ল্যাটিন আমেরিকায় আদিবাসীদের নিজেদের হাতে এবং নিজেদের জন্য ইমোজির সৃষ্টি

Emojis depicting Mapuche culture. Republished with permission.

মাপুচে সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে ইমোজি, অনুমতিক্রমে পুনরায় প্রকাশিত।

পুরো ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে আদিবাসী ভাষার ডিজিটাল একটিভিস্টরা সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় ইমোজি সৃষ্টিতে নেতৃত্ব প্রদান করছে যার উদ্দেশ্য ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষাকে তুলে ধরার এক উপায় হিসেবে ইমোজিকে সহজলভ্য করা।

বিগত কয়েক বছরে, আরো বৈচিত্র্যময় ইমোজি সৃষ্টির আহ্বান জানানোর প্রতি প্রযুক্তি কোম্পানি যেমন অ্যাপেল এবং টুইটার সাড়া প্রদান করেছে, যারা ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন গাত্রবর্ণের আদলে ইমোজি বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও এই সকল ইমোজির কিছু নেতিবাচক প্রয়োগ রয়েছে, কিন্তু ইমোজি গুচ্ছের এই সংস্করণ প্রশংসিত হয়েছে এবং অন্য সংস্কৃতি ও অঞ্চলের জন্য এর দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ এসেছে, যেমন হিজাব পড়া ইমোজি যোগ করা।

আদিবাসী সম্প্রদায় হচ্ছে সেই সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম যারা ইমোজিতে নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখতে চায়। কোন কোম্পানি ইমোজিতে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করবে এই অপেক্ষায় না থেকে কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এই বিষয়টি নিজেদের হাতে নিয়ে নিজস্ব একগুচ্ছ ইমোজি তৈরি করেছে।

লুইস পাডহুম ফ্লোরেস, যিনি মেক্সিকোর সান লুইস পোটোসি নামক অঙ্গরাজ্য থেকে এসেছেন, তিনি এক ডিজিটাল একটিভিস্ট, যিনি তার মাতৃভাষা হুয়াসটেককে (যা একই সাথে তেনেক নামে পরিচিত) তুলে ধরছেন। তার বর্তমানের এক প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে একগুচ্ছ ইমোজি তৈরি করা যা প্রচলিত কেশবিন্যাস এবং টুপি পরা মুখের, যা সে তার ফেসবুকের একাউন্টে প্রদর্শন করেছে

হুয়াসটেক সংস্কৃতির চিত্র অঙ্কন করছে ইমোজি। অনুমতিক্রমে পুনরায় প্রকাশিত।

আর মাপুচোর এক বিদ্যালয় শিক্ষক ভিক্টর কারিলাফ, কিমেলটুয়েকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চিলির শিল্পী ফিয়েস্টেফোরো-এর সাথে দলবদ্ধ হয়েছেন। কিমেলটুয়ে চিলি এবং আর্জেন্টিনায় বাস করা মাপুচো জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা মাপুডাঙ্গানকে তুলে ধরে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে স্থানীয় ভাষায় বার্তা প্রেরণের গুরুত্ব প্রদানের উদ্দেশ্য মাপুচো সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এমন চিত্র তৈরি করেছেন। এগুলোর মধ্যে কিছু ইমোজি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মুখ ও পোষাক পরা মানবচরিত্রের ইমোজি, যা তারা, তাদের ১১২,০০০ জন ফেসবুক ফ্যানকে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহারে উৎসাহিত করছে।

মাপুচো সংস্কৃতিকে চিত্রিত করছে ইমোজি। অনুমতিক্রমে পুনরায় প্রকাশিত।

উভয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে, এর সৃষ্টিকারীরা বার্তা পাঠানোর ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ইমোজিকে একটি পরিপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের উপায় অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এগুলোকে তারা ছবি বা স্টিকার হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে, যা কিনা মন্তব্য বা বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে জেপিজি অথবা ছবি হিসেবে ডাউনলোড, সম্পাদনা এবং শেয়ার করা যায় ।

Exit mobile version