কানাডা কি বলেছে? জলবায়ূ পরিবর্তন সামিটে ধোঁকাবাজি

কানাডার সরকার আজকে (ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ) রাগান্বিত একটা বার্তা প্রকাশ করেছে তথাকথিত একটা গুজবের নিন্দা জানিয়ে যা ছড়াতে ছড়াতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই গুজব দাবি করছে যে কানাডা গ্রীনহাউস গ্যাস কমানোর লক্ষমাত্রার ব্যাপারে তার নীতি পরিবর্তন করেছে এবং তারা একমত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজন ফান্ডের ব্যাপারে একটি পরিকল্পনার খসড়া করবেন।

আসলে, মনে হচ্ছে এই সব কিছু একটি কুটচাল, যার সাথে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর প্রতিবেদনও আছে (লক্ষ্য করুন রিপোর্টের ইউআরএল হচ্ছে ইউরোপ-ডাব্লুএসজে আর লেখকের মনে হয় অস্তিত্ব নেই)। হাফিংটন পোস্টের জেসন লিংকিংস অনুসারে এই প্রতিবেদনের নিন্দাবাদও একটা ধোঁকাবাজি। বিষয়টাকে আরো বিভ্রান্তিকর করতে, মনে হচ্ছে তৃতীয় আর একটা মিথ্যা আর্টিকেলের প্রকাশ ঘটেছে যেটা পাঠানো হয়েছে বিভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, যার ফলে মানুষ ভাবছে কোনটা সত্যি আর কোনটা নয়।

এই কৌতুকের আয়োজকরা হচ্ছেন দ্যা ইয়েস মেন যারা বিশ্বব্যাপী দুর্নাম কুড়িয়েছেন কর্পোরেশন আর সরকারকে জনসম্মুখে হেনস্তা করার জন্য, প্রায় তাদের নামে মিথ্যা বার্তা দিয়ে।

একটা ধোঁকার ওয়েবসাইটের নাম www.enviro-canada.ca যা কানাডার তথাকথিত নতুন রাজনীতি ব্যাখ্যা করেছে।

কানাডার ভুয়া ওয়েবসাইট

নকল নিন্দাবার্তা অনুসারে, কানাডার সরকার বিশেষভাবে বিচলিত ছিলেন যে তাদের হৃদয় পরিবর্তনের কথা এত ভালোভাবে গৃহিত হয়েছে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সামিটে (কপ১৫) যোগদানরত উন্নয়নশীল দেশ দ্বারা। তারা একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিয়েছে যেখানে উগান্ডার জলবায়ু কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মার্গারেট মাতেম্বের আবেগপূর্ণ বার্তা আছে (অস্তিত্বহীন ব্যক্তি) যার পাশে কানাডার ভুয়া একজন কর্মকর্তা আছে। সর্বশেষ উগান্ডার প্রতিনিধির আসল পরিচয় এই ভিডিওতে ফাঁস হয়েছে

যদিও যে ওয়েবসাইটে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তা দেখতে অফিসিয়াল লাগে আসলে জাতিসংঘের আসল ওয়েবসাইট (কপ১৫.ডিকে) থেকে তার ইউআরএল ভিন্ন (কপ-১৫.ওরজি)। যারাই এই ধোঁকাবাজির পিছনে থাকুক, তারা কার্যকরভাবে এই অবিশ্বাস নিয়ে খেলছে যা অনেক কর্মী বোধ করছেন – যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার ফলে জলবায়ু পরির্বতনে কার্যকর ভূমিকা রাখা যাচ্ছে না।

নকল উগান্ডার প্রতিনিধি আবেগপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন

Exit mobile version