouru l ‘avenue Mohamed V , depuis la place du7 Novembre, arrivés a l ‘autre extremité , les forces de l ‘ordre nous ont aggréssés (m**de je croyais que la manifestation était légale ) , une aggression verbale et physique .Ils ont utilisés leur artillerie , ils se sont attaqués aux manifestants comme des betes féroces pourtant la manifestation était légale.
[…] আমরা পঞ্চম মোহামেদ অ্যাভেনিউ ধরে পদযাত্রা করেছি যার শুরু হয় লা প্লাস দু সেত নভেম্ব্রে। আমরা যখন অ্যাভেনিউটির অপর প্রান্তে পৌঁছালাম তখন পুলিশ শারীরিক ও মৌখিকভাবে আমাদের নির্যাতন করে (আহ! আমি মনে করেছিলাম এই প্রতিবাদ বৈধ বলে ধরা হবে)। তারা তাদের বন্দুক ব্যবহার করেছে, তারা প্রতিবাদকারীদের এমনভাবে তাড়া করেছে যেন তারা কোন পশু, অথচ পুরো প্রতিবাদ অনুষ্ঠানটি অনুমতি নিয়ে করা হয়েছিল।
নিয়মিত পরিবর্তনশীল এই ঘটনা নিয়ে আরও প্রতিক্রিয়া আসছে।