আলোকচিত্রঃ ইন্দোনেশিয়ায় মাউন্ট সিনাবাঙ্গের অগ্ন্যুৎপাতে ২০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত

Mount Sinabung erupted when a cloud of dust and heat to form an image of human skull. Photo by Abdullah Arief Siregar, Copyright @Demotix (1/9/2014)

মাউন্ট সিনাবাঙ্গের উদগিরণের সময় ধুলির মেঘ এবং তাপ যেন একটি মানব খুলির মতো অবয়ব তৈরি করেছে। ছবিঃ আবদুল্লাহ আরিফ সিরেজার। কপিরাইটঃ @ডেমোটিক্স

উত্তর সুমাত্রায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাঙ্গে গত বছরের তুলনায় দুই শত গুন বেশি অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ইতোমধ্যে ২০,০০০ এর অধিক গ্রামবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আগ্নেয়গিরিটি ষোল শতকের পর থেকে সুপ্ত অবস্থায় ছিল।   

আগ্নেয়গিরির আবিষ্কার সিনাবাঙ্গের সর্বশেষ অগ্ন্যুত্পাত সম্পর্কে জানিয়েছে: 

সক্রিয়ভাবে ক্রমবর্ধমান লাভা স্তুপ, প্রচুর ভারসাম্যহীন অবস্থা সৃষ্টি করছে। পরিমিতরূপে সান্দ্র লাভা কিছু অংশ মাঝে মাঝে বন্ধ করে দিচ্ছে এবং গরম আবহাওয়া ও ছাই প্রবাহ (আতশবাজির প্রবাহ) তৈরি করছে, যেটি প্রায় ৪ দশমিক ৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫-৭ কিমি এলাকা থেকে উদ্বাস্তু সংখ্যা প্রায় ২৫,০০০ এ পৌঁছে গেছে। 

প্রশান্ত মহাসাগরে রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়াতে ১০০ এরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। কিন্তু কার্ল মনে করেন, সিনাবাঙ্গে শুধুমাত্র মাঝারি আকারের অগ্ন্যুত্পাত হয়:

সিনাবাঙ্গের অধীনে থাকা ম্যাগ্মেটিক সিস্টেমে কোন ভাবেই ভীষণ অগ্ন্যুত্পাতের জন্য যথেষ্ট পরিমানে ম্যাগমা থাকে না।

যেহেতু এই আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে খুবই সামান্য জানা গেছে, তাই সেখানে কি পরিমাণ ম্যাগমা মজুদ থাকতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা পেতে পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির দিকে লক্ষ্য করা যেতে পারে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে মাউন্ট সিবায়াক / মাউন্ট পিন্টো এর জোড়া আগ্নেয়গিরি সিস্টেম রয়েছে এবং কি পরিমাণ ম্যাগমা মজুদ থাকতে পারে তা জানতে এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে। 

কর্তৃপক্ষ সকলকে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত অধিবাসীদের আশ্বস্ত করেছে যে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা উদ্বাস্তুদের ​​অবিলম্বে ত্রান সরবরাহ করা হবে। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাস্তুচ্যুত করা ছাড়াও সিনাবাঙ্গের অগ্ন্যুৎপাত স্থানীয় কৃষির উপর ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

উতামি ইরাবতি অগ্ন্যুত্পাতে উদ্বাস্তুদের প্রতি ​​সংহতি প্রকাশ করেছেন:

সিনাবাঙ্গের চারপাশের মানুষের জন্য ভাবুন এবং প্রার্থনা করুন। দৃঢ় থাকুন, এবং আমি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি, পরিস্থিতি শীঘ্রয় উন্নতির দিকে যাবে :”(

ডেমোটিক্স থেকে পাওয়া নীচের ছবিটি বাতাসে মাউন্ট সিনাবাঙ্গের ছাই ও লাভা নিক্ষেপ দেখাচ্ছে। 

 মাউন্ট সিনাবাং বেরাস্তু এবং বাকেরাহ গ্রামে লাভা এবং গরম মেঘ উদ্গিরন করছে। ছবিঃ আবদুল্লাহ আরিফ সিরেজার। কপিরাইটঃ@ডেমোটিক্স  

কৃষকরা টমেটো সংগ্রহ করছেন। এইসব টমেটোর উপর মাউন্ট সিনাবাঙ্গের উদ্গিরনের ফলে ছাইয়ের একটি পাতলা প্রলেপ জমে গেছে। ছবিঃ আহমেদ রিদয়ান নাসুশন। কপিরাইটঃ @ডেমোটিক্স। 

গত ২৪ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে মাউন্ট সিনাবাঙ্গের অগ্ন্যুৎপাত, যেটি বাতাসে প্রায় দশ হাজার কিমি এলাকা উচ্চতায় ছাই উদ্গিরন করছে। ছবিঃ আবদুল্লাহ আরিফ সিরেজার। কপিরাইটঃ @ডেমটিক্স। 

Exit mobile version