মলদোভা ও তুরস্ক: নাটালিয়া মোরারের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অভিজ্ঞতা

গত ডিসেম্বরে সাংবাদিক নাটালিয়ার রাশিয়ায় ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তার জন্মভূমি মালডোভাতে তাকে নির্বাসিত করা হয়। এর আগে রাশিয়ার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় রাশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বড় অংকের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগের উপর তার একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। (মোরারের এই সমস্যা নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেসের পূর্ববর্তী রিপোর্ট এখানে)

এ মাসের গোঁড়ার দিকে, মোরার (লাইফজার্নালে তে নাম নাটমোরার) ইস্তাম্বুলে আতার্তুক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন যার বর্ণনা তার ব্লগে দিয়েছেন(রুশ ভাষায়):

“তোমাকে এই দেশে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল এবং তোমাকে মলদোভায় নির্বাসিত করা হল । ইস্তাম্বুলে আতার্তুক বিমানবন্দরে একজন তুর্কী সীমান্ত রক্ষী কর্মকর্তা ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজীতে তাকে ব্যাখ্যা দেয়। এবং সাথে সাথেই আমার কাগজপত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করল। আমি বিশ্বাস করতে শুরু হচ্ছিলাম যে এইটি ছিল আমার ভাগ্য: বিমানবন্দর থেকে বিতাড়িত।

তারা আমাকে থানায় নিয়ে গেল, সেখানে আমাকে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে আটকে রাখা হল। তাদের তথ্য ভাণ্ডারে একটি তথ্য রয়েছে যে ২৪ বছর বয়সী নাটালিয়া মোরার নামে একজন পতিতাকে মলদোভায় পূর্বে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

আমি যে সেই নাটালিয়া নই এটা তাদের বোঝাতে আমার দীর্ঘ সময় লাগল। আমার সংবাদপত্রের পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্র তাদের আরো বেশী অবিশ্বাসী করল। তারা নিশ্চয়ই ভাবতে শুরু করল যে “কি আধুনিক পতিতা যে নানারকম প্রমাণাদি দিয়ে নিজে ঢেকে রেখেছে‌‍”।

বিষয়টি তখনি শেষ হল যখন পুলিশ আমাদের পরিচয় পত্রের নম্বর মিলাতে গেল[…..] বিদায়ের মুহূর্তে পুলিশ আমাকে ভাঙ্গা ভাঙা ইংরেজীতে জিজ্ঞাসা করল, তুর্কী প্রেমিক? হ্যা!![….] ।

Exit mobile version