উগান্ডা: সাহিত্যিক ব্লগারদের কথা

উগান্ডার ব্লগাররা তাদের সাহিত্যগুণ প্রকাশ করার জন্য ব্লগের ব্যবহার করছে আর তাদের এই প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। তারা ব্লগফোরাম ও অনলাইনে, কবিতা, ছোট গল্প এবং বহুবিধ উপন্যাস প্রকাশের জন্য ব্লগ ব্যবহার করছে। এই সব ব্লগ সাহিত্যকদের জনপ্রিয়তাও ধীরে ধীরে বাড়ছে।

কারসোজি এক অন্যতম ব্লগ সাহিত্যিক, যিনি প্রচুর লেখালেখি করছেন। এই লেখকের এক ধারাবাহিক উপন্যাস দি ডেভিলস বনফায়ার। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সাইমন কাটুন্ডে নামের এক কাম্পালাবাসী তরুণ । সে তার দাদার সাথে দেখা করার জন্য শহর ত্যাগ করে। সেখানে সে এমন সব ঘটনার সাথে মিশে যায়, যা সে বুঝে উঠতে পারে না।

যখন সে মেয়েটিকে দেখে তখন সে শুড়িখানার ভেতরের অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছে। তার পুরো শরীর শীতল হয়ে যায়। বিস্ময়ে তার মুখ হা হয়ে যায়। হাত থেকে গ্লাস ফসকে যায় এবং মেঝেতে পড়ে যায়।

এই মেয়েটি ছিল সেই মেয়ে, যাকে সে বনের ভেতর দেখেছিল। বনের ভেতর যা সে পড়েছিল পরনে সেই স্কার্ট আর ব্লাউজই। তবে এবার সে ছিল পরিস্কার এবং সে সাদা ট্রেইনার বা দৌড়বিদদের পরনে থাকে যে জুতো পড়েছিল। ডিস্কো লাইটের সাথে তার চোখের পাতা জ্বলে উঠছিল। সেগুলো ছিল সেই মনোরোম চোখ যা কিছুক্ষন আগে বনের ভেতরে তাকে অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে দেখছিল।

মেয়েটি তার দিকে এক মধুর হাসি ছুড়ে দিল। এই হাসি খেলার মতো এক তরঙ্গ তৈরী করলো।

কারসোজির ধারাবাহিক উপন্যাসের আলাদা খন্ডের উপর (বর্তমানে আটটি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে এবং তার উপন্যাসের পরবর্তী খন্ড পরবর্তী মাস থেকে শুরু হবে) তার বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে থাকা ও অপেক্ষারত পাঠকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছে:

আমার অফিসে যারা কাজ করে তারা সকলেই আমার কম্পিউটার থেকে দি ডেভিল বোনফায়ার পড়েছে -মুদামুলি

আপনি জানেন যে এটা একটা বই হতে পারে। আমরা সৌভাগ্যবান, কাগজে ছাপানোর আগেই আমরা এই উপন্যাস পড়তে পারি, সত্যিকার অর্থে তার উপন্যাস পড়ার অনুভুতি চমৎকার। – মিস চেরী

জন গসিয়ের একজন আমেরিকান যিনি কর্মসুত্রে উগান্ডায় বাস করেন। তিনিও ব্লগে একটি উপন্যাস প্রকাশ করেছেন যার নাম মাক্সশনারী। সম্প্রতি এই উপন্যাসের দ্বিতীয় অধ্যায় প্রকাশ হওয়া শুরু হয়েছে। এটি একটি আফ্রিকান সায়েন্স ফিকশন (বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)। জন এর সুচনা এভাবে করেছেন:

আমি এই উপন্যাস লেখার জন্যে তিনটি নিয়ম তৈরী করেছি -

শেষ কথাটির এই কারনে বলেছি যে আফ্রিকার বেশীরভাগ সাহিত্যই যেন কি ছিল, কি ভুল হয়েছিল, কি কারনে এমন হয়েছিল এইসবে পরিপূর্ণ। আফ্রিকার ইতিহাসবিদেরা এই মহাদেশের পূর্বের সব ঘটনা লিখে যাচ্ছেন এবং একই ভাবে সারা বিশ্বেরও। আমার মতে স্বপ্ন দেখা লোকের সংখ্যা কম। আমি চাই সবাই এগিয়ে আসুক এই চিন্তা করতে যে ভবিষ্যৎে কি কি ঘটার সম্ভাবনা আছে। আমার ব্যক্তিগত দর্শন অনুযায়ী আফ্রিকা যদি তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলোর দিকে না তাকায় তাহলে তাদের সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করবে।

যারা ছোট আকারের সাহিত্য ভালোবাসে তাদের জন্যে কবি গাই উগান্ডা তার প্রতিদিনের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়ে প্রায়শ:ই ব্লগে কবিতা প্রকাশ করছেন:

সে বাচাল
যেখানে অমি
নীরবতার
চাদর দিয়ে
নিজেকে ঢাকি

সে বাতাসকে আর্বজনাময় করে
প্রতিক্রিয়াশীল
কৃত্রিম শব্দ দিয়ে
এবং দেখ, এক বিস্ময়
আমরা নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে যায়
গভীরভাবে
নীচে থেকে
দ্রুত
ধরে রাখে সে নিজেকে-
না আমি পারি না
তার
প্রেমে পড়তে।

Exit mobile version