উজবেকিস্তান: ব্লগাররা উমিদা আখমেদোভার পক্ষে

উজবেক ডকুমেন্টারী চিত্রগ্রাহক উমিদা আখমেদোভার ব্যাপারে গ্লোবাল ভয়েসেস এরই মধ্যে লিখেছে। উমিদাকে উজবেক মানুষদের বিরুদ্ধে অপমান আর কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়েছে। এই ব্যাপারটা স্থানীয় আর বিদেশী সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি করেছে।

এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশের ৬০০র বেশী মানুষ ‘প্রতিবাদ ও ক্ষোভ’ নামের অনলাইন পিটিশনে সই করেছেন, যা শুরু করেছে আর্ন্তজাতিক সাংবাদিকদের জোট ‘ককেশিয়া'। ব্লগারদের মধ্যে এটা নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনাও হচ্ছে।

ইভানইভাঞ্চ লিখেছেন:

উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক এমনকি পর্যটকদের সাথে তাদের ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত, যদিও আমার বন্ধুরা বলেন যে উজবেকিস্তানের সাধারন মানুষ খুব ভালো। উমিদা আখমেদোভার পুরো পরিস্থিতির পরে, আমি বুঝতে পারছি যে স্থানীয়দের নিয়ে যে গল্প- আর উজবেক কর্তৃপক্ষদের নিয়ে যে কথা- সব সত্যি।

অনেক ব্লগার রাষ্ট্র ব্যবস্থার একনায়কতান্ত্রিক ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন। কিনোবমজ অনেক খোলাখুলি বলেছেন:

আমি হতবাক, কেন সরকারের বোকারা সব সময়ে শিল্পীদের মুখ বন্ধ করাতে চায়? আমি আমার প্রতিবাদ প্রকাশ করছি আর আমার বন্ধুদের একই রকম করার আহ্বান জানাচ্ছি- বা অন্তত পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ দিতে বলছি।

এর জবাবে ভিকারাসিক লিখেছেন:

কর্তৃপক্ষ মানুষ থেকে অনেক দূরে। আর তারা যদি কাউকে নামিয়ে আনতে চায়, কোন কিছু সেটাকে আটকাতে পারবে না।

ব্লগার মুলিওশকা মনে করেন উমিদার সমস্যা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিষয়ের সাথে তুলনা করা যায়। উজবেকিস্তানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কর্তৃপক্ষ সব সময় এড়িয়ে যেতে চান। তিনি লিখেছেন:

উজবেকিস্তানে জাতিগত রূপরেখা নিয়ে গবেষণা করার সময়ে, জাতিগত তাজিকরা যে স্থানে বাস করে সেই বিষয়টি- আর যেটুকু সোভিয়েট সময়ে উজবেক রিপাবলিককে দেয়া হয়েছিল- আপনা আপনি উঠে আসে।

অনেকে মনে করেন যে চিত্রগ্রাহক উমিদা আখমেদোভার শাস্তি তার সক্রিয় নাগরিক অবস্থান। অ্যালবাট্রস ডক লিখেছেন যে উমিদা আখমেদোভা আর তার স্বামী ওলেগ কার্পভ (তাশখেন্দ চলচ্চিত্র জাদুঘরের পরিচালক) উজবেকিস্তানের জন্য খুব বেশী সক্রিয় ছিলেন- চলচ্চিত্র আর ছবি বানাচ্ছেন আর চলচ্চিত্র জাদুঘরে সামাজিক বিষয়ক চলচ্চিত্র দেখাচ্ছেন।

অ্যালবাট্রস ডক মনে করেন কিছু মানুষ এটি পছন্দ না করতেও পারে। গত তিন মাস ধরে জাদুঘর বন্ধ আছে আর তার জন্য কোন সরকারী কারণ বলাও হয় নি।

উমিদার ছবি দেখলে যে কোউ বুঝতে পারবেন যে তিনি সাধারণ উজবেকদের ছবি তুলেন। তাদের অনেকে দারিদ্রে বাস করেন- আর অনেকে খুবই দারিদ্রগ্রস্ত আছেন। ব্লগার কাম্বোদজা বলেছেন যে এটাই চিত্রগ্রাহকের শাস্তির মূল কারণ:

দারুন ছবি। কিন্তু তাদের কোনটাতে একজন দেখতে পারবেন পিতৃতান্ত্রিক- একনায়কতন্ত্র সমাজে আসল সমস্যাটা কোথায়। এটা পরিষ্কার তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করা হয়েছে।


সব ছবি উমিদা আখমেদোভার তোলা এবং photopolygon.com সাইটে পূর্বে প্রকাশিত
Exit mobile version