উইটনেস/গ্লোবাল ভয়েসেস মানবাধিকার ভিডিও হাব ওয়ান ওয়ার্লড মিডিয়া পুরস্কার পেয়েছে

গত সন্ধ্যায় (১৪ই জুন) লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওয়ান ওয়ার্লড মিডিয়া এওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে উইটনেস/গ্লোবাল ভয়েসেস এর মানবাধিকার ভিডিও হাব পাইলট শ্রেষ্ঠ নিউ মিডিয়া পুরস্কার পেয়েছে (এই পাতাটি দেখুন বিস্তারিতের জন্য)।

প্রতি বছর ওয়ান ওয়ার্লড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট এই পুরস্কার দিয়ে থাকে ঐসব মিডিয়া কাভারেজের উকর্ষতা আনার জন্য উৎসাহ দিতে যারা

আন্তর্জাতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ভালভাবে বোঝে.. (এবং) গুরুত্ব দেয় সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, যারা বিভিন্ন সমাজের মধ্যকার বিভেদ কমায়, তাদের বিশেষ ভূমিকাকে এবং সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্খৃতিক অভিঞ্জতাগুলো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেবার কাজ করে।

উক্ত অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ভয়েসেস এবং উইটনেসকে যথাক্রমে দক্ষিন এশিয়ার সম্পাদক নেহা বিশ্বনাথন এবং উইটনেসের ভিডিও হাব প্রোজেক্টের পরিচালক (পূর্বের জিভি ভিডিও হাব সম্পাদক) সমীর পাদানিয়া উপস্থাপন করেন। গ্লোবাল ভয়েসেস এর মানবাধিকার ভিডিও হাব বিবিসির ট্রাইব এবং ফার্মিং চ্যারেটি ওয়েব সাইট কাউফোর্সকে হারিয়ে এই পুরষ্কার পেয়েছে ।

সামিরের দেয়া আজকের সকালের ই-মেইল অনুযায়ী ওয়ান ওয়ার্লড জুরি

গ্লোবাল ভয়েসেস মানবাধিকার ভিডিও হাব পাইলটকে পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ যদিও এটি একটি পাইলট তারপরও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে এরা সমকালীন পার্টিসিপেটরী ওয়েবের কাযর্কর শক্তির উপর গুরুত্ব অরোপ করে । এটা বতর্মানের কিছু যুগান্তকারী নতুন মিডিয়ার ধারাকে ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে যা আমরা সবেমাত্র অধিকহারে ব্যবহার করতে শুরু করেছি যেমন অনলাইনে ভিডিও শেয়ারিঙ এবং মোবাইল প্রযুক্তি। এর ফলে কম্পিউটার ব্যবহার করেনা এমন বিশ্ব শ্রোতাকে সহজে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জানানো সম্ভব। সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল যে এই সাইট একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয় প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে। অন্যদেরও এটুকু অর্জন করা উচিত যার ফলে ওইসব ক্ষুদ্র মানবাধিকার লন্ঘনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব যা অন্য সময়ে সহজে হতো না। এর ফলে সত্যিকারের পরিবতর্ন আসার সম্বাবনা বাড়বে। এটা তুলে ধরতে সক্ষম যে কি করে সহযোগিতা, বন্টন এবং সমষ্টিকরণের মাধ্যমে কারো কষ্ট একটি অসামঙ্জসপূর্ণ সমাজে বড় করে দেখানো যায় । এটি স্পষ্টত: ওয়ান ওয়ার্লড ব্রডকাষ্ট এওয়ার্ড জুরির চাহিদাগুলো পূরন করেছে।

উইটনেস/গ্লোবাল ভয়েসেস মানবাধিকার ভিডিও হাব পাইলট শুরু করা হয় গ্লোবাল ভয়েসেস ওয়েব সাইটে সেপ্টেম্বর 2006 সালে। এটি সারা বিশ্ব থেকে মানবাধিকার ভিডিও সংগ্রহ করে থাকে । এই পাইলট প্রজেক্টটি উইটনেসের বৃহত্তর একটি প্রোজেক্টের প্রথম ধাপ যার মাধ্যমে ভিডিও সংরক্ষন করা হবে, প্রশিক্ষন দেয়া হবে এবং মানবাধিকার কর্মীদের এবং সাংবাদিকদের জন্য এটি একটি রিসোর্স হবে। ফলে কমিউনিটি সমর্থিত এডভোকেসী এবং দৃশ্যমান তথ্যকে সন্চালক হিসেবে ব্যবহার মানবাধিকার লন্ঘন রোধ করতে সাহায্য করবে।

সমীর পাদানিয়া তার সকালের ইমেইলে যেমন বলেছেন:

আমি জানি লোকে সব সময়ই এমন বলে কিন্ত পুরস্কার আসলেই সেই সব সাহসী, দৃপ্ত ও বিচক্ষন লোকের জন্য যারা আসল কাজগুলো করেছেন ব্লগাররা, মানবাধিকার কর্মীরা, সাংবাদিকগন, আইনজিবী, ছবি নির্মাতা এবং সাধারন নাগরিকরা যারা পরিশ্রম করেছেন এইসব গল্পগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরতে, এবং যাদের ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারতামনা

Exit mobile version