ফিলিপাইন্স: ক্ষুধা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে গল্প বলা

ক্ষুধা

কয়েক বছর আগে (ফিলিপাইন্সের) একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ৫৬ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। দারিদ্র আর ক্ষুধার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিকারী এই চলচ্চিত্রটি আজ পর্যন্ত ইন্টারনেটে জনপ্রিয়। ক্ষুধার অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে নির্মিত ফার্দিনান্দ দিমাদুরা পরিচালিত চিকেন আলা কার্তে নাম্নী ভিডিওটি আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

নীচের ভিডিওটি পাবেন কালচার আনপ্লাগড ওয়েবসাইটে যা বিভিন্ন প্রামান্য চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ আর মোবাইল চলচ্চিত্রকে তুলে ধরে আর তাদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়গুলোকে আর্থিক পুরষ্কার দেয়। চিকেন আলা কার্তে চলচ্চিত্রটি ৬ মিনিট দীর্ঘ আর এর নির্মানের ধরন ভাষার বাধাকে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া অতিক্রম করে:

ছোট থাকাকালীন আমরা অনেকে আমাদের মাদের বলতে শুনেছি প্লেটের ভাত না ফেলে শেষ করতে, যেহেতু পৃথিবীর অন্য প্রান্তে শিশুরা না খেয়ে অনাহারে আছে: বাস্তবতা হচ্ছে যে ক্ষুধার্থ বাচ্চারা আমাদের আশে পাশেই থাকতে পারে।

ক্যারোলিনামেড এর পরের ভিডিওটি খাবার নষ্ট করা বা খাওয়ার ফেলে দেয়া থেকে সৃষ্ট অবিচারের কথা বলে। এটি দেখায় যে একটিমাত্র প্রথম বিশ্বের দেশ থেকে কতোটা খাবার নষ্ট হচ্ছে, আর বিশ্বের কতো মানুষের উপকার হতো ফেলে দেয়া ওই খাবার থেকে।

আর সিঙ্গাপুর থেকে, আজাহাহাসুপারনোভা এই প্রশ্ন করেছেন: খাবার নষ্ট করার পিছনে আপনাদের অজুহাত কি, আর পরিবেশ সংক্রান্ত কারন দেখিয়েছেন কেন এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর:

ফিলিপাইন্সে, ক্ষুধা সাম্প্রতিক কোন ব্যাপার না: এখানে রুপকথার গল্পেও আছে ক্ষুধা তাড়ানোর জন্য খাদ্য খুঁজে পাওয়ার তাগিদের কথা। জলরঙ্গে তৈরি পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ এনিমেটেড চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে এমনি ঘটনা। এনিমেটর টোকোমোকোলিকা আমাদেরকে এই ব্যাপারে আর একটু বলেছেন:

সাগাদার কাছে লেক দানুম এর পাড়ে ছিল এমন একটি গাছ সম্পর্কে একটি বোন্টক গল্প বলব। এটি একটা কাল্পনিক গল্প যা মাএং নামে এক মহিলার, আর তার পরিবারকে ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে তার অভিয়ানের কথা বর্ণনা করে।

এটা দামিয়ানা ইউগিনিওর ফিলিপাইন্সের রুপকথার গল্পের সংগ্রহ থেকে সংগৃহীত। বইয়ে মূল চরিত্র নামহীন, আর যে গ্রাম থেকে সে এসেছিল তার নাম মায়েং।

থাম্বনেইল ইমেজ জনাব ক্রিস এর সৌজন্যে।

Exit mobile version