ফিলিপাইনস: মেয়র/কেবিনেট সেক্রেটারীর ছেলের দুর্ব্যবহারের ফলে শোরগোল

ফিলিপাইনবাসীরা অনলাইনে বিদ্রুপ ছুঁড়ে দিচ্ছে মেয়র নাসের পাঙ্গান্দামান জুনিয়রের দিকে, একই নামের প্রেসিডেন্ট আরোয়োর ভূমি সংস্কার সেক্রেটারীর ছেলে, যিনি ডিসেম্বর ২৬ তারিখে এন্টিপোলো সিটির গল্ফ কোর্সে দুইজন লোকের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।


(সেক্রেটারী নাসের পাঙ্গান্দামান সিনিয়রের ছবি, ইউ এস এম এর সৌজন্যে)

ভিসিসিচ্যুড এই ঘটনা দেখেছেন আর নিজের অবিশ্বাস আর ঘৃণা তিনি লুকাতে পারেননি এটা দেখে যে তার নিজের বাবা আর ভাইকে কথিত ‘সরকারি চাকর’ লাল নীল করে মেরেছে।

আ ফিলিপিনো মম ব্লগার ব্লগারদেরকে অনুরোধ করেছেন ঘটনাটি পড়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে

দ্যা ডি স্পট লিখেছে:

অনেক রাজনীতিবিদ সব জায়গায় নবাবি করছেন দূর্নীতি আর অসাধু মুনাফা লাভ করে যা এমনিতেই ক্ষমার অযোগ্য, এখন এখানে তারা এটা নিয়ে নবাবি করছে, যেন তারা দুনিয়ার মালিক, যেন তারা আইনের ঊর্ধে যেতে পারে, যেন তারা লোকের সাথে র্দুব্যবহার করতে পারে আর মানুষকে বন্দুক দেখাতে পারে- বড়ো আর জোয়ান, আর অতি বৃদ্ধ আর অতি জোয়ানদের।

মিস্টেরিওসা এই ঘটনাকে ‘মর্মাহত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ‘আর খুব সম্ভবত সব থেকে অদ্ভুত জিনিষ যা আমি এই বছরে দেখেছি’, আর হেঁসেছেন যে মেয়র আসলে একটা পুরষ্কার পেয়েছেন ‘কার্যকর নেতৃত্বের’ জন্য।

র‌্যান্ডম ডিটক্সিফিকেশন ক্ষুব্ধ পাঙ্গান্ডামান্সদের উপর আর যে গল্ফ ক্লাবে এই ঘটনা ঘটেছে তার অফিসারদের বিরুদ্ধে:

একদল সশস্ত্র রাজনীতিবিদ একজন নিরস্ত্র বৃদ্ধ কে মারছে, এর থেকে খারাপ কি হতে পারে? যে গল্ফ ক্লাবের নিয়ন্ত্রক আর কর্মী পুরো সময়ে ওখানে ছিল আর কিছুই করেনি খালি তামাসা দেখা ছাড়া আর পরে মার খাওয়া পরিবারকে ওখান থেকে চলে যেতে বলে! বৃদ্ধের রক্ত পড়ছিল আর জ্ঞান প্রায় ছিল না কিন্তু কোন ডাক্তার ডাকা হয়নি, কোন সাহায্য করা হয়নি। শুধু স্থান ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ। যেন বৃদ্ধ আর তার বাচ্চারা এই অপরাধ করেছে তার শিকার না হয়ে।

লাক্স-লুসিস.নেট চিন্তা করেছেন:

যে বিষয়টার জন্যে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি- ঘটনার হিংস্রতা ছাড়াও- হচ্ছে যে এটা ঘটতে পেরেছে। দানবরা এটা করতে পারতো না যদি তারা তাদের ক্ষমতার নিরাপত্তার ব্যাপারে এতো নিশ্চিত না হতো, যদি তারা এতো নিশ্চিত না হতো যে এটা করে তারা পার পেয়ে যাবে। কিছু লোক বলে যে শাস্তি অপরাধ থামানোর ভালো উপায় না: আমি বলি এটা ভাল, যতক্ষণ মানুষ জানে যে শাস্তি দেয়া হবে যে অপরাধ করছে তার অবস্থান সত্ত্বেও। এটা এখানের অবস্থা না, যেখানে ধনীরা ধর্ষণ থেকে খুন পর্যন্ত করে পার পেয়ে যায় আর ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্টরা কেমন করে যেন রাস্তা পেয়ে যায় তাদের ক্ষমতা পুন:স্থাপন করতে লুটের অভিযোগ সত্ত্বেও। আমাদের ব্যবস্থা অবিচারকে লালন করে।

আর আমি মানা করছি- আমি মানা করছি – এটা গ্রহন করতে। আমি মানা করছি এটা বলতে ‘এইভাবে এখানে কাজ হয়, আমাদেরকে শুধুমাত্র বেঁচে থাকতে হবে আর দেখতে হবে যাতে আমরা অনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে চাপা না পড়ি।’ আমাদেরকে অবিচার সহ্য করতে হবেনা। গ্রহণ, হাল ছেঁড়ে দেয়া – এ জিনিষগুলো শুধু এটাকে বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমাদের লোক দরকার। আমাদের আওয়াজ আছে, আমাদের দেখার জন্য চোখ আছে, শোনার জন্য কান আছে, হাত আছে যা দিয়ে লিখতে পারি দুনিয়াকে দেখানোর জন্য। সময় এসেছে এর ব্যবহার করার।

মিস্টারভাডের লিখেছেন:

আমি এইসব মানুষের সাহস বুঝতে পারিনা। আমি পাত্তা দেইনা আপনি ক্ষমতাশালী, শক্তিশালী কিনা, আর আমি পাত্তা দেইনা আপনার কত ক্ষমতা আছে। যখন আপনি এতো জঘণ্য কিছু করবেন, তখন হাতে একটা থাপ্পড়ের বেশী কিছু পাওয়ার যোগ্য আপনি।

এখন সময় যে এই ধরনের কাজের জন্য এমন লোকদের পার পেয়ে যাওয়া থামানো, এমন ভাব দেখানো যে তারা আইনের ঊর্ধ্বে। এদের জন্য গালি ছাড়া আমার কাছে দেয়ার মতো কিছু নেই, আর এদের জন্য কোন ধরনের দয়াও নেই।

দেখা যাক কি হয় এর পর, আর পাঙ্গান্দামান সিনিয়র কেবিনেট সেক্রেটারি হিসাবে তাঁর পদ ধরে রাখতে পারেন কিনা আর সোমবার পুলিশের ফাইল করা কেসের কি অবস্থা হয়।

Exit mobile version