মিয়ানমার (বার্মা): “হ্যা, সবকিছু ঠিক আছে”

মিয়ানমারের (বার্মা) নিউজ ব্লগ মোমাকা মিডিয়া সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস এ প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে যেখানে ইয়াঙ্গুন আর সিঙ্গাপুরের মধ্যে যাতায়াত করা কয়েকজন মিয়ানমারের নাগরিকের সাক্ষাৎকার রয়েছে।

ঐ ফুটেজে একজন মিয়ানমারের নাগরিককে দেখা যাচ্ছে তার পরিবারের সবাইকে সিঙ্গাপুরে স্বাগত জানাতে এবং স্থিতিশীল সিঙ্গাপুরে অবস্থানে তাদের আনন্দ ঘোষনা করতে। আর আরেক নাগরিককে দেখানো হয়েছে যে বলেছে যে কারফিউ থাকা সত্বেও তারা ভালই ছিল এবং পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ ছিলনা। “সব মিলিয়ে ঠিকই আছে লাহ (একটি সিঙাপুরি অভিব্যাক্তি),” দাবি করল আরেকজন। “হ্যা, সব কিছু ভালো আছে… বিমানবন্দর, নিরাপত্তা সব কিছু ঠিকমত স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে” বলেছেন একজন যাকে দেখে মনে হচ্ছিল যে সে পাইলট ( মিয়ানমারের নাগরিক না)।

উপরের উক্তিগুলোর পর স্ট্রেইটস টাইমসের সাংবাদিক বলেছেন, “কয়েক ঘন্টা আগে ইয়াঙ্গুনে ছিল এমন লোকের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে যে পরিস্থিতি অত খারাপ না যা খবরে আসছে। কারফিউ ছাড়া মানুষ বের হতে পারছে আর বিমানবন্দরে রোজকার মতো কাজ হচ্ছে।”

ইয়াঙ্গুনের পথে রওনা হওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সাক্ষাৎকার তারপর নেয়া হয়েছে। যে দুইজন মহিলার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে তারা মনে করে যে পরিস্থিতি অত গুরুতর নয় আর তারা নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারবে। “পরিস্থিতি অতো খারাপ না,” বলেছেন একজন মিয়ানমারের অল্পবয়সী মহিলা।

সাংবাদিক তখন জিজ্ঞাসা করেন, “বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে আপনি কি দেখবেন বলে মনে করেন?” ঐ মহিলা বলেছেন,”আমি মনে করি যে সব কিছু ঠিক থাকবে।”

মোমাকা মিডিয়া ভিডিওটি সম্বন্ধে এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেঃ

“সারা বিশ্বে মিয়ানমার সহ অন্য সব দেশের নাগরিকরা তাদের সমর্থন জানাচ্ছে মিয়ানমারের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পক্ষে আর মিলিটারির সহিংস প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে। ( যেমন থাইল্যান্ডে মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ)।

সিঙ্গাপুরের বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের সমর্থন জানিয়েছে বার্মিজ উপাসানালয়ে প্রার্থনা করে। কিন্তু সবাই যখন মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত তখন উপরের ভিডিও চিত্র দেখাচ্ছে কিভাবে মিয়ানমারের নাগরিকরা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলছে যে তারা সিঙ্গাপুরে আসতে পেরে খুশি আর আর কারফিঊ ছাড়া দেশে সব কিছু ঠিক আছে, শান্তিপূর্ণ আছে।”

মোমাকা জানিয়েছে যে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত একজন মিয়ানমারের ব্লগার তাকে ছবি পাঠিয়েছে যাতে মিয়ানমারের সত্যিকার পরিস্থিতি আর ইয়াঙুন থেকে সিঙাপুর যাওয়া-আসা করা লোকেরা পরিস্থিতিকে যে হালকাভাবে নিচ্ছে তার তুলনা করা হয়েছে।

মোমাকা জানিয়েছে যে ঐ ব্লগার প্রশ্ন করেছে যে কিভাবে সিঙ্গাপুরের বসবাসরত মিয়ানমার নাগরিকরা তাদের জাতিয়তাবোধ, ভাষা, সংস্কৃতি আর ধর্ম রক্ষা করবে, আর এইসব লোকদের উচিত এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর দেয়া।

(আমার মনে হয় এই ব্লগার বলতে চাচ্ছেন যে সব মিয়ানমার নাগরিকদের উচিত এমন সময় তারা একত্র হয়ে কি বলবে তা বুঝিয়ে বলা।)

Exit mobile version