চিলির উপকূলে অভিযানকালে মমির সন্ধান পেল এক দল শিক্ষার্থী

এই পোস্টটির প্রকৃত সংস্করণটি [স্প্যানিশ] এল মোরোকটুদো থেকে লিখেছেন কোরেসপন্সালেস। এল মোরোকটুদো’তে লেখাটি ২৬ মে, ২০১৪ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। 

Launcho

ছবিঃ এল মোরোকোটুডোর আর্কাইভ  

মিউনিসিপাল স্কুল ই – ২৬ “আমেরিকা” এর প্রত্নতত্ত্ব একাডেমির দশ জন শিক্ষার্থী এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

উপকূলীয় শহর এল লাউকো’র সামনে রয়েছে একটি ছোট গোলাকার পাহাড়। মোরো’র কাছাকাছি এই অঞ্চলটিতে স্থানটির পটভূমিকার নোট হাতে নিয়ে মিউনিসিপাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা সেখানে পৌঁছান। উদ্দেশ্য, গত এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ফলে বেড়িয়ে আসা কিছু কঙ্কাল দেহাবশেষের দেখা পাওয়া।

জায়গাটি খুব খাঁড়া হওয়ায় তাঁরা সঙ্গে বাইনোকুলার এবং একটি টেলিস্কোপ নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য, অবশিষ্ট থাকা কঙ্কাল এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড়গুলোর সঠিক মূল্যায়ন করা।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাঁদের দেখা ব্যাপারগুলোর নোট নিতে হয়। কারণ, এরপর তাদের একটি মূল্যায়ন পত্র লিখতে হবে।

একটি অপ্রত্যাশিত মমি

যেইমাত্র না শিক্ষার্থীর দলটি কঙ্কাল দেখার যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ শুরু করল, তখনই ঘটল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। শিক্ষক হানস নেইরা এবং শিক্ষার্থী মিজায়েল ফ্লোরেসের নেতৃত্বে থাকা দলটি খুব কাছের একটি এলাকা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই উঁচু স্থানটিতে চড়ার পর তারা অন্যান্য টিকে থাকা জিনিসগুলো খুঁজে পান। সেখান থেকে তারা খুব পরিষ্কারভাবে নিচের প্রান্ত দেখতে পাচ্ছিলেন। শেষ প্রান্তে একটি শিশুর মতো দেখতে একটা কিছু তাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

তারা খুব যত্নের সাথে স্থানটি পর্যবেক্ষণ করেন, নানা বিষয়ে নোট নেন এবং ছবি তোলেন। একাডেমি এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত কর্তৃপক্ষ যাতে এটির তদন্ত বা অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করে তাদের জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন, সেটিই ছিল উদ্দেশ্য।

“একটি যথার্থ অভিযান”

নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষক বলেছেন, “আমি মনে করি, অবশিষ্টাংশ বা দেহাবশেষ আবিষ্কারের জন্য এটি সত্যিই ছিল একটি যথার্থ ভ্রমণ। তারপরও স্থানটি বিভিন্ন জিনিসের প্রতিনিধিত্ব করে, তাই এটি রক্ষা করা উচিৎ। এ কারণে এটি একটি জাগরণী ডাকও। বুঝতে পারছি, এটি পূর্ব ঔপনিবেশিক কালের একটি বৃহৎ সমাধিক্ষেত্র ছিল, যা এই স্থানটির আরও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত।”    

বড় হয়ে একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখা উত্তেজিত এক শিক্ষার্থী বলেছিল,“কুকুরের মুখের মতো দেখতে এক অদ্ভূত গঠন আমার মনোযোগ কেড়ে নেয়। আর আমরা যখন এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলাম, তখন এই দেহাবশেষ খুঁজে পাই।

Exit mobile version